দৈনিক কবিতা গুচ্ছ




পোস্ট বার দেখা হয়েছে

অন্তমিল

কামনা ইসলাম 


আকাশের কান্না গুলো কেউ দেখতে পায়না, 

বলে বৃষ্টি বুঝি এলো।

আকাশের গায়ে মাখা বেদনার রঙ কালো

সবাই বলে এখন মেঘ বুঝি গেলো।

প্রশান্তির ঘুম নেমে আসে কারো চোখে,

কেউ আবার বর্ষার বন্যায় নিজেই ভাসে।

ঝরাপাতার নিঝর শব্দে কেউ ছন্দ খোঁজে

কেউ তাকে ঝরতে দেখে দুঃখ বোঝে।

কেউ অনন্তকাল ধরে বয়ে চলে 

জীবনের কিছু না বলা কথা,

কেউ ভাবে কেউ বলতে চায়

কেউ বুকে ধরে রাখে সব ব্যথা।

চাতকিনীর  চাহিয়া থাকিতে  

কষ্ট নেই,

 সেখানে ও আছে স্বপ্ন,

হয়তো একদিন আসবে ভোর

করবে তারে যত্ন। 

মধু লয়া, মধুমায়া পড়বে কখন 

মরুর ছায়া, 

দু নয়নে স্বপ্ন মায়া, কান্না হয়ে  

আলো ছায়া।

হৃদমাঝারে বালুর খেলা,

ভাঙ্গবে খেলা , সন্ধ্যা বেলা।

নয়তো তখন কোনোই হেলা,

অন্তমিলের বেলাঅবেলা।

====

পরকীয়া ইশারায়

শিবানী বাগচী


অবৈধ কিছু সম্পর্কের অনিয়মে,মনের আঁধারে এক চিলতে রোদ্দুর এঁকেছিলাম শুধুই ভালোবাসার !


আজ আঙুল তল্লাশির স্পর্শে অনুভূতিগুলো সহসা চৌকাঠ 

ডিঙাতে চায় -


অনেক কটা বসন্ত পিছনে মাড়িয়ে,ঝড়ো বৃষ্টি সারা অঙ্গে লেপে বেঁধেছি তোমার ঘরেই আমার বসত,

অনাহুতের মতো।


পায়ে পায়ে মিলিয়েছি পথ,ভিজে ঠোঁটে এঁকেছি আল্পনা;তোমার তৃষ্ণা মেটাতে নিভিয়েছি বুকের হা হুতাস।


আমি যে তোমার হলদে রোদ্দুরে অবৈধ শব্দের নীল খামে মোড়ানো শিশিরে ভেজা প্রাক্তন?


তোমার তৃষিত নোনা শরীরে তুলতে পারি গোপন কামনার মৃদু কম্পন;আর তুমি?

সন্ধ‍্যার আলপথ ধরে,প্রতিটি রাতের গভীরে ক্লান্ত অভিসারে দেখা নতুন সূর্যদ্বয়!


ভাবি যদি শুষে নিতে পারতাম বসন্তের উন্মত্ততাকে,জোছনা চোবানো সোহাগের গায়ে লেগে থাকা কলঙ্কের অমোঘ টানে?


তুমি তো তার কোন নাম দাওনি?শুধু অবৈধ শব্দ ছড়িয়েছো পরকীয়া ইশারায়!!!

=====

আন্ধা সময়ের কাহন

এ কে আজাদ


কে শোনে কার কথা! 

দিনের গলায় দড়ি লাগিয়ে ওরা টেনে নিয়ে যায়

সকাল থেকে দুপুর, দুপুর থেকে বিকেলে,

তারপর বিকেল থেকে সন্ধ্যার কোলে।

গোধূলির লাল আগুনে আমার বিশ্বাস পোড়ে,

আমার চেতনা পোড়ে! পোড়ে এই হৃদয়ের চৌহদ্দি!

নিজেকে বড় অর্বাচীন মনে হয় এই সান্ধ্য-আলোতে!


আমি কেবল প্রার্থনায় বলি- কেন আমাকে ভোঁতা চোখ দিলে না হে প্রভু?

আমি কেন মাছির মত সারা জগৎকে দেখতে গিয়ে বড় একা হয়ে পড়ি?

আমি জানি এ পোড়া চোখের সারিতে আমার পাশে পাবো না কাউকে।

ঘোড়ার মত চশমা পরতে পারিনি বলে 

আমি আজ ওদের দলে বড় বেমানান! 

বড় ভিন্ন পথের যাত্রী! 


আমার সময়কে কেবল জোনাকির পায়ে বেঁধে দেয়া একজোড়া নূপুর ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না। 

আমি বিশাল আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকি কেবল একা।

আমার কাজ কি কেবলই দুএকটা নক্ষত্র দেখা?

নক্ষত্রেরা কি কোনদিনই এই পৃথিবীতে আলোকিত করতে পারবে না হে প্রভু?

রাত্রির অন্ধকারে কেবলই কি পথ হাতড়াবে এই চক্ষুষ্মান পোড়াকপালে কবির দল?

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

6 মন্তব্যসমূহ

  1. ভালবাসা জানাই প্রিয় সম্পাদক মহাশয়।

    উত্তরমুছুন
  2. ভালবাসা জানাই প্রিয় সম্পাদক মহাশয়।

    উত্তরমুছুন
  3. ভালবাসা জানাই প্রিয় সম্পাদক মহাশয়।

    উত্তরমুছুন
  4. প্রতিটি কবিতাই খুবই ভালো লাগলো ।

    উত্তরমুছুন
  5. খুব ভালো লাগলো লেখা গুলো
    প্রত্যেক লেখক লেখিকাকে শুভেচ্ছা

    উত্তরমুছুন
  6. খুব ভালো লাগলো লেখা গুলো
    প্রত্যেক লেখক লেখিকাকে শুভেচ্ছা

    উত্তরমুছুন