ফেসবুক সাপ্তাহিক সেরা




পোস্ট বার দেখা হয়েছে


মুই তোমাকে ভাল্ পাও
মৌমিতা চক্রবর্তী


অপেক্ষার অষ্টপ্রহর, ফেরারী নিদ্রা, ধ্যানমগ্ন রুহবিন্দু-
শুধু তোমার জন্য। 

আমার অস্তি-মজ্জায়, রন্ধ্র- অতিন্দ্রিয়ে
প্রবাহিত তোমার অস্তিত্ব রস
রুহ ক্যানভাসে ভালবাসার আঁকড়
সবুজ ঘাসে সমকামী ঘাসফড়িং
স্বপ্ন পল্লবে সঙ্গমরত মধুকর

তোমার বৃষ্টি ভেজা পৌরুষ
মাতাল চোখ, ভাঙখোর আঙুল
ছুঁয়ে যায় আমার শরণার্থী হৃদয়
করে তোলে পূর্ণ আমার শ্বেতপত্র শূণ্যস্থান। 

তোমার উষ্ণ স্পর্শ ছুঁয়ে যায়
আমার শীতলতা, রোগ, শোক, মৃত্যু-বিহ্বলতা। 
অমরত্বের সান্ত্বনা পুরস্কারে হেসে ওঠে
কুরুক্ষেত্রের পরাস্ত মুন্সিয়ানা। 

=====
প্রত্যাবর্তন 
ধর্মেন্দ্র রাওয়াত 


প্রতিদিন সূর্য ওঠে আবারও সন্ধ্যা-প্রদীপে 

শঙ্খে শঙ্খে জীবন আবার প্রতিধ্বনিত হয়

গোধূলির আলো মেখে
বিশ্বের সমস্ত রাখাল-মন মায়ের কোল খোঁজে

হলুদ পাতায় পাতায় জীবনেরও ছন্দ লেখা থাকে

তুমি কেঁদো বন্ধু ! কেঁদো!  মেঘ হয়ে কেঁদো
চোখের জলেই হৃদয় অঙ্কুরিত হয়

মেঘে মেঘে
উৎসে ফিরে গিয়ে গঙ্গা আবার পবিত্র হয়।

====

ধুকপুক নৈঃশব্দের রঙ
অঙ্কিতা রায়


দেওয়াল ঘড়িটা ওর ঠিক বুক পকেটে বসানো -
যতবার তাকাই সেই দুটো কাঁটা, 
বারবার একই ভুল.. সেই দুটি কাঁটা সমান দূরত্বে.. 

পেসমেকার থেকে বিষমমণ্ডলে সংকেত যাচ্ছে.. 
ইঁদুরটা লুকিয়ে গেলো রাতের বারান্দায়.. 
জাহাজের মতো দুটো অন্ধকার দুচোখে ঝুলছে 
দোলনায় পেট প্যাকাচ্ছে বমি- ঠান্ডা ঘুমে 
ধারালো রক্ত যান্ত্রিক শব্দ শুনছে কান পেতে 

সারা বিছানা জুড়ে চাদরে লতাপাতা আঁকা
বরফের পেনসিল ইরেজারে ঘষে ভূগোল, জ্যামিতি
সাদা দেওয়ালের ওপরে টেরাকোটার ছবি -

অদ্ভুত হস্তলিপি কবিতা হতে পারে! প্যাপিরাসে....

=====

আহ্নিক

শুভদীপ পাপলু


যুদ্ধবিরতি চুক্তি, অথবা আয়ুরেখা লঙ্ঘন করেও,

নিজেকে বন্দী শব্দে বেঁধে রাখতে

কেমন যেন আস্থাঅর্জনকারী তপস্বী মনে হয়-

কর্তব্যচ্যুত, গমনাভিমুখী এক মৃতজীবি তপস্বী-

যে সহায়সম্বলহীন অগ্নিকুন্ডে-

প্রতিষ্ঠিত অন্ধকারের মতোই,

বড় বেশি জ্যোৎস্নাউপার্জনকারী।


রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঘটে চলা এইসব বিক্রিয়াসংকুল,

তঞ্চকতা মোড়া বিচ্ছিন্নতাই- লাবণ্য;

যার নক্সা স্বর্গীয় ব্যবস্থাপনার চালচিত্রে,

যুগোপৎ নশ্বর সৃজনের বিন্দুসম প্রাপ্তি!

সঙ্গে প্রাণবহির্ভূতও বটে।


জন্মান্তরবাদের মহাপ্রস্থানে অমরত্ব বেমানান বৈকি,

অস্তাচলে এও বর্ণমালারই এক অশনিসংকেত।


এবং তপস্যা শূণ্যস্থানে মানবতার এক সংখ্যা মাত্র।

=====

ভালোবাসার এক সুন্দর সোপান

                             হাসান ফরিদ


তোমাকে দিলাম

ভালোবাসার এক সুন্দর সোপান

তুমি চাঁদের আলোতে 

সেই সিঁড়ি বেয়ে

উঠতে উঠতে আকাশ ছুঁইবে।


তোমাকে দিলাম

ভালোবাসার এক সুন্দর সোপান

তুমি সমুদ্রের নীলাম্বর ঢেউয়ে দোল খেয়ে খেয়ে

ভাসতে ভাসতে ভাসতে ছুটবে

অপার মহিমার হীরোকোজ্জ্বল 

আলোর ছটায়

তুমি করবে চন্দ্রস্নান,

আন্দামান-নিকোবর গহিন অরণ্যের

নিস্তব্ধতার মরদেহের মতো

নির্জন কোনো দ্বীপে

শুধু নীড় বাঁধার জন্য পৌঁছবে, পৌঁছবে।


তোমাকে দিলাম

ভালোবাসার এক সুন্দর সোপান

তুমি নক্ষত্রের করাতে কেটে জড়ায়ুর ফুল

ভরিয়ে দিও সুবাসে মাতৃসদন,

শতমূলী বটের জটতুল্য মেঘমালা

ভেঙে ফেলে

গড়ে তোলো স্বপ্নের নিবাস।


তোমাকে দিলাম

ভালোবাসার এক সুন্দর সোপান

যৌবনবতী নদীর জোয়ারে ভেসে ভেসে

ময়মনসিংহ গীতিকার মহুয়ার মতো

উপকথা সংগ্রহ হয়ে

তুমি বেঁচে থাকো চর্যাপদের পঙক্তিতে।

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

3 মন্তব্যসমূহ