রক্তাক্ত ক্যানভাস | নিবেদিতা দত্ত




পোস্ট বার দেখা হয়েছে
ছবি : সংগৃহীত


 রক্তাক্ত ক্যানভাস


বীথি আর সাম্য এখন বাড়ির সবার সাথে জমিয়ে গল্প করছে আর শনিবারের স্পেশাল আইটেম 
মুড়ি তেলেভাজা আর চা খাচ্ছে। হঠাৎই ডোরবেল বেজে উঠলো, সাম্য বলল তোমরা চালিয়ে যাও আমি দেখি কে এল।

ঘরে আসতে সবাই দেখলো ওর হাতে একটা খাম। খামের উপরে ওদের ঠিকানা লেখা, চিঠিটা 
ওর বন্ধু রাতুলের লেখা। রাতুলের থেকে ওদের বাড়ির দূরত্ব যদিও মাত্র চার কিলোমিটার, কিন্তু ও এখন বারাণসী তে। তবে এখন তো মোবাইলের যুগ, তার পরেও চিঠি! 
বেশ অবাকই হয় সাম্য।

রাতুলটা পারেও বটে! পাগল ছেলে! বলে চিঠিটা খুলে পড়তে শুরু করলো। চিঠিটা ছিল এই রকম.....

প্রথমেই খুব অবাক হয়েছিস নিশ্চয়ই বোতাম টেপা যুগে চিঠি পেয়ে। আসলে তোকে ক'টা কথা বলতে চাই যেটা নিজের হাতে লেখা থাকলে ভালো হয় মনে হল, তাই এই চিঠি। জানিস তো বরাবরই আমি নিজের কথা বলতে পারি না, কেমন যেন অস্বস্তি হয়। ফোনে বা হোয়াটস অ্যাপে বলতে আরোই বিরক্তিকর লাগে। তাই চিঠিই আমার কাছে সহজ রাস্তা। তোর সাথে অনেকদিন হলো আমার যোগাযোগ নেই। আসলে বারাণসী তে পড়তে যাওয়ার পর থেকেই কলকাতা থেকে, পুরোনো লোকজন বন্ধুবান্ধব থেকে, কী করে জানি, না চাইতেও দূরে সরে গেছি। 
ওখানে গিয়ে ভার্গবি বলে পুনের এক মেয়ের সাথে আমার আলাপ হয়। আমার আর ওর পড়ার বিষয় আলাদা হলেও একই কলেজ ও কিছু কমন বন্ধু হওয়ায় আমাদের পরিচয়টা বন্ধু থেকে লাভার হতে বেশি দেরি হয় নি। আগুনে ঘি ফেলার কাজটা করেছিল আমাদের দুজনেরই 
পুরোনো স্থাপত্যের প্রতি আকর্ষণ।

ছবি সংগৃহীত 


প্রায় প্রতি রবিবার বা ছুটির দিনে আমরা আশেপাশের পোড়ো মন্দির, বাড়ি, আরো অনেক জায়গায় ঘুরে বেড়াতাম। আমি রং তুলি ক্যানভাস আর ও ওর নিকন ডি৭৫০০ ক্যামেরাটা নিয়ে। গত বছরের ২রা ফেব্রুয়ারি (দিনটা আমি কোনো দিন ভুলবো না) আমি আর ভার্গবি 
কফি হাউসে বসে কফি খাচ্ছি আর সামনের রবিবার কোথায় যাওয়া যায় তার আলোচনা করছি। 
হঠাৎ পাশের টেবিল থেকে একজন লোক এগিয়ে এসে বললো তিনি নাকি অনেক পুরোনো এক জমিদার বাড়ির কথা জানেন, আমরা চাইলে আমাদের নিয়ে যেতেও পারেন। মানুষের মন, স্বভাবতই প্রশ্ন জাগলো ওর এতে কি লাভ! আমি উনাকে কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই উনি 
বললেন, উনি নাকি সাংবাদিকতা করেন, একটা অ্যাসাইমেন্ট নিয়ে ওই দিকেই যাবেন, একসাথে গেলে ভালো লাগবে গল্প করতে করতে সময়ও কেটে যাবে তাই এই অফার। আমাদের আর কোনো আপত্তি থাকলো না। ঠিক হলো আগামী ৪ঠা ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল সাতটায় উনার অফিসের গাড়িতেই রওনা হবো। প্ল্যান ছিল উনি আমাদের নামিয়ে ওখান থেকে নিজের গন্তব্যে চলে যাবেন আর ফেরার পথে নিয়ে যাবেন। নির্দিষ্ট দিনে ওই পোড়ো জমিদার বাড়িতে যখন পৌঁছলাম তখন প্রায় এগারোটা। রাস্তাতেই কিছু খাবার খেয়ে নিয়েছিলাম 
আর বেশ কিছু শুকনো খাবার জল এগুলো সঙ্গে নিয়ে নিয়েছিলাম।

