পিরামিডের দেশে | ধারাবাহিক ভ্রমণ কাহিনী | সোমা মুখার্জী




পোস্ট বার দেখা হয়েছে

 


নীলনদের  কোলে পিরামিডের দেশে
 সাল টা ২০০৮..প্রায় একযুগ আগের কথা.. আজ ১৬'ই অক্টোবর। কায়রোর হোটেল ছেড়ে আজ আমরা চলে যাব।এখন বাজে ভোর পৌনে ছ'টা। মনে হয় মুহূর্তটাকে যদি রাখা যেত। তা যায় না কিছুতেই।মনে হচ্ছে দিনের শুরুতে উন্মুক্ত প্রকৃতি যেন নিজেকে মেলে দিয়েছে।ঘরের সামনে দিগন্ত বিস্তৃত গল্ফ কোর্স।এত সবুজ চোখের সামনে মনকে যেন কোথায় নিয়ে চলেছে। যাই হোক কাল আমাদের স্বপ্নের পিরামিড দেখা শেষ হয়ে গেছে..এবার কায়রো ছাড়তে হবে.. গিজার পিরামিড কমপ্লেক্স নেক্রোপলিস পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য্যের একটি।কায়রো শহর থেকে প্রায় তেরো কিলোমিটার দক্ষিনপশ্চিমে মরুভূমির মধ্যে অবস্থিত এই পিরামিড।মরুভূমির পশ্চিম প্রান্তে নীলনদের থেকে নয় কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করছে এই বিশ্ব বিখ্যাত ঐতিহাসিক নিদর্শন। ঘোড়ার গাড়িতে গিয়ে পৌঁছতে হয় এই পিরামিড এর সামনে। পিরামিড দেখার অধীর আগ্রহে চেপে বসলাম ঘোড়ার গাড়িতে। পড়ন্ত দুপুরে প্রথম বিকেলের আলোয় ইতিহাসের পাতা থেকে চোখের সামনে উঠে দাঁড়ালো এই মিশরের পিরামিড। মাথার ওপর তখন প্রখর সূর্যের তেজ পায়ের নীচে মরুভূমির তপ্ত বালু রাশি। শুনেছি মৃত্যুর পরে আবার তাঁরা (মিশরীয় রাজারা) ফিরে আসবেন এই ধারনা নিয়েই পিরামিডগুলি তৈরী হয়েছিল। যাতে নষ্ট না হয় তাই ওপর থেকে ঢালু স্যান্ডস্টোনের দেওয়াল তোলা। ভিতরে প্রবেশের জন্য গোপন কক্ষপথ.. মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যা কিছু আবশ্যক তার সব কিছুই সেখানে সংরক্ষিত। সামনে দাঁড়িয়ে তাদের পাহারা দিয়ে চলেছে স্ফিংস্। ইতিমধ্যে অনেক জল বহে গেছে নীলনদের স্রোতধারায়। স্ফিংস্ কিন্তু তার রাজকীয় চেহারায় সিংহের দেহে মানুষের মুখের অবয়বে একই ভাবে পাহারায় রত। মনের মধ্যে যা ছিল কল্পনায় তাই যেন চোখের সামনে প্রতিভাত হল । যেন বিস্ময়ের ঘোর কাটতে চায় না... আজ দিনান্তে এই নীলনদের শহরে তপ্ত বালিয়াড়ির মধ্যে ..হে মহাকাল তোমাকে অনুভব করলাম...প্রণাম তোমাকে হে অনন্ত....                                                                       (চলবে)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

10 মন্তব্যসমূহ

  1. ওহ দুর্দান্ত !! পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম 👍

    উত্তরমুছুন
  2. এই লেখা চলুক লেখকের চোখ দিয়ে যেন আমিও দেখতে পাচ্ছি, খুব সুন্দর ।

    উত্তরমুছুন
  3. খুব ভালো চলতে থাকুক ঘরে বসে ভ্রমণ

    উত্তরমুছুন
  4. বাহ্ দারুণ লেখা। চলুক এ লেখা

    উত্তরমুছুন
  5. খুব সুন্দর ঝরঝরে কাহিনী আমাদের চেনে নিয়ে চলেছে মানসভ্রমণে

    উত্তরমুছুন