পোস্ট বার দেখা হয়েছে
অন্বেষণ
প্রতিভা গাঙ্গুলী
দয়াকরে একটু শুনুন না,
হ্যাঁ, হ্যাঁ, আপনাদেরই বলছি ,
শুনতে পাচ্ছেন?
শান্তিপুরের রাস্তাটা ঠিক কোনদিকে বলতে পারবেন?
ছেলেবেলা থেকেই বাবা-কাকারা শিখিয়েছিলেন ,
মেরুদণ্ডটা সোজা রেখে, সত্যের পথে হাঁটলেই নাকি..
অনায়াসে পৌঁছে যেতে পারি" শান্তি "র দেশে।
সততার ডজনখানেক সিঁড়ি বেয়ে,
ক্ষয়িষ্ণু সমাজের গলিপথে হাঁটতে হাঁটতে
এগিয়ে এলাম অনেকটা, তবু আজও শুধুই অন্বেষণ।
জন্মদিনের ঝকিমিকি সকালে,
স্টেশন চত্বরের আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা,
পথ শিশুদের হাতে তুলে দিতাম নতুন জামা,
মা -বাবার বিবাহবার্ষিকীর দিনে,
প্রায় দু-তিনটে গ্রামের কাঙাল ভোজনের হৈ হৈ।
বার,তিথি, ,নিয়ম নীতিতে মা ছিলেন উপযুক্ত গৃহিণী।
অথচ.. একদিন বাবার কাছের মানুষগুলো,
ষড়যন্ত্রের রাস্তা এঁকে, অমানবিকতার হাত ধরে,
অনায়াসে ঢুকে পড়ল আমাদের সাজানো জীবনে।
নিষ্ঠার মন্ত্রে গড়ে তোলা, বারার ব্যবসা তখন অন্যের,
অপমানের বোঝা হালকা করতে, ঋণের ক্ষত মুছতে,
বাবা নির্বাসন নিলেন স্বেচ্ছামৃত্যুর দেশে।
ছবির মতো আঁকা রাস্তা ছেড়ে, অনিশ্চয়তার পথেপা
চাকরির খোঁজে.. এগলি থেকে ও গলি ,
জন্মের ভিটে -মাটি ফেলে, ভাড়াটে বাড়ির নামতা,
যোগ্যতাকে আড়ালে রেখে, তোষামোদের ওঠা-নামা,
ভালোবাসার ঘরে যে বন্ধু বাড়িয়ে ছিল হাত,
তার পুরোনো প্রেমিকা ফিরে আসায়
সম্পর্কের দেওয়ালেও ধরেছে ফাটল ।
বিশ্বাস আর মূল্যবোধের ঘরে মস্ত একটা শিকল,
হাতাশার ভিড় ঠেলে খুঁজে ফিরি "শান্তি "র ঠিকানা ।
0 মন্তব্যসমূহ