গল্প | ধর্মেন্দ্র রাওয়াত




পোস্ট বার দেখা হয়েছে


সময় ও চেতনা
 ধর্মেন্দ্র রাওয়াত 


শ্রীশ ওঠো,
শ্রীশ---
মালার ডাকে
সকালবেলায় আমার ছেলে বিছানায় ঘুম থেকে তিং করে লাফিয়ে উঠে আমার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে ।
'কী হলো ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছিস?'
'একটা খুব অদ্ভুত স্বপ্ন দেখলাম বাবা'
আমি হাসতে হাসতে বলি- 'স্বপ্ন তো অদ্ভুত হয়-ই।'
'আর ভীষণ মজারও বাবা।'
আমি হো হো করে হাসতে হাসতে বলি 
'আমিতো এখনো খুব মজার মজার খুব অদ্ভুত স্বপ্ন দেখি। শোন তাহলে আমার ছোট্ট বেলার  অদ্ভুত একটা স্বপ্ন।  এখনো মাঝে মাঝে  ভাবি আর খুব হাসি পায়।'
ছেলে ঘুম ঘুম চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আমার স্বপ্ন টি শুনতে চায়।
'আমি তখন তোর মতোই ছোট্ট। আমার বাবা মানে তোর দাদু ছিল রেলের ড্রাইভার।   আমরা থাকতাম রেল কলোনি লোকো পাড়ায়। আর আমাদের পাড়ার সামনেই ছিল রেললাইন ।একদিন তোর মত বয়সেই স্বপ্ন দেখি যে- আমরা বন্ধুরা মিলে লাইনের পাশে একটা ছোট্ট মাঠে খেলছি। হঠাৎ আমি লাইন এর কাছে চলে যাই । সেই সময়েই একটি ইঞ্জিন আসে আর আমি কাটা পড়ে যাই। তারপর কিছুক্ষণ পরেই দেখি আমি লাইন থেকে উঠে আমার এক প্রিয় বন্ধু বিশু এখন কলকাতায় থাকে তার পিছনে লুকিয়ে পড়ি। তাকে বলি-' বিশু মাকে বলবি না যে আমি মারা গেছি।'
'তারপর? 'ছেলের মুখে মিষ্টি মিষ্টি  হাসি ।
হাসতে হাসতেই বলি -'তারপর আর মনে নেই।'
ছেলেও হাসতে হাসতে বলে- 'আমারও  স্বপ্নটা শুরু কিন্তু ট্রেন থেকেই কিন্তু বাবা আমার স্বপ্নটা আরো অদ্ভুত এবং খুব মজার।'
বল, শুনি-
মালা বলে -'এখন বলতে হবে না। তাড়াতাড়ি ব্রাশ করে নিয়ে  বনভিটা আর বিস্কুট খেয়ে নাও তারপর বলো।'
'না না ,এখনই বলে নিক কেননা স্বপ্ন খুব সহজে হারিয়ে যায় '
'শোনো', ছেলে বলতে শুরু করে তার অদ্ভুত স্বপ্ন- 
'আমি তুমি মা আর বোম'-মার পোষা বিড়ালটাকে নিয়ে  দুর্গাপুরে টয়োকা পার্কে  গেছি । ঢুকেই দেখি আমার স্কুলের বন্ধু নিলয় তার দাদা বাবা-মাও  এসেছে পার্কে ঘুরতে।  সামনেই একটা ট্রয় ট্রেন ।তুমিতো জানো আমি ট্রেন দেখলেই পাগল ।আমি আবদার ধরলাম বাবা আমি টেনে চাপবো ট্রেনে চাপবো। তুমি বললে ঠিক আছে একটু পরে। আগে পার্কে ঘুরি । আমি বললাম- না না 'আমি এখনই  ট্রেনে চাপবো। নিলয়রা চলে গেল পার্ক ঘুরতে। ট্রয় ট্রেনের টিকিট কেটে আবার অভ্যাসমতো জানালার পাশে বসে আছি ।