পোস্ট বার দেখা হয়েছে
সুকুমার রুজ
সুকুমার রুজ-এর 'রাইকিশোরী সিরিজ' ধারাবাহিক
প্রতি সংখ্যাই ৫-টি কবিতা
*******************
।। রাইকিশোরী সিরিজ।।
।। সুকুমার রুজ ।।
১
জিয়নকাঠি
রাইকিশোরী, তোমার হাতেই আছে শ্যামের জিয়নকাঠি
তুমি ছাড়া এই নওলের সৃষ্টিকলার স্বপ্নমাটি।
তাই তো তোমায় আঁকড়ে থাকি, থাকবো সারাজীবন ধরে,
তোমার আমার হৃদয়-দোলা করবো স্মরণ নিত্য ভোরে।
এভাবেতেই কৃষ্টিকলার মাঝে যদি বৃষ্টি আসে,
সৃষ্টিছাড়া বলুক লোকে, তাতে কী আর যায় বা আসে!
আসল কথা, বিশ্বলোকের মানুষজনের মনের ঘরে,
সুখ-স্বপনের বীজবপনে আনন্দফল উঠুক ভরে।
**********
২
পরশমনি
রাই যে কখন পরশপাথর ছুঁইয়ে দিল এ হৃদয়ে!
বদলে গেল হৃদয়-দোলা, ছন্দ এলো নিবিড় হয়ে।
যে ভাষাতে শ্যামের আকাশ হঠাৎ হঠাৎ মেঘলা হতো,
সে ভাষাতেই এখন দেখি, ঝলমলে রোদ অবিরত।
আমার ভেতর আর এক আমি, বুঝতে পারি, নড়েচড়ে।
আলোর ভেতর অন্য আলো, রামধনু-রঙ ঠিকরে পড়ে।
বুকের ভেতর শব্দ তোলে-- জাগো প্রণয়-সঞ্জীবনী,
রাইকিশোরী শ্যামসোহাগী, নন্দলালার পরশমনি।
********
৩
অভিধান নাই
ওগো প্রেমবিলাসিনী রাই...
তোমাকে যে সর্বদা সুন্দর দেখে
তোমার কানাই।
তোমার হাসি তো নয়, যেন কাব্যকথা
চোখের চারপাশে মাখানো মমতা..
হৃদয়ে হৃদয় ছুঁলে
শরীরে হয় সমুদ্র সঞ্চার
তোমার চুলের গন্ধে ভরে করে
করি সে সমুদ্র পারাপার।
তুমি বলে ওঠো--
এসব ছাড়, এসো গল্প করি...
তখন দুজনের হৃদয় আহা মরি মরি
রামধনু আঁকে...
ঠিক তখনই কথার ফাঁকে হৃদয় হারায়
গল্পের ভেতর কামনা হাত বাড়ায়।
তুমি বলো- -হৃদয় হারাবে কোথায়!
হৃদয়ের তো কোনো অভিধান নাই।
********
৪
বিরহ
শারীরিক প্রেমে আর কাজ নেই রাই
মানব-প্রেমের কাজে ব্যস্ত কানাই।
মানুষের দুখ্-জ্বালা বেদনকথা
শুনে মনে যন্ত্রণা, হৃদয়ব্যথা।
তাই হাতে বাঁশি নয়, চক্রধারণ
বেশি দরকারি যে অশুভ নিবারণ।
জানি বিরহেতে তুমি বেদনা-আকুল
একা কি কুড়োবো আমি আলোময় ফুল!
তোমাকেও নেবো সাথে হৃদয়মাঝে
চলো প্রেম বিলোবে মানব-কাজে।
*******
৫
প্রেম-পারাবার
ওগো রাই!
তোমার বুকের গহীনে হাত ডুবিয়ে
মুঠো মুঠো প্রেম তুলে আনি।
তুমিই করেছ প্রেমিক,
এ কথা তো বিশ্বে জানাজানি।
বিশ্বপ্রেম শিখে নাও নওলের কাছে,
এর চেয়ে বড় পৃথিবীতে আর কিবা আছে!
প্রেম পেতে তোমার জগতে আমি করি দরবার,
বিশ্ব জানে, আমি নাকি প্রেম-পারাবার!
3 মন্তব্যসমূহ
শুধুই মুগ্ধতা আর মুগ্ধতা
উত্তরমুছুনরক্ষা করো বংশীধারী
বিশ্বে যে আজ মহামারী
দারুণ
উত্তরমুছুনভীষণ ভালো লেখা
উত্তরমুছুন