পোস্ট বার দেখা হয়েছে
দিন যাপনের ডাইরি
নদেরচাঁদ হাজরা
এক অদ্ভুত অবসাদে ভুগছি
এক অদ্ভুত অনিশ্চয়তায় ভুগছি
এখন আর মধুমাস আসেনা দ্বারে
দিনগত পাপক্ষয়
দিনগত কালক্ষয়
এভাবেই চলে যাচ্ছে সময় ৷
চলমান জীবন থমকে গেছে বুকের ভেতর
উদ্বেগে ভরা দিন
আশঙ্কায় ভরা দিন কাটে এখন ৷
সব বিবর্ণ হয়ে গেছে আগামীর পরিকল্পনা
মনের পাতাগুলো সবুজ থেকে হলুদ হয়ে ঝরে যাচ্ছে অসময়ে
স্বার্থের কারবারীরা কিন্তু শুষে নিচ্ছে রস
তারপর !
সুযোগ বুঝে ছুঁড়ে দিচ্ছে অন্ধকারে ৷
ভালোবাসাও এখন স্বার্থের দরে বিকোচ্ছে চারদিকে ৷
অসহায় আত্মসমর্পণে
ফ্যাকাসে মুখের ভীড়ে চারপাশ বিষণ্ণতায় ঢাকা জীবন ৷
অথচ
এমনটা হওয়ার কথা ছিলনা
অতীতের সংগ্রামী পথ ধরে মানুষ এগিয়ে নিয়ে এসেছে নিজেকে
নিয়ে যাবে আগামীতেও ৷
তাই আবার সবুজ পাতায় ভরে উঠবে গাছ
ছিটেধরা জীবাণু ছেড়ে যাবে
মুগ্ধতার আনন্দে সব অনিশ্চয়তা সব বিষাদময়তা দূর হবে ৷
তারপর সংগ্রামী চেতনার পথ ধরে বর্তমান থেকে
আগামীর পথে চলে যাবে জীবনপ্রবাহ ৷
আসন্ন মুক্ত প্রভাতে
ভরে যাবে মনের ভেতরটা ৷
চলো সেই দিনের জন্য আবার লড়াই শুরু করি ৷
====
শুকুমার কাকা
আঃ আজিজ
নাম ছিল তার ভূবন সাহা
ডাকিতাম তাকে দাদা
আদর স্নেহ পেতাম এমন
ভুলিতাম জাত-পাতের কথা।
ভুলিব না কেন ? যত্ন করিত
যেন রক্তের বাঁধনে বাঁধা
রক্ত গোস্তের মানুষের
কিসের সাম্প্রদায়িকতা।
দাদা আজ বেঁচে নেই
আছে ছেলে তার সুকুমার
তার ব্যবহারে ভুলে আছি
অভাব পুরন করেছে দাদার।
মাস পর গেলেও বলবে
এত পর এলি,সময় কি পাস না?
দু দিন পর পর গেলেও বলবে
কেন মাঝে মাঝে আসিস না।
আসলে সম্পর্কটা আত্মার
কিসের গোত্রীয় ধর্ম প্রাচীর
মানুষত্ব ছাড়া আছে কি
কোন ধর্ম বিশ্ববাসীর ?
অধীর হলে মন। ছুটে যাই
সুকুমার কাকুর কাছে
প্রিয় কাকা বাবু। পাঁচ্চর
প্রিয়ংকা বস্ত্রালয়ে বসে।
===
জবাব পাই নে
হামিদুল ইসলাম
পর্দার আড়ালে চলে যায়
মানুষ
প্রেম লুকিয়ে থাকে গভীর অরণ্যে
শুকনো মন কাঠ
খুঁজে পাই নে জীবনের নির্যাস ।।
জীবন এক যুদ্ধক্ষেত্র প্রতিদিন
এখানে মল্লযুদ্ধের প্রতিযোগিতা
কে আসে
কে যায়
খোঁজ রাখে না কেউ ।।
তুমি আসো প্রভাত হয়ে প্রভাতে
তোমার আগমন
বিস্ময়ে চেয়ে থাকি
অশুভ লগ্ন
তুমি আমি পরস্পর বন্ধনের সাক্ষী ।।
মন পড়ে থাকে বহুদূরে
প্রশ্ন করি কাকে
সব প্রশ্নই ফিরে আসে
জবাব পাই নে একটিও তার ।।
2 মন্তব্যসমূহ
উত্তরমুছুনপ্রতিটি কবিতা সুন্দর ভাবনায় লেখা
শুভ বিজয়া
বাঃ,ভালো লাগলো কবিতাগুলো।
উত্তরমুছুন