যেই ট্রেনটা বাঁশি বাজিয়ে চলতে শুরু করলো। অমনি অদ্ভুত অদ্ভুত কাণ্ড ঘটতে লাগলো ।দেখলাম ট্রেনটা ট্রেন যেন ট্রেন নয়। একটা এয়ার কন্ডিশন বিরাট এক স্পেস হয়ে  গেছে। সেখানে  খেলার মাঠ আছে। পার্ক আছে। বড় বড় রেস্টুরেন্ট আছে। সেখানে সবাই আনন্দে মেতে আছে ।কেউ খেলছে কেউ গল্প করছে কেউ ছুটছে কেউ নাচছে। জানালার  বাইরের দিকে তাকাতেই দেখি আরো আরো অদ্ভুত ঘটনা।  বাইরো পার্ক নয় গোটা একটা পৃথিবী।আর পৃথিবীতে সব কেমন যেন দ্রুত পাল্টাচ্ছে। সবকিছু দ্রুত বড় হচ্ছে। ওই যে নিলয় ও এত দ্রুত বড় হচ্ছে কেন! ওর দাদা ওর বাবা-মা প্রত্যেকের বয়স দ্রুত   বাড়ছে ।ওর বাবা-মা বুড়ো হয়ে যাচ্ছে ।ওই যে ওর দাদা নিমেষে বড় হয়ে গেল । দাদার বিয়ে হচ্ছে। ওমা  আবার বাচ্চাও হয়ে গেল। বাবাকে ডাকতে গিয়ে দেখি আমরা কিন্তু ওই রকমই আছি। মাত্র একদিন পেরিয়েছে। মোবাইলের টাইমও একদিনই দেখাচ্ছে। বাবা, তোমাকে ডাকি। জানলা দিয়ে দেখায়। তুমি কিন্তু মিটমিট করে হাসছে। হঠাৎ একটা ভয়ংকর আওয়াজ। বুঝলাম অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে। ভয়ঙ্কর একটা অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে। তারপরে দেখি- আমরা  আমি মা-বাবা বোম'মার পোষা সেই বিড়ালটা বিশাল একটা বড় সুন্দর জায়গায় এসে পৌঁছেছি। তুমি বললে- 'এটা স্বর্গ। ওই দেখ স্বর্গের রাজধানী অমরাবতী এবং ঐরাবত স্বর্গের প্রবেশদ্বারে পাহারা দিচ্ছে,। মা বলল-' ওই দেখ- দেবরাজ ইন্দ্র ইন্দ্রলোকে বসে আছেন।' মা সশরীর ভগবানদের কাছে পেয়ে সটাং দণ্ডবৎ করছেন। আমি দেখছি বহু দেবদেবীর  এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে। অপ্সরা নাচ করছে।  কিন্তু  সবাইকে দেখছি ইয়ং। কোনো বৃদ্ধ মানুষকে দেখছি না কেন ?তুমি বললে- 'অবাক হচ্ছিস? ওই দেখ সম্পূর্ণ বিশ্বব্রহ্মাণ্ড পরিচালনা করেন যিনি সেই বিষ্ণু দেবতা।' আমি দেখলাম তিনি অনন্ত শয্যায় শেষ- নাগের উপর মাথায় হাত দিয়ে শায়িত আছেন। হঠাৎ তিনি আমাকে হাতের ইশারায় ডাকলেন। আমি কাছে গিয়ে দেখি ভগবান বিষ্ণুর চারটে হাত। একহাতে পাঞ্চজন্য শঙ্খ অন্য হাতে সুদর্শন চক্র আরেকটি হাতে পদ্ম এবং চতুর্থ হাতে গদা । মা বাবা ভগবান বিষ্ণুর পায়ের কাছে বসল। এবং ভগবান আমাকে কাছে টেনে নিলেন এবং বললেন- 'খুব অবাক হচ্ছো? কী জানতে চাও বলো?' আমি ভগবানকে ট্রেন থেকে দেখা সমস্ত ঘটনা বললাম। এবং এখানেও কোন বুড়ো মানুষ তো দেখছি না। এটাও