দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য




পোস্ট বার দেখা হয়েছে

                   

                                       " অচীন পাখি "
                                      দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য

দর্শণ! !

দৃশ’ ধাতু থেকে দর্শন শব্দের উৎপত্তি।’দৃশ’ ধাতুর অর্থ দেখা। আমরা চর্ম চক্ষু দ্বারা তা দর্শন বটে, তবে তা শাস্ত্রীয় দর্শন নয়। দর্শন শাস্ত্রে দ্রষ্টার মনোভাব, দৃষ্টিভঙ্গি ও উপলব্ধির প্রতিফলন থাকে। একজন ব্যক্তি জগৎ-জীবন-সংসারকে কিভাবে দেখে অথবা দেখার পর তার মনে কিরূপ ভাবের সঞ্চার হয় তাতেই প্রকৃত দর্শনের উৎস নিহিত আছে।

বাউল দর্শণ

বাউল গান বাউলদের ধর্মসাধনার অঙ্গ।মূলত সাংগীতিক চেতনা, ধর্মীয় আবেগ, দর্শন ও আত্মোন্নতির বাসনা বাউল গান রচনার মূল চালিকাশক্তি হলেও ভাষাভঙ্গির ও প্রকাশরীতির কারণে তাতে সাহিত্যের গুণও সঞ্চারিত হয়েছে।
তাদের আরাধ্য পরমাত্মা কোন শাস্ত্রীয় দেবতা নন। তিনি বিশ্বলোলোকেই ব্রক্ষসত্তারূপে আর মানবদেহে আত্মারূপে বিরাজ করেন।
বাউল দর্শনে তিনটি রূপ স্পষ্ট: মানবতা (humanism), ইহজাগতিকতা (secularism) ও বৈরাগ্যবাদ (nihilism)।
বাউলরা ধর্ম নির্দেশিত বেদ-কোরআন মানে না, সমাজ নির্দেশিত জাত-পাত মানে না।

মানুষে মানুষে ভেদসৃষ্টিকারী প্রবৃত্তিসমূহকে ধ্বংস করে ‘সোনার মানুষ’ গড়তে হবে। সোনার মানুষ হলে ‘মনের মানুষকে পাওয়া সহজ হয়। বাউলের মানুষতত্ত্বে ব্যক্তি-মানুষ আর পরম-পুরুষ মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।

বাউল !!!

বাউল একটি বিশেষ লোকাচার ও ধর্মমত।
বাউলকূল শিরোমণি লালন সাঁইয়ের গানের মধ্য দিয়ে বাউল মত পরিচতি লাভ করে।

বাউলদের সাদামাটা কৃচ্ছ্রসাধনার জীবন আর একতারা বাজিয়ে গান গেয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ানোই তাদের অভ্যাস। ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে ইউনেস্কো বিশ্বের মৌখিক এবং দৃশ্যমান ঐতিহ্যসমূহের মাঝে বাউল গানকে অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ হিসেবে ঘোষণা করে।

আনুমানিক সপ্তদশ শতক থেকে বাউল নামের ব্যবহার ছিল বলে জানা যায়। বাউলদের মধ্যে গৃহী ও সন্ন্যাসী দুই প্রকারই রয়েছে। বাউলরা তাদের গুরুর আখড়ায় সাধনা করে।

বাউল মতে বৈষ্ণবধর্ম এবং সূফীবাদের প্রভাব লক্ষ করা যায়। বাউলরা সবচেয়ে গুরুত্ব দেয় আত্মাকে। তাদের মতে আত্মাকে জানলেই পরমাত্মা বা সৃষ্টিকর্তাকে জানা যায়। আত্মা দেহে বাস করে তাই তারা দেহকে পবিত্র জ্ঞান করে। সাধারণত প্রথাগত শিক্ষায় শিক্ষিত না হলেও বাউলরা জীবনদর্শন সম্পর্কে অনেক গভীর কথা বলেছেন।

বাউল গানের বৈশিষ্ট !!!!!

বাউল গানে ‘রাগ’ শব্দটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এখানে ‘রাগ’ অর্থে অভিমান এবং প্রেমের নিবিড়তা বোঝায়। সতেরো শতকে জন্ম নিলেও লালন সাঁইয়ের গানের মাধ্যমে উনিশ শতক থেকে বাউল গান ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন শুরু করে। তিনিই শ্রেষ্ঠ বাউল গান রচয়িতা। ধারণা করা হয় তিনি প্রায় দু'হাজারের মত গান বেধেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ বাউল গান দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন যা তার রচনাতে লক্ষ করা যায়।

