কবিতাগুচ্ছ || দে বা শী ষ




পোস্ট বার দেখা হয়েছে

তবু অঘটন ঘটে 


কিছু বিষয় বুঝতে ও জানতে গেলে বয়স বেড়ে যায়,

শিশুরা যেভাবে সমাজটাকে দ্যাখে,

চাষার ভিতরে ঘনীভূত হয় বিপ্লব ,

শ্রমিকের পাঁজর ঠেলে যন্ত্রাংশের সংসার,

অঙ্কুরোদগম নেই - উপোষ গন্ধের রুটি পুড়ে যায় নিরালায়।

অথচ আমরা দৈবিক গতি রাখি,

ফুলে ফুলে ঘষাঘষি -

খবর আর খবর - টি আর পি মোড়া সকাল, 

প্রবল উচ্চাভিলাস - কাঙ্ক্ষিত কাঙাল ব্যালট কাঁদে,

নিটোল সমৃদ্ধি কোথায় পাবো জানা নেই -

রক্ত পতাকা তোমার ও তোমাদের জন্য নয়।

যাও!

দূষিত করো উলঙ্গ শরীর শহরে শহরে,

গ্রামে লাশের সমতা ;

বেশ্যার শরীরে অজানা রোগ পুড়ে উল্লাস করো,

রোজগেরে চাকা - কন্ডাক্টারের ডাক ক্ষীণ হয়ে আসে,

রাজপথ তোমাদের বিকারগ্রস্ত সোপান,

দাপাদাপি - রেষারেষি - আগুন,  

গোপনে বিতৃষ্ণা বলে কিছু নেই,

শিক্ষার পবিত্র টিলায় খরপোশের মাচা ,

ধোঁয়া বয়ে আসে পাহাড়ের গা বেয়ে মিইি জীবনে বাস্তবের খোঁজে,

কিছু বিষয় বুঝতে গেলে -

একটা জীবন যথেষ্ট নয়। তবু অঘটন ঘটে -

===

সমাজের কবিতা লিখবো বলে 


নিজেকে চিনতে  গিয়ে -

উড়ন্ত মেঘের বুক ছুঁয়ে,

শিশুর খেলনায় অচেনা দারোয়ান হয়ে জাগি,

ভোরের সব আলো - কথাবলা পুতুল,

আমার নয় - 

নিয়ে যেতে পারো ফেরত যেকোনো সময়,

কোয়ারেন্টাইনে প্রেমিক যুগল,

ফেরত পেতে চায় আকাশ আর কিছু ফুল,

ভাইরাস পাতে - হেসে ওঠে মায়াবী সভ্যতা,

ট্রামের টলমলে চাকা আর নেই,

সারারাত হন্যে হয়ে কুকুরের সাথে - নদীর কালো জল ছুঁয়ে -

সময়ের মরক লাগে ।

পথ আর পথ,  

কোনোটা আলাদা কোনটা একসাথে মেশে ,

বোঝাতে বোঝাতে শুকিয়ে যায় পাহাড়ে টাঙানো জামা,

বনানীর ডাইনিং টেবিল -

পাতারা রান্নার কাজ ছেড়ে ভোটাধিকার খোঁজে,

তন্ত্র নির্বিকার -

নিজেকে উজাড় করতে গিয়ে,

হারিয়ে ফেলি বেনামী কতো চিঠি,

কতো সংলাপ ;

অপেক্ষা অপেক্ষা খেলা ;

আর সময় দেইনা বলে বিপ্লব অভিমান করে ওঠে ,

আমি সকলকে ঘুম পাড়ানী গান দিয়েছি,

দিয়েছি ফলিডল মেশানো গোলাপ,

উন্মাদ মরু আমার বুকে জেগে,

বালি শুধুই বালি -

পা পুড়ে যায় উষ্ণতায় -

হরিধ্বনী আমার কাছে আছে ;

সমাজের কবিতা লিখবো বলে ।


====

অর্পণ


রাস্তা ছিলো মানুষ ছিলো,  আর যা ছিলো দূর দেশে,  

অর্থনীতির দূরত্বরা - থমকে দ্যাখে সব শেষে।


কোথাও কোন অবুঝ আলো - ভালোবাসার আনলো দান।

পথের দিশা পথিক জানে - সময় শ্রমিক ভ্রাম্যমান ।


স্রোতের বিমুখ হাঁটতে থাকা, অনেক সময় কঠিন হয়।

কিছু দৃঢ় প্রবল গাঁথা - ছাপিয়ে দুকূল, চলতে চায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

4 মন্তব্যসমূহ