পিরামিডের দেশে | ধারাবাহিক ভ্রমণ কাহিনী | ২য় পর্ব | সোমা মুখার্জী




পোস্ট বার দেখা হয়েছে
ছবি সংগৃহীত 
__________________________________

নীলনদের  কোলে পিরামিডের দেশে
দ্বিতীয় পর্ব 
_________________________________

ইজিপ্ট বলতেই প্রথমে মনে পড়ে
লুপ্ত মিশরীয় সভ্যতা , প্রাচীন ইতিহাসের পদচিহ্ন...যা আজকেও তাদের সংস্কৃতি আর জীবনযাত্রার সাথে নিবিড় ভাবে মিশে  রয়েছে।

পিরামিড ছাড়াও ইজিপ্টের নানা জাদুঘরের মধ্যেও  এই লুপ্ত সভ্যতার  চিহ্ন গুলি বিরাজমান।
অমরা প্রথমে গেলাম ইজিপশিয়ান আর্ট মিউজিয়াম। সাথে প্রহরী গাইড। তাকে তো ঢুকতে দেবে না মিউজিয়মের  ভেতর। সে আমাদের সময়সীমা বেঁধে দিল.. আর তো কিছু করার নেই। বিদেশবিভুঁই বলে কথা।

ছবি সংগৃহীত 

এই আর্ট মিউজিয়ামে রয়েছে অদ্ভূত সমস্ত জিনিসপত্রের সম্ভার। রাজা তুতানখামেনের  ধনসম্পদ।  কি সযত্নে সব সঞ্চয় করে রেখেছে।এদের ব্যবহৃত সামগ্রী দেখলে বোঝা যায়  প্রায় পাঁচ সাড়ে  পাঁচ হাজার বছরের পুরোনো মানবসভ্যতা কত এগিয়েছিল আধুনিক জীবন যাত্রার থেকে। পুনর্জন্মের আশায় এরা যদি এগুলি কে সঞ্চয় করে না রাখতো তাহলে কোথায় হারিয়ে যেত এই হাজার হাজার বছরের পুরোনো সভ্যতা, মানুষ তার সন্ধানও পেত না।
ছবি সংগৃহীত 

এবার আমাদের দ্রষ্টব্য মিউজিয়ামের বিশেষ আকর্ষণ Royal Mummy Chember...
সেখানে খ্রীষ্ট পূর্ব ১৪৫০ থেকে১৮০০ অবধি রাজাদের মৃতদেহ গুলি সযত্নে রক্ষিত। মমি কক্ষে ঢুকেই অদ্ভূত একটা অনভূতি হল। আজ থেকে হাজার হাজর বছর আগে এই মানুষগুলো আমাদেরই মত জীবিত ছিল...আজ তারা অবিকৃত দেহে আমদের চোখের সামনে নিস্তব্ধ নিথর। তখন কার ফারাও দের বিশ্বাস ছিল মৃত্যুর পর তারা আবার ফিরে আসবে।  তখন যদি তাদের দেহের কোনো অংশ না থাকে বা বিকৃত হয় তাহলে তাদের আর ফেরা হবে না। তাদের নরকে পৌঁছতে হবে। সেই জন্য তাদের 
ছবি সংগৃহীত 
ব্যবহারের সব জিনিসপত্র এবং খাবার দাবার গয়নাগাঁটি আর আসবাব পত্র এবং যারা কাজ করবে তাদের হয়ে সেই লোকগুলির অবধি মমি তৈরী করিয়ে তাদের মমির সাথে একসাথে রাখবার ব্যবস্থা করতো।বছরে ৩৬৫ দিনে 
এক একজন করে পাহারাদার তাদের পাহারা দেবে বলে ৩৬৫ জন পাহারাদার তৈরী করিয়ে নিজের মমির সাথে রেখে দেবার ব্যবস্থা করাতো পিরামিডের মধ্যে। এসব দেখে তাদের জীবনযাত্রার পুরো ছবিটাই চোখের সামনে ভেসে ওঠে...
ভাগ্যিস এখানে এসেছিলাম তাই এই হাজার হাজার বছরের পুরোনো সভ্যতার কিছু নিদর্শন চোখের সামনে দেখতে পাওয়া গেল...
ছবি সংগৃহীত 
জীবন নিত্যদিনের বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে চলে যায় ভার মুক্ত হয়ে..কিন্তু কালের প্রবাহে ইতিহাস তার চিহ্ন গুলি ধরে রাখে এভাবেই...
নব নব প্রজন্ম এসে তাদের খুঁজে বার করে...

                                                 (চলবে)

ছবি-সংগৃহীত


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

3 মন্তব্যসমূহ