পোস্ট বার দেখা হয়েছে
তিতলি
রত্না চক্রবর্তী
এই বস্তিতে আগে কখনো এমনটি ঘটেনি। ওরা দুজন পালালো, বিশেষত একটা জোয়ান সুন্দরী মেয়ে পালাল তবু কেউ হাসলো না, কেউ কোন নোংরা কথা বললো না। বরং সবাই স্থির চোখে করে তাকিয়ে রইল একমাত্র যে চিৎকার চেঁচামেচি করছে তার দিকে। এটা এই বস্তিতে সচরাচর ঘটে না। একমাত্র মাতাল ফোন্টে একবার মাল খেয়ে চিৎকার করে বলে উঠেছিল " যাঃ শালা, রাহুলের তিতলি উড়ে গেল.. "! আর বেশি কথা বলতে হয়নি রাহুলের হাতে সজোরে থাপ্পড় খেয়ে মুখ গুঁজে পড়ে গিয়েছিল নর্দমায়। রাহুল আগুনরাঙা চোখে তার দিকে তাকিয়ে ছিল। আরো মারত কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে সে হড়হড় করে বমি করে ফেলল ফোন্টে তাই বোধহয় ঘেন্নায় তাকে রাহুল তখনকার মত ছেড়ে দিয়েছিল।
রাহুলের রাগের কারণ আছে তিতলি রাহুলের বিয়ে করা বউ। হোক না সে বহু বছর সম্পর্ক রাখে নি তাতে কী আসে-যায়.. খুঁজে পেলে খুন করে ফেলবে কিন্তু খুঁজে পাবার উপায় নেই। কারণ সে যে হারামজাদার সাথে পালিয়েছে সেটা যে তারই বাবা, তার থেকে এক কাঠি সরেস। দেখতে ভালোমানুষ হলে কি হবে মহা শয়তান তার বাপ অমিয়।
অমিয় বোষ্টম মানুষ, গলায় কন্ঠি মুখে হরেকৃষ্ণ... মজবুত লম্বা চওড়া চেহারা। জোয়ান বয়সে ঘাড় ছাড়ানো চুল ছিল আর চমৎকার কেত্তন, ভজন গাইত। আপন বলতে তেমন কেউ ছিল না, সংসারে টান ছিল না। এদেশ ওদেশ ঘুরে বেড়াতো । পথেই বন্ধু জুটতো, আপন হয়ে যেত তারা, বেশ কদিনে যেন আত্মীয় হয়ে উঠত। তারপর যে যার পথে। আবার পথ চলা। এমনই একবার ঘুরতে ঘুরতে এক বোষ্টম ভাইয়ের সাথে কাটোয়ায় পৌঁছেছিল। সেখানেই দেখেছিল বিশাখাকে।
ছবি সহযোগিতায় : উষসী রায় |
তখন নবদ্বীপের এক তীর্থযাত্রী পরিবারের সাথে খুব ভাব হয়েছিল বিশাখা আর অমিয়র। তাদের বুদ্ধিতেই তাদের সাথে পালিয়ে আসে এই শহরে। তারা এই বস্তিতেই থাকত, অমিয়েরও আশ্রয় জুটে যায়। খুব মিশুকে ছিল অমিয় আর বিশাখা। অমিয় চমৎকার গান গাইত আর বিশাখা ছিল অসামান্য সুন্দরী হাসিখুশি মেয়ে। বড়লোকের বাড়ির মেয়ে ছিল তা তার হাবভাবে বোঝা যেত কিন্তু কোন দেমাক ছিল না, সহজ সরলভাবে মিশে গিয়েছিল সবার সাথে। স্বামী স্ত্রীর বড় মিল ছিল, বড় ভাবভালোবাসা। রান্না করতে ভালোবাসত অমিয়। অমিয় বুদ্ধি করে মোড়ের মাথায় বসল নিরামিষ তেলেভাজা নিয়ে, একটু এগিয়েই বাসষ্ট্যান্ড, বাজার। রমরমিয়ে চলতে লাগল দোকান । বিয়ের তিনবছরের মাথায় বিশাখা পোয়াতি হল। অমিয় তো খুশিতে পাগল, তার একটা মেয়ের বড় শখ, বিশাখার মতো সুন্দরী, প্রাণ চঞ্চল ছটফটে মেয়ে... বস্তির লোকেরাও খুব খুশি।
আপনজনের অভাব বোঝেনি বিশাখা। আশপাশের সবাই রেঁধে রেঁধে খাইয়েছে। অমিয় বৈষ্ণব, সে মাংস ডিম খেত না কিন্তু বিশাখা মাছ-মাংস খাওয়া বাড়ির মেয়ে। আমিয়র সাথে এসে সেও সব ছেড়ে দিয়েছিল কিন্তু এই অবস্থায় তার বোধহয় খেতে সাধ হয়েছিল। মাছ বিক্রি করে বিজয় কাকা ও তার বউ তাকে আশ মিটিয়ে মাছ খাইয়েছিল। আপত্তি করেনি অমিয়। আত্মার যেটা খেতে ইচ্ছে করবে সেটাই খাওয়া ভালো। এবাড়ি-ওবাড়ি থেকে প্রায় তরকারিটা মাছটা দিয়ে যেত। খুব সুখের সংসার ছিল তাই জন্যই বোধহয় অমন ঘটনা ঘটলো। এত সুখ কপালে সইল না। মেয়ে না একটা ফুটফুটে ছেলের জন্ম দিয়ে মারা গেল বিশাখা।