বললাম। তিনি বললেন-' এই যে দেখছো আমার গদা। এটার কয়েকটা প্রতীকের মধ্যে একটা হল 'সময়'কে ধরে রাখার প্রতীক। এখানে সময় খুব ধীরে চলে। যেমন তোমার ওই ট্রয়-ট্রেনে ঘটেছিল। তোমার আর তোমাদের বয়স বাড় ছিল না।' বাবা বললেন- -'সেতো ট্রেনটা প্রায় আলোর গতিতে চলছিল বলে। পৃথিবীর সময়ের হিসেবে পৃথিবীর সমস্ত  সাত বছরের ঘটনা ট্রয় ট্রেনটি মাত্র একদিনে কভার করেছিল। তাইতো আমরা দেখছিলাম পৃথিবীতে যারা ছিল তাদের বয়স বার ছিল। অথচ আমাদের বয়স মাত্র একদিন বেড়েছিল। 'ভগবান বিষ্ণু বললেন -'এইতো কয়েকদিন আগেই তোমাদের পৃথিবীর সেরা বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন গাণিতিক সমীকরণের মাধ্যমে মহাবিশ্বের সময়কে ব্যাখ্যা করেছিলেন। এখানেও সেটাই হয়। সময় প্রায় স্থির  থাকে। তাই আমাদের বয়স  চট করে বাড়ে না পৃথিবীর মানুষের সময়ের হিসেবে। 
তাইতো ব্রহ্মলোকে লক্ষ লক্ষ বছর বেঁচে থাকার জন্য তোমাদের পৃথিবীর সাধারণ মানুষ সন্ন্যাসাদি গ্রহণ করে এই ব্রহ্মলোকে গমন করার জন্য বহু কৃচ্ছসাধন করে ও তপস্যা করে। গীতা রহস্যে আমিই শ্রীকৃষ্ণ হয়ে অর্জুনকে ব্রহ্মার দিবারাত্রি নিয়ে উপদেশ দিয়েছি। ' শোনো আরেকবার বলি তোমাকে। তোমরা জেনে রাখ যে- 'এই ব্রহ্মলোক- এর যিনি অধিষ্ঠাতা দেবতা -ব্রহ্মা  তিনিও চিরদিন বাঁচিয়া থাকেন না।  যারা শাস্ত্র আলোচনা করেন তারা জানেন মানুষ -মানের যে 365  দিনে এক বছর হয় ,সেই প্রকার বিয়াল্লিশ লক্ষ বছরের একটি চতুর্বর্গ সম্পূর্ণ হয়। এক হাজার  চতুর্বর্গ সমাপ্ত হলে তবে ব্রম্ভার একদিন সম্পূর্ণ হয়  সেই প্রকার দিন পক্ষ মাসাদি বৎসর পরিমাপ করে একশত বৎসর ব্রম্ভার পরমায়ু। অতএব তিনিও নশ্বর এবং তার দ্বারা সৃষ্ট এই যে ব্রহ্মাণ্ড, এটাও নশ্বর। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কীটপতঙ্গের তুলনায় মানুষ যেমন অমর। তেমনি মানুষের ক্ষুদ্র পরমায়ুর তুলনায় ব্রহ্মাদি- দেবগন সেই প্রকার অমর ।এখানে সময় যেহেতু প্রায়  স্থির তাই তোমাদের কাছে  আমরা অমর।' মা জিজ্ঞেস করল -'আর নরক? নরকের সময়?' তখন ভগবান বিষ্ণু বললেন- 'নরকেও সময় প্রায় স্থির ।তাইতো কেউ যখন পাপ করে আর তাকে যখন নরকের  গরম তেলে চোবানো হয় তখন তোমাদের হিসেবে তা অনন্ত সময় ধরে চলতে থাকে আর তোমাদের  মনে হয় সে যেন  অনন্ত সময় ধরে  যন্ত্রনা পাচ্ছে।'

