দৈনিক কবিতা গুচ্ছ




পোস্ট বার দেখা হয়েছে
                                              ছবি সংগৃহীত 

বাংলা ভাষার মহিমা
স্মৃতি বেগ বিশ্বাস

মনের ভিতর যত শব্দ ঘোরে-ফেরে দিবানিশি
তাদের আমি যত্ন করে সাজাই যুক্ত,বিযুক্ত নানা বর্ণে।
বর্ণের মিলনে গড়ে তোলা শব্দে সঠিক অর্থও যোগ করি-
যাতে তা উচ্চারণ ও শ্রুতিমাধুর্যে বিরূপতা না আনে।

'হিজিবিজি','হযবরল','আবোল-তাবোল' শব্দগুলি না কি অর্থহীন---
অথচ সেই শব্দগুলিই কবিতা-কাব্যের নাম হয়েছে অনায়াসে।তাহলে সেই নামকরণের কাব্য কি অর্থ-হারা ! 
এ সত্য উদঘাটনে আমি সদা-প্রয়াসী।

পরপর বর্ণ সাজিয়ে যখন কাউকে বলি তুমিই ভালোনা --
তখন শ্রোতা আহত হয়,হয়তো ক্রুদ্ধও হতে পারে।
কিন্তু একটু ভঙ্গী বদলে যেই বলি- তুমিই ভালো না ? 
অমনি ভানুমতীর খেলার মতো সেই আহত মুখেই হাসি-আনন্দ দেখি।

তাই বাংলা শব্দ-ভাণ্ডারে চোখ-মন রেখে আমি বলি- হে বঙ্গভাষা তুমি প্রণম্য,তুমি অতুলান। 
উচ্চারণের তারতম্যে আর বিরাম-চিহ্নের যথাযথ ব্যবহারে
নেতিবাচক কথাও  কি সুন্দর অস্ত্যর্থক প্রশ্নবাক্য হয়ে শ্রোতার মানসিক ভার লাঘব করতে পারে।

মনে রাখতে হবে বাংলা ভাষা হলো  সেই শব্দসমূহ যা শান্তিবারি হতে পারে।
সেই ভাষা ব্যবহারের  নৈপুণ্যে দুখী মনেও আনা যায় আনন্দের প্লাবন।
ছেদ,যতি,কমা,দাঁড়ি প্রশ্নচিহ্ন প্রভৃতি  ব্যবহারের যথার্থ ক্ষমতা অন্য মাত্রা আনে বাংলা ভাষায়-যাকে বলা যায় বাংলা ভাষার উজ্জ্বল দীপ্তি।

বিদ্যাসাগরের বর্ণপরিচয়ের বর্ণমালা
ধীরে,ধীরে গড়ে তুললো পরস্পরকে বোঝার পথ।
আর রাজা রামমোহন সেই বোঝার পথকে করে দিলেন রাজপথ।
সঠিক ওষুধ-পথ্য যেমন শরীরের দুর্বলতা দূর করে তেমনই - ভাষা
ব্যবহারের সঠিক-সুন্দর পথই প্রকাশ করতে পারে বাংলা ভাষার মহিমা।

=====

চিরদিনের
ড.মহীতোষ গায়েন

একদিন সব বিবাদের মীমাংসা হবে,
সব রাগ জল হবে একদিন-
জলপরি এসে বলবে:'বেহেস্তে যাবে?'

একদিন জিন্দাপির এসে বলবে:
যত পার পাপ করে নাও
আমি তো আছি‌।

আমি তো আছি,সব বাহাদুর বলে
আমিই সব,আমি তো আছি,
আমি মানে তো সর্বনাশা ঘূর্ণিপাক।

তমসাবৃত বেহেস্তে সব চালবাজরা
ফূর্তি করে,রাজা এবং প্রজার টাকায়-
রাজা মানে তো প্রজার শুধু রক্তশোষা!

শোষণ! দেখ চারিদিকে হচ্ছে অবিরত
এক শিয়াল ডাকলে পরে
সব শিয়ালের হুঙ্কহুয়া।

হুঙ্কাহুয়া ডাকা মানেই বেজায় বিপাক
বেজায় বিপাক হচ্ছে বলেই
ছল চাতুরী,বিচ্ছিরি সব।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