বাউল গান সাধারণত দুটি ধারায় পরিবেশিত হয় আখড়া আশ্রিত সাধনসঙ্গীত এবং আখড়াবহির্ভূত অনুষ্ঠানভিত্তিক। আখড়া আশ্রিত গানের ঢং ও সুর শান্ত এবং মৃদু তালের। অনেকটা হাম্দ, গজল কিংবা নাত সদৃশ্য। লালন শাহ্-এর আখড়ায় বসে ফকিররা এ শ্রেণির গান করে থাকে। অপর ধারার চর্চা হয় আখড়ার বাইরে অনুষ্ঠানাদিতে, জনসমক্ষে। এ গান চড়া সুরে গীত হয়। সঙ্গে একতারা, ডুগডুগি, খমক, ঢোলক, সারিন্দা, দোতারা ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্র বাজানো হয়। তাল দাদরা, কাহারবা, কখনও ঝুমুর, একতালা কিংবা ঝাঁপতাল। শিল্পীরা নেচে নেচে গান করে।
বাউল গানে সাধারণত দুধরনের সুর লক্ষ করা যায় প্রথম কলি অর্থাৎ অস্থায়ীতে এক সুর এবং অন্য সব কলিতে কিছুটা ভিন্ন সুর। সবশেষে দ্রুতগতিতে দ্বিতীয় কলির অংশবিশেষ পুনরায় গীত হয়। এ গানে অস্থায়ী এবং অন্তরাই প্রধান। অস্থায়ীকে কখনও ধুয়া, মুখ বা মহড়া বলা হয়।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত ধরেই লালনের গান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রবেশ করে। রবীন্দ্রনাথ লালনের গান সংগ্রহ করে ১৯২২ সালে ভারতীয় পত্রিকার হারামনি শাখায় চারভাগে ২০টি গান প্রকাশ করেন। লালন সাঁই’র বাউল গানে উৎসাহী ও অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেকে রবীন্দ্র-বাউল হিসেবে পরিচয় দিতেন স্বয়ং বিশ্বকবি।

লালন !!

বাউল সম্রাট লালন শাহ্‌। যাঁর আরেক নাম ফকীর লালন সাঁই। তবে শিষ্যরা ডাকে সাঁইজী নামে। আজ থেকে প্রায় ২৩৫ বছর আগের কথা। ১৭৭৪ সালে তিনি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের ভাড়ারা গ্রামে জন্মগ্রহন করেন।

হিন্দু পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তাঁর বাবা ছিলেন শ্রী মাধব কর আর মা ছিলেন শ্রীমতি পদ্মাবতী। লালন বাবা-মা’র একমাত্র সন্তান ছিলেন। শৈশবেই লালন তাঁর বাবাকে হারান। একমাত্র মায়ের আদর স্নেহে বেড়ে উঠেন তিনি। পরিবারের প্রধান বাবা বেঁচে না থাকায় সংসারের দায়-দায়িত্ব পড়ে লালনের কাঁধে। মা ছাড়া তখন তাঁর আর পৃথিবীতে কেউ ছিল না। মায়ের সেবার কথা ভেবে লালন বিয়ে করেন। লালন ব্যক্তি জীবনে ছিলেন নীতিবান। পরিবারের অন্যান্য আত্মীয় স্বজনদের সাথে তাঁর বনিবনা না হওয়ায় মা ও স্ত্রীকে নিয়ে একই গ্রামের দাসপাড়ায় নতুন করে বসতি গড়েন। সংসার চালাতে গিয়ে লালনের আর লেখাপড়ার সুযোগ হয়নি। তবে তিনি শৈশব থেকেই ছিলেন গান বাজনার সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। ভাড়ারা গ্রামে কবিগান,পালাগান,কীর্তন সহ নানা রকম গানের আসর বসতো। লালন সেই আসরের একজন প্রিয়জন ছিলেন। তাঁর গান শুনে মানুষ মুগ্ধ হতো।

লালন পূন্যলাভের আশায় যৌবনের শুরুতে একদিন তাঁর ভাড়ারা গ্রামের দাসপাড়ার প্রতিবেশী বাউলদাস সহ অন্যান্য সঙ্গী-সাথী নিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরে গঙ্গা স্নানে যান। সে সময় রাস্তা ঘাটের অবস্থা ছিল খুবই খারাপ। মাটির রাস্তা বর্ষায় কাদা আর গৃষ্মে ধুলো। তার উপর পায়ে হাঁটা ছাড়া কোন বাহন ছিলনা। মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে মানুষ তার গন্তব্যে যেত।

গঙ্গা স্নান সেরে লালন সঙ্গীদের নিয়ে বাড়ী ফেরার পথে আকস্মিকভাবে বসন্ত রোগে আক্রান্ত হন। রোগের যন্ত্রনা ক্রমেই বেড়ে গেলে এক পর্যায়ে লালন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এই দেখে সঙ্গী-সাথীরা তাঁকে মৃত ভেবে মুখাগ্নি করে নদীর জলে ভাসিয়ে দেয়। সঙ্গীরা বাড়ি ফিরে তাঁর মা ও স্ত্রীকে পথের মধ্যে লালনের করুন মৃত্যুর কথা জানায়। অসহায় মা ও স্ত্রী কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