ছবি সংগৃহীত 


জমিদার বাড়িটা এক কথায় অসাধারণ। অনেক পুরোনো তো বটেই। দেওয়াল ফুঁড়ে বট অশ্বত্থ 
গাছের জঙ্গল, জমে থাকা শ্যাওলা, অযত্নে যত্রতত্র গজিয়ে ওঠা আগাছা, বাড়িটাকে যেন হানা বাড়ির রূপ দিয়েছে। বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে ভার্গবি পটাপট ছবি তুলছে দেখে 
আমি নিজেই বাড়ির ভিতরে যাওয়ার রাস্তা খুঁজতে লাগলাম। অনেক খুঁজেও প্রধান ফটক বা খিড়কি দরজা দেখতে না পেয়ে শেষে একটা ভাঙা জানলার গরাদ ভেঙেই বাড়ির ভিতরে গেলাম। আমার প্রধান লক্ষ্য ছিল ভিতর থেকে বাড়ির কোনো একটা অংশের স্কেচ বানানো, 
তাই বিভিন্ন দিক থেকে বাড়িটাকে দেখতে লাগলাম। হঠাৎই ডানদিকের একটা কোনের দিকে চোখ পড়তেই বুঝলাম ওটা উপরে যাওয়ার সিঁড়ি। কৌতূহল বড় বালাই! উপরে গিয়ে প্রথম প্রথম খুব ভয় লাগছিল, এই বুঝি ছাদ ধসে নীচে পড়লাম! কিন্তু অল্প সময় পর সেই ভয় কেটে গেল। একটা একটা করে প্রতিটা ঘর দেখতে লাগলাম। কোনো আসবাব দেখবো যদিও ভাবিনি, কিন্তু অবাক হয়ে দেখলাম প্রায় প্রতিটি ঘরেই কিছু না কিছু আছে। যদিও সব 
কিছুর উপরই ধুলোর পুরু চাদর বিছানো। কিছু বাসন দেখলাম, সেগুলো কিসের জানিনা। 

ছবি সংগৃহীত 

হাতল ভাঙা চেয়ার, ছেঁড়া টানাপাখা, একটা ভাঙা গড়গড়া এইরকম বেশ কিছু জিনিস। পুব দিকের একটা অন্ধকার মতো ঘরে ঘুড়ে বেড়াচ্ছি, হঠাৎই চোখ আটকালো দেওয়ালে টাঙানো চারকোনা জিনিসটার উপর। সাইজ দেখে ঠিক ক্যানভাসের এর মতোই লাগছিল। তাই ছুটে 
গিয়ে পকেটে থাকা রুমাল দিয়েই ওটা পরিষ্কার করা শুরু করলাম। শেষে যা দেখলাম, আমি বিস্মিত, তুই বিশ্বাস করবি না কী অদ্ভুত মায়াবী একটা হাতে আঁকা ছবি! 
পূর্ণিমার রাতের আকাশ জোড়া চাঁদ আর তার নিচে কোনো এক পাটাতনের একদম শেষ বিন্দুতে বসা মলিন বিষণ্ন মুখের একটা ছেলে, পায়ের নীচে মাথার উপরে সীমাহীন 
শূন্যতা। এর পরে কেউ আর ছবি আঁকতে পারে কী! আমি তখন এক ঘোরের মধ্যে আছি। শুধু বাড়ি যেতে ইচ্ছে করছে। জানি খুব অন্যায় করছি তবুও ছবিটা নিয়ে আসা থেকে নিজেকে আটকাতে পারলাম না। উদ্দেশ্যহীন ভাবে আরো কিছুক্ষন এদিক সেদিক ঘুরে, ছবিটাকে 
সঙ্গে নিয়ে, ভার্গবিকে প্রায় জোর করে টেনে নিয়ে মেসে চলে এলাম। ওই সাংবাদিক বন্ধুর জন্য আর অপেক্ষা করিনি, উনাকে শুধু ফোনে জানিয়ে দিয়েছিলাম আমরা ফিরে যাচ্ছি।