আমি আমি তখন লাফিয়ে উঠে বলি - 'আমাদের এই পোষা বিড়াল টা। তারও কি একই সময় আমাদের মতই ?''ভগবান বিষ্ণু বললেন -'যাও , তোমরা আবার পৃথিবীতে ফিরে যাও । আমি তোমার বাবাকে বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করলাম । তোমার বাবার কাছে জিজ্ঞেস করে নিও ।সময়ের অনেক হিসেব-ই তুমি তোমার বাবার কাছে পাবে।'
আমরা ভগবান শ্রী বিষ্ণু কে ভক্তিভরে  প্রণাম করলাম ।তিনি আমাদের আবার পৃথিবীতে নামিয়ে দিলেন।

পৃথিবীতে নেমেই দেখি সমস্ত কিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে ।যাদের ছোট ছোট দেখেছিলাম। তারা অনেক বৃদ্ধ হয়ে গেছে। বয়স্ক লোকেরা  মারা গেছে।  পৃথিবী অনেক পাল্টে গেছে। আমি যেন এই বয়সেই ভবিষ্যতে প্রবেশ করে গেছি! নিলয় কে দেখছি সে বৃদ্ধ হয়ে গেছে ।আর তার নাতনির হাত ধরে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছে ।নাতনির বয়স প্রায় আমার কাছাকাছি। আমাদের বিড়াল টা  বোম'মা আর জেঠু কে না পেয়ে কান্না জুড়ে দিয়েছে ।এদিক ওদিক ছোটাছুটি করছে ।আমিও অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি চারিদিকে । দেখছি সবাই প্রায় প্রত্যেকেই হয় ইংলিশে না হিন্দিতে কথা বলছে। আমরা বাংলাতে কথা বললেই সবাই ভাবছে যেন আমরা কোন গ্রাম থেকে অজপাড়াগাঁ থেকে এসেছি। অথবা অখ্যাত কোন এক সেকেলে কবি ।তোমাকে  জিজ্ঞেস করি মাত্র সাত দিন আমরা  পৃথিবীর বাইরে ছিলাম তার মধ্যে এত পরিবর্তন।  তুমি  বললেন- 'আমাদের সাতদিন কিন্তু পৃথিবীর প্রায় 70 বছর।' 'আমি জিজ্ঞেস করলাম তোমাকে-  'আচ্ছা বাবা আমার তোমার সবার সময়ের হিসেব কি একই?' তুমি বললে -'না আমরা আমাদের সুবিধার জন্য পৃথিবীর নিজের কেন্দ্রে একবার ঘোরা কে কেন্দ্র করে  একটা হিসেব করে নিয়েছি ।সেই হিসেবেই আমাদের সমস্ত প্রেম প্রীতি ভালোবাসা এবং দৌড় ।কিন্তু প্রকৃত সময় বোধ আমাদের প্রত্যেকের ভিন্ন। এমনকি যখন আমরা জেগে থাকি তখন আমাদের সময় এক রকম। আমাদের স্বপ্নের সময় আবার অন্যরকম এবং আমাদের চেতনার সময় আরো অন্য রকম।
স্বপ্নের জীবন চক্রকে সম্পূর্ণ করতে হলে তার ঘটনাকে স্পিডি হতে হয়। তাই আমরা যখন জেগে উঠি ,জাগরণের ফ্রেম অফ রেফারেন্স দিয়ে স্বপ্নের ঘটনাকে দেখি  তখন মনে হয় খুব কম সময়ের মধ্যে অনেক বড় ঘটনা আমরা ক্ষণিকের মধ্যে দেখে ফেলেছি। আর চেতনাতে সময় একদম স্থির । অথবা এতটাই গতিশীল যে আমাদের মনে হয় স্থির। তাই চেতনার ক্ষেত্রে চেতনা ও সময় মিলেমিশে এক হয়ে যায়। চেতনা কে  সময় থেকে বা সময়কে চেতনা থেকে আলাদা করা