কবিতা গুচ্ছ || অঞ্জন চক্রবর্তী




পোস্ট বার দেখা হয়েছে

যুগান্ধ


চুপ করে শুনে গেলে 

কথা দুটো.........  

চৈতন্যের আঙুল ছাপ সাক্ষী অতীত! 

পুরনো বৃক্ষের ছায়া রেখে যায় জন্মপাঠ

বীজের ভিতরে।

হারিয়ে গেলে, অন্তরিন বাক্যালাপ মুখ বুজে কাঁদে

প্রকাশ্যে আসুক  শব্দ উলঙ্গ সহবাসে।

 বল ভুল নয়, আছি অত্মসমর্পণে।

====

স্পন্দন


কেবলই ডাক কেবলই ইশারা 

কোন দিকে যাব? কেন যাব?

গায়ত্রী মন্ত্র উচ্চারণ, দিনযাত্রা এখনি তাড়াব!

এক ডাকে সাড়া দিয়ে অন্য ইশারায় ছোটা----

শক্তি ক্ষীণ হয় তবু কালো মোষ আঁধারে ছোটাব।


সঞ্চয় আছে জমা। দানপাত্র উপচে পড়ে জেদ একরোখা।

গোনা-গুনতি কটা দিন!

কাজে অকাজে কত মাটি ধূলো হয়

স্পন্দন, তুমি তো আছ.........

====

নেপথ্যে


নেপথ্যে একটা কোলাহল।

কান তো সেই দিকেই মঞ্চের কথা ভুলে,

এমনটা হওয়ার কথা নয় তবু ঘটে গেল।


আওয়াজ পদধ্বনির, একসুরে কিছু কথা সময় অথবা অসময়ের।


নির্বাক আলোর ছায়া মুখাবয়বে 

তর্জনী ও শব্দের প্রশ্নাবলি স্থির দাঁড়িয়ে।

অসমাপ্ত 


কপালের ভাঁজ;

সখ্যতার লয়---

বাড়তে থাকে শূন্যতার পরিধি.......


ঝড়ের দাপট;

নেইরাজ্যের  সওয়ারী জানে মাটির ইতিহাস 

    শূন্যতার আকাশে মেঘেদের রঙ।


রথের চাকা আটকে 

             কর্দমাক্ত বৃষ্টির জল।

একজন অপরজনের কাঁধে হাত 

               হাঁটতে হাঁটতে হাঁটতে............

====

সমাধান 


এই নাও দিলাম তোমাকে ঘর

ঘরের ছাদে আরও কিছু আঁকিবুকি ।

দরজাটা টান মেরে খোলো, 

পাতার পর পাতায় লেখা আছে আলো যাপনের গল্প 

একবার চোখ বুলিয়ে নাও

 দরজায় টোকা দিয়ে গ্যাছে কিছু ভুল।

এখনি সময়---

নিয়ে রাখ কিছু মেঘ,অনেক বৃষ্টির ফোঁটা, কাঁটা-গুল্মলতা

আর সিঁড়ি ভাঙার সহজ সমাধান ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ

  1. ভীষণ সুন্দর কবিতা মালা ... অনন্য !!

    উত্তরমুছুন


  2. সাক্ষী অতীত... কালো মোষ আঁধারে ছোটাব...তর্জনী স্থির দাঁড়িয়ে...সখ্যতা লয়... জীবনের আঁকিবুকি গাঁথা রয়েছে প্রতিটা লেখার মধ্যে ,অসাধারণ

    উত্তরমুছুন