পাগলের মতো হয়ে গিয়েছিল অমিয়, পাড়ার লোকই কদিন সামলেছে ছেলেকে। সদ্য মা হওয়া তারকের বৌ একসাথে রেখেছে তার ছেলেকে আর অমিয়র ছেলেকে। দিন গেল আসতে আসতে সামলালো নিজেকে অমিয়। ছেলেকে বুকে তুলে নিল মানুষ করতে লাগল ছন্নছাড়া বৈরাগী লোকটা। সবাই ভেবেছিল সংসার ফেলে আবার ভেসে যাবে কিন্তু না এই বস্তির কোথাও যেন তার মায়ার টান গজিয়ে গিয়েছিল। তেমনই গান গাইতো তবে বড় দুঃখের গান। বড় আদরে ছেলেকে মানুষ করেছিল অমিয়। তেলেভাজার দোকান এত ভালো চলছে বেশ ভালো পয়সাকড়ি তার হাতে এসেছিল। আর ছেলেকে মানুষ করে ছিল মনের মত করে বড়লোকের ছেলের মত মানুষ হবে জীবনে দাঁড়াবে এটাই ছিল অমিয়র স্বপ্ন। তাঁর ছেলেকে দেখতে ছিল খুব সুন্দর। একটু একটু করে দিন কেটে গেল। ছেলেকে মাধ্যমিক পাশ করালো কিন্তু ছেলে মানুষ হচ্ছিল না তার বাবার মত তার স্বভাব চরিত্র ছিল না । নিজে অমিয় নিরামিষ খেলেও ছেলের খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে কোনো বিধি-নিষেধ রাখেনি কিন্তু তা বলে বাড়িতে বসে মুরগী কেটে বন্ধুবান্ধব নিয়ে রান্না করে খাবে তা মেনে নিতে অমিয়র বড় কষ্ট ছিল। সে বেরিয়ে যেত বাড়ি থেকে।উচ্চমাধ্যমিক পড়া থেকেই রাহুল আরো খারাপ হয়ে উঠল। একটা বাজে গ্যাঙে মিশে চুরি ছিনতাই শুরু করেছিল। নেশাভাঙ করত। অমিয়র ভিতরটা ছিল খুব নরম। মা মরা ছেলেকে তেমন শাসনে মানুষ করতে পারেনি। রাহুলের জন্মের বছর তিনেক পরই আর একটা বাচ্চা হয়েছিল তারকের বৌএর। মেয়ে অপূর্ব সুন্দর দেখতে ফুটফুটে মেয়ে। তাকে ভালোবাসতো অমিয় ভিষণ। অদ্ভুত ব্যাপার তারক আর তার বৌ দুজনেই খুবই অসুন্দর, কাউকেই দেখতে ভাল ছিল না কিন্তু মেয়ে হল যেন বিশাখার মতো সুন্দরী। তার চিবুকের কাছে ঠিক বিশাখার মত একটা লাল জড়ুল ছিল। খুব ছটফটে হাসিখুশি মেয়ে হয়েছিল। অপরিসীম মমতায় বুকে তুলে নিয়েছিল মেয়েটাকে অমিয়। খুব ভালোবাসত তিতলিকে। মেয়ের জন্মের কিছুদিন বাদে মারা যায় তারক ক্যান্সারে। তারকের বউ তাকে বোষ্টম দাদা বলে ডাকতো। উচিত ছিল অমিয়কে মামা বলা কিন্তু মামা বলে ডাকত না তিতলি ডাকত বোষ্টমবাবা বলে। ভারী সুন্দর সম্পর্ক ছিল তাদের।
রাহুলের অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে ঘুরল। শেষে তার খোঁজে পুলিশ বাড়ি আসা শুরু করল তখন চিন্তায় পড়ে গেল অমিয়। ছেলেকে কি করে সামলাবেন ভেবে পেল না। উদাসীন অমিয়র ও একদিন খেয়াল হলো যে রাহুল তিতলিকে খুব পছন্দ করে। তিতলিও রাহুলকে যে বেশ পছন্দ করে। আশা হলো তিতলি সঙ্গে রাহুলকে বেঁধে দিলে যদি রাহুল ঘরে ফেরে, মানুষ হয়। সেই মতো ব্যবস্থা চলতে লাগলো। খুব খুশি হলো সবাই। তিতলি মাধ্যমিক দিল। রাহুলকে একটা দোকানে কাজ দেখে দিল অমিয়। কাজ কর্ম না করলে, বিয়ে করে দায়িত্ব না নিলে ছেলে মানুষ হবে না। রাহুল কিন্তু বিয়ের কথায় রাজি হয়ে গেল বেশ কিছুকাল ভদ্র হয়ে কাটাতে লাগল। সবাই খুব খুশি হয়েছিল।