অত সুন্দর মায়াময় একটা ছবি যে আমার জীবনে কাল হয়ে দাঁড়াবে স্বপ্নেও ভাবিনি। 
এতক্ষন এই চিঠি পড়ে তোর হয়তো বিরক্তিই লাগছে, ভাবছিস কি পাগলের মত লিখছি, কিন্তু পরের ঘটনাটা বলার আগে এগুলো বলার দরকার ছিল বন্ধু। যদিও তুই বিশ্বাস করবি কিনা জানিনা, না করলেও তোকে দোষ দেব না, কারোর পক্ষেই এটা বিশ্বাস করা 
সম্ভব নয়। যাইহোক এবার আসল ঘটনায় আসি। মেসে এসেই ছবিটা পরিষ্কার করতে লেগে 
পড়লাম। কত বছরের ধুলো যে জমে আছে! প্রথমে তোয়ালে দিয়ে মুছে, নরম ব্রাশ দিয়ে 
হালকা হাতে ঘসে এয়ার কম্প্রেসার দিয়ে কিছুটা ধুলো পরিষ্কার হলো, তাও অনেক জায়গায় কালচে স্পট লেগে থাকাতে ইমালসন ফ্লুইডের সাহায্যে পরিষ্কার করাতে ছবিটা যেন কথা বলে উঠলো। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো ছবিটা কেমন যেন রক্তাক্ত। ছবিটা পরিষ্কার হওয়াতে আরো স্পষ্ট ভাবে বোঝা যাচ্ছে। ভাবলাম এক ভাবে কাজ করার ফলে 
চোখেই হয়ত ভুল দেখছি। যাইহোক এই ব্যাপারে আর বিশেষ পাত্তা না দিয়ে আমি ছবিটা 
শুকোতে দিয়ে একটু মেসের ছাদে ঘুরতে গেলাম। এক নাগাড়ে এই ভাবে কাজ করে মাথাটাও 
বেশ ধরেছিল। ছাদের ঠান্ডা হাওয়ায় শরীরটা যেন জুড়িয়ে যাচ্ছিল। মাত্র কয়েকদিন আগেই পূর্ণিমা গেছে, বিশ্ব সংসার যেন জ্যোৎস্না ধারায় স্নান করছে।

তারপর থেকে গতানুগতিক ভাবেই জীবন চলতে লাগলো। তবে ছবিটাকে বড্ড বেশি জীবন্ত 
লাগে আজকাল। ওটা আমার বেডের ঠিক উপরের দেওয়ালেই টাঙানো আছে। ধীরে ধীরে 
ফেব্রুয়ারি মাস শেষ হতে চলল, আর অবাক করা বিষয় হলো যত দিন যাচ্ছে ছবিটা যেন 
আমার উপর নিজের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে চাইছে। আমাকে সম্মোহন করছে। দিনের বেলা 
সেরকম কিছু না হলেও রাতে যেন ছবিটা থেকে চোখ সরাতে পারতাম না। ধীরে ধীরে এলো 
সেই রাত, সন্ধ্যা থেকেই আকাশে বড় গোল চাঁদ উঠেছে আর আমার ভিতর কেমন একটা 
অস্বস্তি কাজ করছে। যত রাত বাড়তে লাগল চাঁদের আলো উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হতে 
লাগলো কে যেন আমাকে বলতে লাগলো ছাদে ওঠ কার্নিশে দাঁড়া নীচে ঝাঁপ দে...কী শান্তি...!

প্রথম প্রথম বুঝতে পারতাম না কি হচ্ছে আমার সাথে, কয়েক মাস কেটে যাওয়ার পরে 
বুঝলাম পূর্ণিমা আসলেই কে যেন আমাকে ওই ছবির মতোই শূন্যতায় নিয়ে যেতে চাই। 
আমাকে মেরে ফেলতে চায়। কী ভয়ঙ্কর দৃষ্টি ওই ঝুঁকে পরা চোখ বোজা আবঝা অবয়বটার। 
আবার ছবি থেকে অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে থাকতেও পারতাম না। কী এক আকর্ষণে আমার চোখ 
দুটো ওই ছবিতেই আটকে থাকতো। আরো অদ্ভুত ব্যাপার হলো যতই পূর্ণিমার দিন কাছে 
আসত ততই ছবিটা থেকে যেন তাজা রক্ত চুঁইয়ে পড়তে চাইত। ঠিক মনে হত ছবিটাতে আস্তে 
করে একটা টোকা মারলেই ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসবে। পূর্ণিমার ওই সব দিন গুলো 
আমার মধ্যে দুটো সত্ত্বা কাজ করতো একজন চাইতো মেরে ফেলতে অন্যটা আমাকে বাঁচিয়ে 
রাখতে। আস্তে আস্তে যখন বুঝলাম সবই হচ্ছে ওই ছবিটাকে কেন্দ্র করেই, কতবার 
চেয়েছি ছবিটাকে নষ্ট করে ফেলতে। পুরোনো দিনের জল রঙা ছবি, জল দিলেই নষ্ট হবার 
কথা, কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার ওটা না জলে না আগুনে না ছিঁড়ে কোনো ভাবেই নষ্ট 
করা যায় না। আমি জানি ওই ছবিই আমার কাল, আমি কোনো ভাবেই এর থেকে মুক্তি পাবো 
না।

