পোস্ট বার দেখা হয়েছে
ইরেজার
মানস ঘোষ
ছবি তো আঁকতেই পারি..
পেন্সিলের অবাধ স্বাধীনতায়
নরম সুগন্ধি রবারের কারিকুরি।
মুশকিলটা হয় রঙ দেওয়ার সময়,
হাত কাঁপে.. ভুল হয়ে যায় বারবার..
বারান্দার গ্রিল বেয়ে ওঠা
বাহারি ফুলের আভা লেখার টেবিলে
..আবার তুলসীমঞ্চের আলপনা
কখন যে উঠোনের ঘেরাটোপ পেরিয়ে
সেজে উঠেছে মীরপুকুরের ধারে,
দরগার দেওয়ালে..
বড় যত্নে বানানো মাটির রঙটুকুও
জায়গায় থাকে না আর..
সারা ক্যানভাস জুড়ে অবাধ্য
তুলির মেটে দিগন্তরেখা..
আবহ সঙ্গীতের মতো।
তবে, সাদা কাগজে মাটিতে পড়ে থাকা
শিউলি, টগর ফুটিয়ে তোলার মজাই আলাদা
শুধু ঐটুকু রঙহীন রাখলেই হলো..
শিউলির কথায় মনে পড়লো,
পুজো আসছে...
অসুরনিধনের ছবি আঁকতে হবে..
সারারাতের চেষ্টায় এঁকেও ফেললাম
ভারী অপরূপ এক ছবি ... দুর্গতিনাশিনী!
ভোরবেলা যখন চোখ বুজে আসছে...
দেখলাম, রঙের অসমবিন্যাসে সমস্ত অস্ত্র
চলে গেছে অসুরের দশ হাতে..
মায়ের হাতে শুধু তুলি কলম
.. আর একটা মস্ত বড় ইরেজার !
1 মন্তব্যসমূহ
এই কবিতাটি দর্পন শারদ সম্মাননা পেয়েছে জেনে ভালো লাগলো। আপনাদের পত্রিকাকে জানাই
উত্তরমুছুনঅসংখ্য শুভকামনা!