দৈনিক কবিতা গুচ্ছ




পোস্ট বার দেখা হয়েছে


যেতে চাও যাও

তৈমুর


বৃষ্টি ভেজা আমি ছেড়ে যেতে চাও যাও!

আবার কেন তবে পিছে ফিরে তাকাও?

বারেবারে কেন দেখাই বা দাও?

তবে আমার অন্তরে কি আগুন জ্বালাও!


যেতে চাও যাও!

কেনই বা আগুন জ্বালাও?

অন্তরাগ্নির দিকে একবার তাকাও!


===

দুঃসময়ে

শিশির আজাদ চৌধুরী


আমাকে দিও না প্রেম শঙ্ক বারুণী;

প্রেম দিলে কি আর প্রেম ঝরে?

ক্ষয়ে ক্ষয়ে থাকে কেবল রক্ত আঙ্গার?

তবে বাৎস্যায়ন বিমুখ করে কিছু দূরে

চলো, দোঁহে প্রণয় হাতে ধরি মরণাস্ত্র।

নারীর, সমাজের, রাস্ট্রের মুক্তির দাবিতে

ক্ষণিকের সময়ে ভুলি প্রেম নিবেদন।


দেখো স্বদেশের বুকে আজো দুঃসময়;

লাশের ওপরে লাশ, বিবস্ত্র নারীর ছিন্ন স্তন।

যদি এসবের মাঝে প্রেমে মত্ত হই,

হয় তো একদিন তুমিও-- আমিও হবো খুন;

আর কালের পাতায় তুমি আমি কলঙ্কিত।


===

শারদীয়া দুর্গোৎসব

 শ্রীধর দত্ত


কৈলাস থেকে মা আসছে খুশির বন্যা নিয়ে,

শরতে প্রকৃতি সেজেছে তাই অপরূপ সৌন্দর্যে।

ভোরের আকাশে শুভ্র মেঘপুঞ্জের মেলা,

কাসকুমারীর কেশে লেগেছে হিমেল দোলা।

দেবীপক্ষে মহালায়ায় বাজে আগমনী ঘন্টা,

সন্তানের অভিলাশে কাঁধে মা দুর্গার মনটা।

শিশির ভেজা দুর্বাঘাসে মা আসবে হেঁটে,

ধন ধান্যে বসুন্ধরায় দুঃখ গ্লানি যাবে মুছে।

ঝিলে বিলে পদ্মফুলে লেগেছে হাসি,

শিউলি জবা কামিনী সুগন্ধির ছড়ায়,

চরণে লুটাবে বলে ফুলের অর্ঘ্য সাজায়।

কলা নারিকেল ফলে সাজানো নৈবেদ্যের থালা,

ছুটির আমেজে আত্মীয়-স্বজনে মহা মিলনমেলা।

সপ্তাহব্যাপি পূজামন্ডপে রঙিন আলোর ঝিলিক,

ছেলে বুড়ো সবার পরনে নতুন পোশাকের হিড়িক।

করজোড়ে ভক্তিভরে ভক্তের আকুতি মিনতি,

শঙ্খ মুখে ধুপদীপ ঘন্টা হাতে পুজারীর আরতি।

ঢাক-ঢোলক, ডুগডুগি আর কাঁসা আওয়াজে,

পূজো মন্ডপ মুখরিত মায়েদের উলু ধ্বনিতে।

কাম ক্রোধ লোভ হিংসা লুপ্ত হবে মনে,

শুভ শক্তির উদয় হবে অসুর বিনাশে।

জাতি ধর্ম বর্ন বাঙালি হৃদয়ের মহা উৎসব,

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শারদীয়া দুর্গোৎসব।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