বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় | দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য




পোস্ট বার দেখা হয়েছে
ছবি সংগৃহীত


শ্রদ্ধাঞ্জলি
       

সেই উদ্যমী সময় বিভ্রান্তি এড়াইয়া চিরাচরিত চাঁদের পাহাড় কিংবা আদর্শ হিন্দু হোটেল কতৃক এক পেয়ালা চায়ের ভাড় লইয়া জীবন অতিবাহিত করিতে পারিত!  সেই জীবন অনুস্থাপন এবং সংসার উদ্ভাবন প্রণালী লইয়া আপাদমস্তক ঢাকিতে ঢাকিতে উপন্যাসের শেষ পাতা চুঁইয়া পরে শশ্মানের সমগ্র ঘ্রাণ!  কোন্দল যদিও পারিপার্শিক নিরন্তর স্বপ্ন জগৎ লইয়া একদা বিক্ষুব্ধ সম্পর্ক গুলি আগলাইয়া সুর চড়াইয়া লইতে পারিতো, নদীর একটি ডিঙি অথবা দূর্গমতা জয়, রক্ত মাংস জড়াইয়া গতিবিধি এবং উপলক্ষ্যে আজীবন উপবাস মাত্র ! 

আর নাই সেই কণ্ঠস্বর এবং গড়িমায় ভাসিয়া ভাসিয়া আচরণের শেষ বিন্দু কালক্রমে হৃদয়ের অকলুষিত চেতনা জাগ্রত করিতে পারে; চলিয়া যাওয়ার কালে পিছুটান অদ্যবধী অকুঞ্চিত সয়ানে সয়ানে আকাশ দেখিতে পাইলেও পাইতে পারে!  ঝরিয়া যাইবার আদিউপান্ত না বুঝিয়া যেই প্রকারে বৃক্ষরাজি পাতা আগলাইয়া রাখে নিরন্তর!  আমি সেই পুস্তক কোঁচে লইয়া পারিপার্শিক সমগ্র নিদান ভুলিয়া চলিতেছি  ! 
ফিরিয়া চাও, দেখিতে চাইলে দেখিতে পারো বিশ্ব কাপুরুষতা ফিরাইয়া আনিতে প্রস্তুত,  জাতী ধর্মের অবশেষে তোমারই শুভনাম অনিমেষ বাসা যোগান করিয়া চলুক!  আবার আমি না হয় তৃপ্তির ছাদে উঠিয়া সমাজতান্ত্রিক কলুষিত প্রয়াসের শশ্মান যাত্রা দেখিবো!  আমার হাত তোমার সুউচ্চ কলমে কালি ছড়াইয়া দিবে, আর ছোট্ট শিশুদের ন্যায় জড়াইয়া ধরিব , অভিনব সৃষ্টি সঙ্কুল!  আমার শক্তি গুলি "বিভূতি "বলিয়া ডাকিবে তো ডাকুক! ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