কিন্তু রাহুল বদলাবার ছেলে ছিল না বিয়ের পর সে কিছুদিন তিতলিকে নিয়ে মাতামাতি করল। তারপর আবার নেশা ভাং করতে লাগল, সঙ্গে ঝগড়া অশান্তি। কিন্তু তিতলীর গায়ে হাত তোলাটা অমিয় কিছুতেই মেনে নিতে পারলো না। এবার বাপ ছেলে লেগে গেল। তারপর ঘটল সেই ঘটনা যে দোকানে কাজ দেখে দিয়েছিল রাহুলকে সেই দোকানের ক্যাশ ভেঙে পালালো রাহুল যাবার পথে বাধা দেওয়ায় দোকানের দারোয়ান কে ছুরি মেরেছিল রাহুল। পুলিশ তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছিল। সেই যে রাহুল পালালো আর ফিরে এলোনা। অমিয়র শরীর মন ভেঙে গিয়েছিল। তখন তিতলির আঠারো বছরের একটু বেশি বয়স। ফুটফুটে সুন্দর তিতলি চুপচাপ হয়ে গিয়েছিল। আর তিতলিকে দেখে হাউ হাউ করে কেঁদে ছিলো অমিয়। জীবন নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে মেয়েটার শুধু তার ছেলের দোষে, আর অমিয়র ভুলে।
তারকের বৌ মরে যেতে তিতলি আর অমিয়র জীবন চলতে লাগল গতানুগতিক ভাবে। তিতলি কিন্তু কাটিংটা খুব ভালো করে শিখতে লাগল। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে ওই দিকেই মন দিল, চমৎকার কাজ শিখেছিল। অমিয় মেশিন কিনে দিল তিতলি ঘরে চুড়িদার ব্লাউজ অর্ডারে করতে
লাগল। খুব নাম হয়ে গেল। অমিয়র প্রেশার খুব হাই হয়ে গিয়েছিল। তিতলি তাকে জোর করে বসিয়ে দিল। মজা করে তার খালি গলার গান ইউটিউব দিতে লাগল। তিতলির একটাই কথা, সে খুব ভালো আছে, বোষ্টম বাবার কোলে আছে, নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে আর কিছুই চায় না।
কিন্তু দিন তো এমন যায় না। বছর দশেক প্রায় কেটে গেল এর মধ্যে রাহুলকে আশপাশের লোকেরা দেখেছে কেউ রাজাবাজারে, কেউ একজন দেখেছে পাঞ্জাবে। মোটমাট সে যে বেঁচে আছে এটা সবাই জানে কিন্তু ফিরবে বলে আর মনে হয়না। যারা পাঞ্জাবে দেখেছে তারা বলছে সাজ-পোশাক আদব-কায়দা সবই বদলে গেছে। তিতলি আর অমিয় তাদের মতই জীবন কাটাতে লাগল। এমন সময় তিতলির সাথে ভাব হলো একটি ছেলে অমিয়র চেনাজানা ঘড়ির দোকানে চাকরি করে ছেলেটা। অমিয়র বড় চিন্তা ছিল তিতলিকে নিয়ে, সে যতদিন আছে ততদিন তিতলিকে বুকে করে রাখবে তারপর তিতলির কি হবে! তিতলির একটা বিয়ে দেওয়া দরকার কিন্তু অমিয়র মানুষের উপর ভরসা উঠে গেছে। হারামজাদা ছেলেটা মেয়েটার জীবনটা নষ্ট করে দিল। অমিয়ই তিতলির বাপ, তিতলির শ্বশুর। রাজু নামের ছেলেটার সাথে কথা বলে মিশে খুব ভালো লাগল তার। সব ঘটনাই সে জানে। বাড়িতে তার মায়ের সমান এক অবিবাহিত বয়স্কা দিদি আছেন যিনি গন্নাকাটা, কথা নাকে নাকে কোনরকমে বলেন। তারও পছন্দ তিতলিকে। আর কেউ নেই সংসারে।অমিয় তার সাথেও আলাপ করল। এবার লুকিয়ে খোঁজখবরও করল ছেলে সম্বন্ধে। নিশ্চিন্ত হল ছেলে খুব ভালো। পূজো গেলেই অঘ্রাণেই বিয়েটা দেবেন ঠিক করলেন।
