হামিদা বানু




পোস্ট বার দেখা হয়েছে


সুন্দর মানুষ 

লেট বাঁঁচাতে গিয়ে আমার বিশেষ পছন্দের জুতাো গেলো ছিঁড়ে। এবার মাথায় হাত।ওটা হাতে নিয়ে খালি পায়ে উঠছি সবাই মজা করছে আমিও তাল দিচ্ছি। সেদিন বিশেষ দিন। ছুটি মঞ্জুর হবার আশা নেই। মিনিট পনেরো পর রাগিনী কানের কাছে মুখ নামিয়ে বলছে ম্যাম কাগজে মুড়ে দাও আমি সারিয়ে এনে দেবো।আমি চোখ কপালে তুলে বললাম তা হয়না।কিছু দিন আগেই ওর হাতের জিনিস খাওয়া হবে কিনা এ নিয়ে বিশ্বযুদ্ধ
শুরু হয়েছে এখনও চলছে।রাগিনী ভারী রাগী  মানুষ সহজে রাগেনা।কিন্তু রেগে গেলে  ভয়ংকর । সেই কারনেই আমরা রাগী নি নাম দিয়েছিলাম। ও স্কুলের ঝাড়ুদার।বাথরুম সাফাই করে।পান খেতে ভালো বাসে।

ভুর ভুরে সেই গন্ধ।
রাগীনির সেই উপকার  কখনও ভুলিনি।ও আমার মেয়ে কে কোলে নিয়ে ঘুরতো।কুড়ি মিনিটের ফারাক ছিল আমাদের ছুটির। সেই কারনে রাগিনী নিজের টিফিন টাইম পালটে নিয়ে ছিলো। কি সহজ সাবলীল মাণুষ। কুচকুচে কালো অমায়িক হাসি
 আর উপকারী মনোভাব নিয়ে ও ঘুরে  বেড়াতো।
কাউকে ছেড়ে কথা বলার  মানুষ  সে ছিলনা।
এখন আমার স্কুল পাল্টে গিয়ে আমি রাগিণী কে ভীষণ মিস করি। সারাদিন প্রচন্ডরকম পরিশ্রম করে এরা। বাড়ি গিয়ে আরও কত কাজ করে।ওরা আমাদের বাথরুম  পরিষ্কার না করলে আমরা ঠুনকো সভ্য মানুষেরা কি অসহায়  হয়ে উঠি। অথচ কি ঘৃনা আমাদের। ও আমাকে খুব লুকিয়ে ওর ঘুগনি রান্না খাইয়ে ছিল।আমার সেই  ঘুগনির স্বাদটা মুখে লেগে আছে আজও।

আসুন রাগিণী দের  হাত ধরি। ওরা শতগুন জোরে

  • আপনার হাত ধরবে।রাস্তায় পড়ে গেলে কোনো Fancy মানুষ কিন্তু হাত ধরেনা।ওরাই ধরে। রাগীনিরা ভালো  থাকুক।ওরা যদি পরিষ্কার না করে আমরা পরিচ্ছন্ন থাকতে পারিনা।।রাগিণী সৎ এবং সাহসী...

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