ভার্গবি আমার কথা বিশ্বাস করে না, বলে সবই আমার অলীক কল্পনা, আমি নাকি মানসিক 
রোগে ভুগছি। প্রায় আট মাস ধরে ডাক্তার দেখাচ্ছি....ওষুধ খাচ্ছি.....কিন্তু কোনো কিছুই আমাকে মুক্তি দিতে পারছে না। পূর্ণিমার ওই রাতগুলোতে বেশি করে 
ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করেছি, যাতে বাঁচা মরার খেলাটা না খেলতে হয়! 
কিন্তু বিশ্বাস কর সেটাও সম্ভব হয়নি। রাত বারোটাই ঠিক ঘুম ভেঙ্গে গেছে, আর ভোর 
হওয়ার আগে অব্দি এই অসম লড়াই চলেছে। মৃত্যুর সাথে ট্যাগ অফ ওয়ার খেলতে খেলতে 
আমি ক্লান্ত। অনেক পরে এই ঘটনার ইতিহাস খুঁজতে আবার ওই জমিদার বাড়ি গিয়েছিলাম। 
সেখানে কিছু না পেয়ে আসে পাশের অনেক গ্রামে খোঁজ নিয়ে যা জেনেছি সেটাও প্রায় 
অসম্ভব একটা ব্যাপার!

ওই জমিদারীর চতুর্থ পুরুষ ছিলেন রুদ্রনারায়ন সিং। তার মত অত্যাচারী জমিদার ওই 
তল্লাটে আর ছিল না। খাজনা আদায়, জমি দখল, চক্রবৃদ্ধি সুদ আদায় সব মিলিয়ে যেন 
এক জীবন্ত রক্তচোষা জীব।তৎকালীন সময়ে ওই গ্রামে শিবনাথ সারং নামে এক যুবক তার 
বাবা মা আর দুবিঘে জমি নিয়ে আনন্দে থাকতো। এক অনাবৃষ্টির বছরে শিবনাথের বাবা 
জমিদারের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার করে, কিন্তু ওই জমিদার এক বছরে সেই টাকার সুদ 
বাবদ ওদের জমি, বসত বাড়ি সব কেড়ে নেয়। প্রতিবাদ করায় রাতে ঘুমের মধ্যে ঘরে 
আগুন ধরিয়ে দেয়। সৌভাগ্যবশত শিবনাথ সেদিন পাশের গ্রামের পন্ডিত মশাইয়ের কাছে 
আঁকা শিখতে গিয়েছিল। সকালে গ্রামে ফিরেই সব ঘটনা জেনে জমিদার বাড়ি যায়। সেখান 
থেকে তাকে আর কেও ফিরতে দেখেনি। সবার ধারণা ওকে জমিদার বাড়িতেই মাটির নিচে 
কোনো গুম ঘরে ভরে মেরে দেওয়া হয়। কথিত আছে শিবনাথ তন্ত্রবিদ্যা জানতো। 
মন্ত্রের জোরে নিজের আত্মা ওই ছবির মধ্যে সঞ্চারিত করে যায়। তারপর থেকেই ওই 
বাড়িতে সবাই ই প্রায় অপঘাতে মরে। কেউ ছাদ থেকে লাফিয়ে পরে, কেউ গঙ্গায় ঝাঁপ 
দিয়ে।

আজ একুশে জানুয়ারি। ভরা পূর্ণিমা। এখন দুপুর তিনটে। আমি সিকিমে এসেছি, হোটেলে 
আছি, সঙ্গে আছে শুধু সেই রক্তাক্ত আভার অভিশপ্ত ছবি। এতগুলো প্রাণ নিয়েও যার 
প্রতিশোধ নেওয়া শেষ হয়নি! কিন্তু আমি এই মৃত্যু মিছিল আর প্রলম্বিত করতে দেবো 
না। দুদিন ধরে অনেক খুঁজে হোটেলের কাছাকাছিই এক খাড়াই পাহাড় দেখে এসেছি, ঠিক 
ওই ছবির মতো। মাথার উপরে আর পায়ের নিচে অসীম শূন্যতা। আর একটু পরেই রওনা দেবো। 
এতদিন বাদে জীবন মৃত্যুর টানাপোড়েনের হাত থেকে হয়তো মুক্তি পাবো। আর মাত্র 
কয়েক ঘন্টা! আজ সন্ধ্যায় গোল চাকতির মত ধবধবে সাদা চাঁদটা যখন আকাশে জ্বলজ্বল 
করবে আমি এই অভিশপ্ত ছবিকে সঙ্গে নিয়ে এই একই ভাবে পাহাড়ের কিনারে বসে 
চিরশান্তির দেশে যাওয়ার অপেক্ষা করবো...

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