যায় না । তখন কোন বস্তু বোধ থাকে না। অনেক সময় তো মনে হয় চেতনাই সময় আবার সময়ই চেতনা। তাই কি পরমপূজ্য মহাবীর আত্মা কে  সাময়িকী নাম দিয়েছিলেন! এই চেতনা বা সময় আবারা কারো কাছে  শূন্য। কারো কাছে চৈতন্য স্বরূপ বা জ্ঞান স্বরূপ। ধর্মে 'জ্ঞান' তাকেই বলে যেখানে 'জ্ঞেয়' থাকেনা যেখানে জ্ঞাতা থাকেনা। শুধুমাত্র বিশুদ্ধ জ্ঞান থাকে। যেখানে আমিও থাকি না তুমিও থাকে না। শুধু বিশুদ্ধ প্রেম থাকে।'

আমাদের বেড়ালটা চারিদিকে ঘুরে বেড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে আবার আমাদের কাছে ফিরে আসে ।মা বিড়ালটিকে কোলে নিয়ে বললো -'বিড়ালের সময়ের হিসেবটা একটু বলে দাও তো এবার ।'তাহলে বলি- 'দুটো ডিজিটাল ঘড়ি দে। ভগবান বিষ্ণু মাত্র একবার এপ্লাই করার ক্ষমতা দিয়েছেন।সেটাই বিড়ালের উপর এপ্লাই করছি। দুটো ঘড়িই মানুষের সময়ের যে হিসাব তার অনুযায়ী সময় দেখাবে। কিন্তু বিড়ালটা তার অস্তিত্বগত সময়- এর জীবনচক্রের  যে হিসেব সেটাই দেখবে।  দুটো ঘড়িই রাখা হলো দুজনের কাছে। বেশ কিছুক্ষণ পর তুমি বললে-' এই এক ঘন্টা পেরোলো। তখন বিড়ালটা আচমকাই  মানুষের গলায় বলে উঠলো -'এক ঘন্টা ,  ওমা পাগল !এক মাস পেরিয়ে গেলো যে !এই দেখো বলে ঘড়িটা তুলে আমাদের দেখালো। সত্যিই তো! তোমার ঘড়িটায় দেখাচ্ছে 31 শে জুলাই বিকেল পাঁচটার আর বিড়ালের ঘড়িটা দেখাচ্ছে 31 আগস্ট বিকেল পাঁচটা । তুমি  বললে- বিড়ালের জীবন চক্র সম্পূর্ণ করার জন্য তাকে স্পিড নিতে হয় আমরা যখন আমাদের ফ্রেম অফ রেফারেন্স দিয়ে  বেড়াল কে দেখি তখন মনে হয় বেড়ালটা মাত্র 12 বছর বাঁচলো। আমরা ভাবি যে ওরা ক্ষণজীবী। কিন্তু বেড়ালের তা মনে হবেনা। কিন্তুি বেড়াল তার ফ্রেম অফ রেফারেন্স দিয়ে আমাকে দেখে তবে তার মনে হবে যে আমরা দীর্ঘজীবী বা অমর ।আমাদের কাছে ওর সময়টা হবে দ্রুত । তাই সে ঘড়িতে আমাদের দৃষ্টিতে দেখল যে একমাস পেরিয়ে গেছে আর ওর কাছে আমাদের সময় হবে স্থির ।'
আর তখনই মায়ের ডাকে উঠে দেখি সকাল সাতটা ।
মালা বললো - 'এইসব আজগুবি কথা ও স্বপ্ন রাখ। ওঠো ওঠো ব্রাশ করে কিছু মুখে দাও ।তারপর তাড়াতাড়ি পড়তে বসো।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ

  1. এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. বেশ কিছু বানান ভুল ; টয় হয়ে গেছে ট্রয়, ট্রেন হয়েছে টেন ; আর শেষের দিকে পড়ার কোনও ইন্টারেস্ট পাচ্ছিলাম না।

      মুছুন