পোস্ট বার দেখা হয়েছে
স্মৃতিচারণায় মারারোনা , কলমে রমলা চক্রাবর্তী
বাড়িতে মারাদোনা সবসময়েই আলোচনার মধ্যে এসেছে বিশেষকরে নাক উঁচুরা যবে থেকে বিশ্বকাপে তাঁর গোলকে ঈশ্বরের হাত বলে ব্যাংগকরারউত্তরে সেই অসাধারন গোল দেখার পর।
মারাদোনা সবসময়েই বিতর্কের মধ্যে থেকেছেন। ফুটবলকে শাসন করতে পারলেও ,জীবনের অভিজ্ঞতায় যে মতবাদ কেজীবনের ধ্রুবতারা করেছেন তার প্রতি আজীবন বিশ্বস্ত থাকলেও নিজের উপর অবিচার করেছেন।পথভ্রান্ত রাজকুমারএর জন্য কতবার চোখের জল ফেলতে হয়েছে!
বিশ্বকাপ থেকেতাঁর বিদায়ে টিভির সামনে বসে কে না কেঁদেছে? সেইদিনই সুভাষ চক্তবর্তী বলে ছিলেন মারাদোনাকে একবার চেষ্ট করবেন নিয়ে আসার।
শেষ পর্য্যন্ত সেটা সম্ভব হয়েছিল।অনেকের প্রচেষ্টা যুক্ত ছিল তাতে কিন্তু বড় অংশীদারিত্ব ছিল কমরেড সুভাষ চক্রবর্তীর।তাঁর শুধু নয় বাংলার মানুষের ভালোবাসার দিয়াগোর আগমনের প্রস্তুতি,,বিমান বন্দরথেকে হোটেল পর্য্যন্ত সমবর্ধনা,মাষুষের প্রাচীর , আলোর উৎসবযা মুগদ্ধ করেছিল রাজপুত্রকে,সেকি কখনো ভুলবে কলকাতাবাসী!সকলে যাতে দেখতে পায় তারজন্য স্পেশাল ফাইবারের বাসের মত গাড়ি করে মারাদোনার যাতায়াত।
মারাদোনার সাথে কথা বলার জন্য সুভাষবাবু একমাসের বেশী সময় স্প্যানিশ শিখেছেন।নোট গুলি রয়েছে এখনো।এয়ারপোর্টে পরিচয়ের সময়স্প্যানিশ ভাষায় দুলাইন স্বাগত জানিয়ে চমকে দিয়েছিলাম মারাদোনাকে।
যুবভারতী ক্রীড়াংগনে দেড় লক্ষ মানুষ,রাস্তা ছাদ সবমানুষের দখলে। সকলের মুখে স্বপ্ন পূরনের হাসি।আজ বারবার সেছবি গুলিই চোখে ভাসছে।
ইন্দিরা ভবনে জ্যোতিবাবুর কাছে এলেন।এক ঐতিহাসিক সাক্ষাৎকারেরসাক্ষী থাকায় গর্বিত আমি। পাশাপাশি বসে মারাদোনা ফিদেল কাস্ত্রোর ছবি দেখিয়ে জ্যোতি বাবুকে বলছেন"কমরেড ফিদেলকাস্ত্রো আমার বন্ধু ,আপনি তাঁর বন্ধু তাই আপনি আমার ও বন্ধু।"আবেগ প্রবণ দিয়াগো আপ্লুত।
অন্যদেশ ,অন্যভাষা,একান্ত ভিন্ন জগতের তবু মারাদোনাকে কেন এত আপন ভাবতেন সুভাষ বাবু যা সংক্রামিত হয়েছে আমার ,আমার বৃহত্তর পরিবারের মধ্যে।
মারাদোনাও বোধ হয় সে প্রানের আবেগকে বুঝতে পেরেছিলেন,তাই লক্ষলক্ষ মানুষের চোখের জলেরমধ্যে যখন চলে গেলেন সকলের প্রিয় সুভাষদা , সেই খবর জেনে আকূল হয়ে শোক জানালেন মারাদোনা,বিশ্বের ফুটবলের শ্রেষ্ঠ খেলোয়ারটি।বারে বারে অসুস্থ হয়েছন মারাদোনা আশংকায় থাকতো বিশ্ব।শেষ অবধি সেই সত্য হল।জন্মদিনের কয়েক দিন পরেই চলেগেলেন তাঁর প্রিয় কমরেড ফিদেল কাস্ত্রোর মৃত্যু দিনেই। চলে যেতেই হয় ।যদিও ইতিহাস থেকে যয়।কিন্তু এটাও ঠিক
সেই ইতি হাসকে বিকৃত করে,ভুলিয়ে দেবার ষড়যনত্র চিরদিনই আছে।
আজ জ্যোতি বসু নেই,নেই সুভাষ চক্রবর্তী।চলে গেলেন মারাদোনাও।শুধু মনে আছে সেই সোনালী দিনের ছবি।
সেই আবেগ,আনন্দ,ভালোবাসারস্মৃতি নিয়েই বিদায় মারাদোনা!
2 মন্তব্যসমূহ
ভীষণ ভালো লাগলো
উত্তরমুছুনমহান ব্যক্তিত্ব কলকাতায় আসার পর এসেছিলেন শমীক লাহিড়ী উদ্যোগে এসেছিলেন আমার বসবাসের প্রাণের মহেশতলার ইডেন সিটিতে ফুটবল স্টেডিয়াম উদ্বোধন করতে ৷