এদিকে নদীর জলে ভাসতে ভাসতে লালনের দেহ পৌছায় পাড়ে। এক মহিলা কলস কাখে নদীতে জল আনতে গিয়ে দেখে একজন জীবন্ত মানুষ পানিতে ভাসছে। তাঁর চোখের পাতা পড়ছে,হাত-পা নড়ছে এই দেখে মহিলা তাঁকে নদী থেকে তুলে বাড়িতে নিয়ে যায়। মহিলা ছিলেন মুসলিম ধর্মের এক কারিকর পরিবারের রমনী। সেখানে সেবা শশ্রুষা পেয়ে লালন সুস্থ্য হয়ে ওঠেন। তবে বসন্ত রোগে লালনের এক চোখ নষ্ট হয়ে যায় এবং মুখমন্ডলে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। সুস্থ্য লালন নতুন জীবন ফিরে পেয়ে মনের আনন্দে ফেরেন তাঁর প্রিয় গ্রাম, প্রিয় মায়ের কাছে। সন্তানকে জীবিত দেখে তাঁর মা আনন্দে আত্মহারা। স্ত্রী তাঁর স্বামীকে ফিরে পেয়ে সৃষ্টিকর্তাকে জানায় কৃতজ্ঞতা। কিন্তু সকল আনন্দ কিছুক্ষণের মধ্যে হারিয়ে যায়। লালন জীবিত ফিরেছে শুনে গ্রামের লোক দলে দলে তাঁকে দেখতে আসে। সেই সাথে আসে সমাজপতিরা। তাঁরা সাফকথা জানিয়ে দেয় লালনের অন্তুষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এছাড়া সে মুসলমান বাড়ির জল খেয়েছে তাঁকে আর এই সমাজে থাকতে দেয়া হবে না। সেদিন ধর্মের অজুহাতে লালনকে সমাজ থেকে বিচ্যুত করা হয়। বিচ্যুত করা হয় মা ও স্ত্রীর কাছ থেকেও। দারুন কষ্ট আর মর্মবেদনা বুকে চেপে লালনকে চলে যেতে হয় বাড়ি ঘর সংসার মা স্ত্রী পরিবার পরিজন ছেড়ে। জন্মভূমির মায়া ছেড়ে যাওয়ার সময় তাঁর যে বেদনার সৃষ্টি হয়েছিল তা নাড়ি ছিড়ে যাওয়ার মতই। লালনের সাথে তাঁর স্ত্রী গৃহত্যাগী হতে চেয়েছিলেন কিন্তু সমাজের শাসন,লোকচক্ষুর ভয়,ধর্মের বেড়াজাল তার সে পায়ে শিকল পরিয়ে দেয়। এই দু:খ যন্ত্রনা সইতে না পেরে কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়।

যে ধর্মের জন্য লালন গঙ্গা স্নানে গিয়েছিলেন,যে গঙ্গা স্নানে গিয়ে লালনের জীবন বিপন্ন হতে চলেছিল সেই ধর্মের অজুহাতে তাঁকে সমাজপতিরা সমাজ বিচ্যুত করে এই মর্মবেদনা লালনকে দারুনভাবে পীড়া দেয়। মূলত: এখান থেকেই লালন ভাবনার বিকাশ ঘটে। সমাজ বিচ্যুত লালন মরমী সাধক সিরাজ সাঁইয়ের সাথে যোগাযোগ ঘটে । সিরাজ সাঁই ছিলেন কাহার সমপ্রদায়ের একজন সাধক পুরুষ। এই সাধকের সান্নিধ্যে এসে লালন দিনে দিনে হয়ে উঠেন আধ্যাত্বিক চিন্তা চেতনার প্রধান পুরুষ। সিরাজ সাঁইকে গুরু হিসেবে গ্রহন করে লালন হয়ে উঠেন ফকীর লালন সাঁই । ফকীর লালন ছিলেন গুরুবাদে বিশ্বাসী। তাঁর গানে সে কথায় ফুটে ওঠেছে। তিনি বলেছেন-

গুরু,তুমি তন্ত্রের তন্ত্রী
গুরু,তুমি মন্ত্রের মন্ত্রী
গুরু,তুমি যন্ত্রের যন্ত্রী
না বাজাও বাজবে কেনে।।

