পোস্ট বার দেখা হয়েছে
ওয়াজেদ
চতুর্দিকে প্রতিধ্বনি, বন্দে ---মাতরম!
চলছে,উচ্চ কন্ঠে দেশাত্মবোধক সঙ্গীত।
ফড় ফড় করে উড়ছে তেরঙা আঁচল টা!
সূর্য টা তখনও কিশোর,
খট খট শব্দে মথিত হচ্ছে প্যারেড গ্রাউন্ড।
আজ স্বাধীনতার চুয়াত্তর বছর;
নকাবি গর্বে আবেগী দেশপ্রেম
উথলে পড়ছে,
শহীদ স্মরণে ঝরছে কুম্ভীরাশ্রু।
শপথ আর সতর্কতার মায়াজাল,
সামনে বিপদ, সাম্রাজ্যবাদী মহামারীর?
চুয়াত্তর বছরের বৃদ্ধার জন্মদিন আজ!
রুগ্ন, ক্ষুধার্ত, শ্রেণী বিদ্বেষে জর্জরিত বৃদ্ধা
মহালয়ার আগমনেএসেছে
নতুন শাড়ি,
মাকে এনেছে বৃদ্ধা বাস হতে
রুগ্ন মায়ের তেরঙা আঁচল টা উড়ছে, মুক্তির আনন্দে।
শেয়াল এখন ঘুমুচ্ছে দেশপ্রেমের আড়ালে
অপেক্ষা শুধু সূর্যাস্তের,
নেমে আসুক আঁচল,
নখ ঠিকরে বেরোবে মাংসল থাবা থেকে;
শুরু হবে মায়ের বস্ত্র হরণ।
খুলে যাবে নেশার পসরা।
অদূরে শুয়ে আছে চুয়াত্তরের বৃদ্ধা , নির্বস্ত্র!
ভি আই পি প্যান্ডেলের পেছনে
উপুড় হয়ে ঢাকছে লজ্জা!
উচ্ছিষ্টের প্যাকেট টা পেটের খিদে টাকে দ্বিগুণ বাড়ায়,
কোনো রকমে উঠে দাঁড়ায় ভিখারিণী।
তেরঙা ছায়ায় ঢাকতে চাইল অবশিষ্ট লজ্জা
তেরঙার ছায়াটা শুধুই মরীচিকা!
শীর্ণ দেহের জীর্ণ লজ্জা
নিভিয়ে দিল খিদে টাকে।
দেশপ্রেমের নির্ভেজাল সঙ্গীত চিরে ক্ষীণ গলায় আওয়াজ দিল বুড়ি-
ওহে, ক্ষত বিক্ষত মায়ের অক্ষত সন্তানেরা----
এনে দাও -তেরঙা আঁচল টা,
আমি, আমার লজ্জা টুকু ঢাকি।।
1 মন্তব্যসমূহ
অনবদ্য লেখা একরাশ মুগ্ধতা
উত্তরমুছুন