ছবি সহযোগিতায় : উষসী রায় |
তিতলি জানিয়ে দিল সে বিয়ে করবে না রাজুকে কোনমতেই কিন্তু রাহুলের সাথেও থাকবে না। একদিনেই তিতলির মুখচোখে যেন কালি পড়ে গেছে, ভয়ে দুঃখে অপমানে পাগলের মতো অবস্থা। অমিয় সারা সকাল চুপচাপ বসে রইল। তারপর কোথায় যেন বেরিয়ে গেল। ফিরল সন্ধ্যেবেলা। তিতলি কেঁদে কেঁদে অস্থির। অমিয়র মুখ শান্ত। সে শান্ত ভাবে সন্ধ্যা দিল, খঞ্জনী বাজিয়ে হরেকৃষ্ণ নাম গানও গাইল।
তারপর রান্না করল বেশ রসিয়ে কষিয়েই। নিরামিষ হলেও রান্নার হাত ভালোই ছিল অমিয়র। রাহুল বাড়িতে চেপে বসে আছে, তিতলির জন্য। ফিরতে তো হবেই তিতলিকে। সে বাপের রান্না দিয়েই গোটা আটেক রুটি মেরে দিল। তিতলির ঘরের খাটে জমিয়ে আরাম করে শুলো।
তারপর বেলায় উঠে এই চেঁচামেচি হৈচৈ। অমিয় তিতলি কেউ নেই। খাট বিছানা আলমারি সব পড়ে আছে দরকারী কাগজপত্র আর কিছু জামাকাপড় অতি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে অমিয় তিতলিকে সাথে নিয়ে উড়ে গেছে অন্য কোথাও। কোথায় তা কেউ জানে না।
রাহুল সাংঘাতিক গন্ডগোল বাঁধাল, সে শাসালো রাজু ছোঁড়াটাকে পেড়ে ফেল্লেই সব কথা জানা যাবে, ওরা কোথায় আছে। সেইমতো রাহুল রাজুর দোকানে গিয়ে হামলা করল।
অমিয় সারাজীবনে এই একটা বুদ্ধির কাজ করে ছিল। আগের দিন চুপিচুপি পার্টি অফিসে, ক্লাবে, রাজুর দোকানে আর বাড়িতে গিয়ে সব কথা বলে এসেছিল। রাজু থানায় জানিয়েছিল, ক্লাব ও তকেতকে ছিল। পুলিশের ফেরারি আসামী রাহুল দোকানে এসে হাঙ্গামা করতেই দোকানের মালিক পুলিশে ফোন করে। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে এসে ধরে নিয়ে যায়। পাড়ার লোক, ক্লাবের লোক সব বিপক্ষে। পার্টির সাথেও কোন সম্পর্ক নেই। রাহুলকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেল।
অমিয় তিতলি তখন অনেক দূরে। অমিয় তিতলিকে বলেছিল দূরে কোন ভালো জায়গায় একটু থিতু হয়ে রাজুর সাথে যোগাযোগ করে জানাবে। তিতলি রাজী হয় নি। রাজুকে সে ভালোবেসে ফেলেছিল। তার জীবনের সাথে জড়ালে রাজুর বিপদ। কে জানে কবে রাহুল আবার ছাড়া পাবে! যদি দেখে রাজু নিজের মতো সংসার করছে, তিতলির সাথে যোগাযোগ নেই তবে হয়তো তার আর ক্ষতি করবে না। একবার জেল খাটলে অন্তত এই কাজটা হয়তো করবে না। প্রথম যৌবনে প্রেমের বন্যায় ভেসে যে ভুল সে করেছিল এখন আর তার সেই বয়স নয়। উচ্ছ্বল ঝর্ণা এখন ধীরস্থির নদী।
এখন তারা বাপ বেটি দূরেরএক মফস্বল শহরে থাকে। এখানেও সেলাইয়ের কাজ করে তিতলি আর অমিয় ঠাকুরের নাম গান করে। তত রোজগার নেই তবে এখানে জিনিসপত্র ও অনেক সস্তা। এখানেও সবাই ভালোবাসে, ভক্তি করে। তবে সম্পর্কটা বাবা মেয়ে বলেই জানে। বাপবেটির চলে যায় ভালো মত। তবে অমিয় খুঁজে বেড়াচ্ছে তার ইষ্ট মধুসূনের সেই হাত যে হাতে তার তিতলিকে তুলে দিতে পারে।।
0 মন্তব্যসমূহ