পোস্ট বার দেখা হয়েছে
হে ধর্ষক শোন
শ্রাবনী শেলী
যে নারীর গর্ভে তোমার ভ্রুণ বাড়ছে ধীরেধীরে ;
যে নারীর পুষ্টি রক্তের মানবাকৃতি গর্ভে পুরে।
যে নারীর গর্ভে ছিলে , দশ মাস দশ দিন ;
যে নারীর ছত্রিশটি নাড়ী ছিড়ে এসেছো ব্রহ্মান্ডে
যে নারী অন্তহীন প্রসববেদনা সহ্যে জন্ম দিল যত্নে।
যে নারীর অপরিসীম আবেগময় অনুরাগ স্পর্শে লালিত,
যে নারীর মাতৃদুগ্ধে দেহের প্রতিটি অণু পালিত,
যে নারীর পরম বিশুদ্ধ ভালোবাসা কোমল প্রাণে,
যে নারীর আগলে রাখে স্নেহময় বৃক্ষছায়ার বাঁধনে,
যে নারী প্রতিটি সেকেন্ডে বেহিসেবী মমতা জড়ানো,
যে নারী সন্তানকে জীবনের চেয়ে বেশি ভালবেসে আগলানো।
যে নারীর সাহচর্যে দিনযাপনে জীবন হয় মধুর,
যে নারী পৃথিবীর সবচেয়ে প্রিয় ছোটবড় বোনটি,
যে নারী বোনটি হয় কখনো মাতৃমূর্তি তুল্য,
যে নারীর প্রেমের মাধুর্যে জীবনে প্রথম অন্য নারী আসে,
যে নারী ক্রমশ হৃদয়ে স্থায়ী আসন গাড়ে,
যে নারী হয়ে ওঠে মোহময় প্রেমের প্রেয়সী,
যে নারী প্রেয়সীর আলোয় উদ্ভাসিত গৃহকোণ,
যে নারী গৃহলক্ষ্মী দশভুজা দুর্গাদেবী তুল্য নাকি,
যে নারীকে উপমাতে উপমা মাতিয়ে রাখো জীবনে,
যে নারী ভ্রুণকে ধারণে, পিতা তৈরী করে তোমাকে।
যে নারীর অসীম ত্যাগে বাবা ডাক শোনো,
যে নারী জয়ী করে তোমাকে জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে,
যে নারীর জন্য পৃথিবীতে আসা, ধরনী চাক্ষুষ দেখা,
যে নারীর জন্য অপরূপ সৌন্দর্যে নির্মল নিঃশ্বাসে বাঁচা।
যে নারী তোমার মাতা, ভগ্নি, প্রেয়সী, অর্ধাঙ্গিনী, কন্যা,
সেই নারীকে দেখে কেন জ্বলে হিংস্র লালসার আগুন ?
সেই নারীকে ধর্ষণে একটুও কাঁপে না বুক?
সেই নারীকে দেখে ভাসে না মায়ের মুখ?
সেই নারীকে দেখে স্নেহের বোনের ছায়া দেয় না বাঁধা?
সেই নারীকে দেখে পরম আদরী কন্যা করে না প্রতিরোধ?
তবে, তুমি আর মানুষ নও, হারিয়েছো মনুষ্যত্ব! ভূলুন্ঠিত হয়েছে তোমার মানবিক চেতনার মূল্যবোধ।
অতএব,
তুমি এই বসুন্ধরার অযোগ্য অপবিত্র অথর্ব কীট,
তুমিই চিন্তা, মননশীল, চর্চাহীন সর্বনিকৃষ্ট এক জীব।
তোমার শাস্তি হোক তোমারই মা বোন স্ত্রী কন্যার হাতে,
তোমার পালানোর জায়গা একরত্তি বাকি নেই অবনীতে।
পরকালেও নেই তোমার একবিন্দু নিস্তারের ফাঁক!
সৃষ্টিকর্তার আছে ভিডিও, কঠিন শাস্তিতে নেই কোন মাফ!
0 মন্তব্যসমূহ