পোস্ট বার দেখা হয়েছে
অঙ্কন : শ্রেয়সী রাণা |
অস্তরাগ
সুতপা ঘোষ রায়
রোজ তোমায় দেখতাম -
নির্নিমেষে ।
ঝোলা ব্যাগ নিয়ে
রোজ যেতে আমার বাড়ির সামনে দিয়ে।
একটা বিশেষ সময়ে ।
তাকিয়ে থাকতাম তোমার চলে যাওয়ার দিকে ।
কখনো তোমার ফিরে আসা
চোখে পড়ে নি।
বড় ইচ্ছে হতো কিছু বলি ।
কিন্তু হয়ে ওঠে নি কোনোদিন ।
না বলা কথাগুলো দিয়ে গেঁথেছি কল্পনার মালা।
বারবার ।
তারপর আবার সাজিয়েছি
নতুন কথার মালা ।
এমন ই ছিল তোমার আকর্শন ....
দিনের ওই সময় টুকু
অস্থির হয়ে উঠতাম।
তারপর আমার পথ চাওয়া
শেষ হলো একদিন ।
হারিয়ে গেলে তুমি চিরতরে ।
শত সহস্র তারার মধ্যে ধ্রুবতারার মত জ্বল জ্বল করতো তোমার স্মৃতি ।
জীবনের স্রোত থেমে থাকে না ।
তাই আমিও সেই স্রোতে ভেসে চলেছি।
সেই ধ্রুবতারার দিকে তাকিয়ে তোমায় খুঁজেছি ।
আকাশ মেঘলা হলে অস্থির হতাম।
একদিন বিলীন হলো সেই ধ্রুবতারা ও।
হটাৎ তুমি আবার এলে....
সব স্মৃতি মুছে দিলে
স্বপ্নের মালা ছিঁড়ে দিলে ।
অস্তরাগের লালিমা
আর তোমার রক্ত রাঙা সিথি
মিলে মিশে একাকার হয়ে গেল।
==========
ঋতুর বিবর্তনে
শান্তি দাস
ঋতুর বিবর্তনে আজ পেরিয়ে যায় বছর,
ঋতুর বিবর্তনে আজ উষ্ণতার করুন অভাব।
গ্রীষ্মকালের দহন আর উষ্ণতার প্রখর তাপ,
ঋতুর বিবর্তনের ফলেই তো তা ঘটে।
এই তো প্রকৃতি চলছে বিবর্তনের ধারায়,
ঋতুর বিবর্তনে আজ কোকিল কন্ঠে মধুর সুর বাজে।
কোকিলের কন্ঠে ঘটে চলে আতেথিয়তার আবির্ভাব,
আভাস-বাহী,নানা অস্থায়ী বন্ধুর আগমন।
ঋতুর বিবর্তনে গাছে গাছে ফুল ফোটে,
কুঁড়িতে কু্ঁড়িতে নতুন সবুজের আগমন।
ঋতুর বিবর্তনেই ধ্বংস ও আবির্ভাব ঘটে,
বিবর্তন শুধু ঋতুর,অহংবোধের ঘর বেধো না...
ঋতুর বিবর্তনেই অহং ধংস অভিসম্ভাবী চিরন্তন সত্য,
দেখবে সবাই নতুন সূর্যের আলোয় ভোরের কাকের ডাকে স্বপ্ন ভাঙার পর...
==========
আমি কিছু বলি না
কাকলী ভট্টাচার্য্য
কি অদ্ভুত তুমি
ব্যাথা দিয়ে বল , ব্যাথা পেয়েছি কি না?
কাঁদিয়ে বল কাঁদছো কেন?
হাঁসিয়ে বল হাঁসছো কেন?
ভালবাসি বলে আমি কিছু বলি না।
কাছে আসতে বলে বল দূরে সরে বসতে
যাকে ভালবাসা যা তার দেওয়া আঘাতেই হয়ে কষ্টো
সে যত দূরে যাক তার উপস্থিত হয়ে তত স্পষ্ট
0 মন্তব্যসমূহ