লালন কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার ছেঁউড়িয়া গ্রামে আখড়া করেন। প্রথম দিকে লালন ছেউড়িয়া গ্রামের কালীগাঙের পাড়ে গহীন বনের মধ্যে একটি আম গাছের নীচে বসে ধ্যানে মগ্ন থাকতেন। ধ্যান মগ্ন লালন কখনও জঙ্গল থেকে বের হতেন না। তিনি জঙ্গলের মধ্যেই আনমেল নামের এক প্রকার কচু খেয়ে থাকতেন। জঙ্গলের মধ্যে এই সাধক পুরুষের কথা এক কান দু’কান করে ছেউড়িয়া গ্রামের সবার কাছে পৌঁছে যায় । ছেঁউড়িয়া গ্রামটি ছিল কারিকর সমপ্রদায় প্রধান গ্রাম। কারিকরদের অনেকে লালনের পাশে এসে দাঁড়ায় । সাঁইজীর অনুমতি নিয়েই কারিকর সমপ্রদায় লালনের একটি আখড়া বাড়ি তৈরী করে দেয় এবং সবাই তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহন করে । লালনের প্রথম পর্যায়ের শিষ্যত্ব গ্রহন করে ছেউড়িয়ার এই কারিকররাই। আধ্যাত্মিক সাধক লালন সাঁইয়ের সাধনার কথা কিছুদিনের মধ্যেই চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। লালন প্রথমদিকে আখড়ায় খুব কমই থাকতেন। শিষ্যদের নিয়ে তিনি পার্শ্ববর্তি অঞ্চল পাবনা,রাজশাহী,যশোর,ফরিদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় তাঁর মতবাদ গানের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এই সময় তাঁর গানের জ্ঞান ছড়িয়ে পড়ে। সাধারন মানুষ সে হোক হিন্দু কিংবা মুসলিম সবাই তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহন করতে থাকে। কারন লালনের গানের মধ্যে তারা মানবমুক্তির ঠিকানা খুঁজে পায়। জাত-পাতহীন.ধর্ম-বর্নহীন সমাজের কথাই ছিল লালনের গানের মূল কথা।

জাতের কারনে লালন সমাজ বিচ্যুত হয়। যার কারনে জাত-পাতের বিরুদ্ধে লালন গানের মাধ্যমে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। তিনি তাঁর গানে উল্লেখ করেছেন-

জাত না গেলে পাইনে হরি
কি ছার জাতের গৌরব করি
ছুঁসনে বলিয়ে।
লালন কয় জাত হাতে পেলে
পুড়াতাম আগুন দিয়ে ॥

১৮৯০সালের ১৭ অক্টোবর (১২৯৭ সালের ১ কার্তিক) শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় ১১৬ বছর বয়সে বাঙলা আর বাঙালীর হৃদয়ের মানুষ বাউল সম্রাট মরমী সাধক লালন শাহ্‌ ইন্তেকাল ত্যাগ করেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

7 মন্তব্যসমূহ

  1. অসামান্য কলম
    একরাশ মুগ্ধতা

    উত্তরমুছুন
  2. এ এক অসাধারণ প্রতিবেদন ।পড়লে যেকোনো শাখা বা বিষয়ের পাঠক অবশ্যই সমৃদ্ধ হবেন।সবাই পড়ুন ।

    উত্তরমুছুন
  3. সমৃদ্ধ আলোচনা ... লালন এক জীবন বোধ,অন্তরদর্শন 🙏❤

    উত্তরমুছুন
  4. তথ্য ভিত্তিক ভালো প্রতিবেদন! তবে লালনের জীবন প্রসঙ্গটাই এখানে মূলতঃ আলোচিত হয়েছে, যা আমরা লালন সাঁইয়ের বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে জেনেছি।
    দর্শন প্রসঙ্গে বলার - ইহজাগতিকতা এবং বৈরাগ্যবাদ লালন সাঁইয়ের গানে কি ভাবে ধরা দিয়েছে তা আলোচিত হলে ভালো লাগতো। বাউল দর্শনের সাথে বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থার তুলনামূলক আলোচনা আশা করেছিলাম। প্রসঙ্গত বলি, ঝুমুর গান কোনও তাল বিশেষ নয়, ঝুমুর গান এক পুরাতন গানরীতি। যে গানের উৎপত্তি আমাদের অবিভক্ত বাংলা।
    পুরো লেখাটা অনেক খেটে লিখতে হয়েছে তার জন্য একটা আলিঙ্গন এই সোশ্যাল ডিস্টান্সিং এর মধ্যেও।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. একটা ছোট্ট কথা বলতে চাই ... ঝুমুর কিন্তু একটি
      তাল বিশেষ যা সাধারনত ৮ মাত্রার হয়ে থাকে , আর ঝুমুর গান সে ত আছেই যা পল্লী সঙ্গীত রূপে পরিচিত ।

      মুছুন
  5. অসাধারণ প্রতিবেদন লালন প্রসঙ্গত অনন্য লেখনী সমৃদ্ধ হলাম..

    উত্তরমুছুন