কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত ॥ শ্রদ্ধাঞ্জলি ॥ দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য




পোস্ট বার দেখা হয়েছে
             কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত 

  কলমে- দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য

        
                                
আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব। তিনি রবীন্দ্র যুগের রবীন্দ্র প্রভাবমুক্ত অন্যতম বিশিষ্ট কবি, সমালোচক ও সাংবাদিক। পিতা হীরেন্দ্রনাথ দত্ত, মাতা ইন্দুমতী, মাতুল রাজা সুবোধ চন্দ্র বসুমল্লিক।

প্রথমে, অ্যানি বেসান্ত প্রতিষ্ঠিত, বারানসীর থিওসফিকাল হাই স্কুলে পড়ে পরে কলকাতার ওরিয়েন্টাল সেমিনারি স্কুল থেকে ১৯১৮ সালে ম্যাট্রিক পাশ করে, কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে ১৯২২ সালে স্নাতক হন। ইংরেজীতে এম.এ. এবং আইন ক্লাসে ভর্তি হলেও তা তিনি মাঝপথে ছেড়ে দেন।

তাঁর দ্বিতীয়া স্ত্রী রাজেশ্বরী দেবী প্রখ্যাত রবীন্দ্র সংগীত গায়িকা ছিলেন।

কবি, ১৯২৯ সালের প্রথম বিদেশ যাত্রায় আমেরিকা ও জাপান ভ্রমণ করেন রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের সঙ্গে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্যের বিভাগ শুরু হবার পর অধ্যাপক বুদ্ধদেব বসুর আমন্ত্রণে
তিনি সেখানে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। তিনি "পরিচয়" পত্রিকার সম্পাদনাও করেছেন। ফরওয়ার্ড ও
সবুজপত্র পত্রিকার সঙ্গেও তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ১৯৪২ - ১৯৪৫ সাল সময়কালে কবি এ.আর.পি. তে ( Air Raid Precaution ) যোগদান
করেছিলেন। ১৯৪৫ সালে তিনি কলকাতার স্টেটসম্যান পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

শিশিরকুমার দাশ তাঁর বাংলা সাহিত্য সঙ্গী গ্রন্থে লিখেছেন --- তাঁর কাব্যে আধ্যাত্মিক মুক্তির কথা নেই,
আছে সর্বব্যাপি নাস্তিকতা। বিংশ শতকের মানুষের নানা সংশয় ও বিশ্বাসহীনতা তাঁর কবিতার
আর একটি প্রধাণ সুর। দার্শনিক চিন্তা, সামাজিক হতাশা এবং তীক্ষ্ণ বুদ্ধিবাদ তাঁর কবিতার ভিত্তিভূমি।
তাঁর কবিতা আবেগের জটিলতার নিরিখে কঠিন কবিতা-র অন্তর্ভুক্ত।

তাঁর কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে "তন্বী" (১৯৩০), "অর্কেষ্ট্রা" (১৯৩৫), "ক্রন্দসী" (১৯৩৭), "উত্তর ফাল্গুনী" (১৯৪০), "সংবর্ত" (১৯৫৩), "দশমী" (১৯৫৬) | তাঁর দুটি প্রবন্ধ গ্রন্থ হল "স্বগত" (১৯৩৮) এবং "কুলায় ও কালপুরুষ" (১৯৫৭) |

                                   কবিতা
                                 

হৈমন্তী

বৈদেহী বিচিত্রা আজি সংকুচিত শিশিরসন্ধ্যায়
প্রচারিল আচম্বিতে অধরার অহেতু আকূতি :
অস্তগামী সবিতার মোঘমুক্ত মাঙ্গলিক দ্যুতি
অনিত্যের দায়ভাগ রেখে গেল রজনীগন্ধায় ||

ধূমায়িত রিক্ত মাঠ, গিরিতট হেমন্তলোহিত,
তরুণতরুণীশূন্য বনবীথি চ্যুত পত্রে ঢাকা,
শৈবালিত স্তব্ধ হ্রদ, নিশাক্রান্ত বিষণ্ণ বলাকা
ম্লান চেতনারে মোর অকস্মাৎ করেছে মোহিত ||

নীরব, নশ্বর যারা, অবজ্ঞেয়, অকিঞ্চন যত,
রুচির মায়ায় যেন বিকশিত তাদের মহিমা ;
আমার সংকীর্ণ আত্মা, লঙ্ঘি আজ দর্শনের সীমা,
ছুটছে দক্ষিণাপথে যাযাবর বিহঙ্গের মতো ||

সহসা বিস্ময়মৌন উচ্চকন্ঠে বিতর্ক, বিচার,
প্রাণের প্রত্যেক ছিদ্রে পরিপূর্ণ বাঁশরীর সুর ;
জানি মুগ্ধ মুহূর্তের অবশেষ নৈরাশে নিষ্ঠুর ;
তবু জীবনের জয় ভাষা মাগে অধরে আমার ||

যারা ছিল এক দিন ; কথা দিয়ে, চ’লে গেছে যারা ;
যাদের আগমবার্তা মিছে ব’লে বুঝেছি নিশ্চয় ;
স্বয়ম্ভু সংগীতে আজ তাদের চপল পরিচয়
আকস্মিক দুরাশায় থেকে থেকে করিবে ইশারা 

ফুটিবে গীতায় মোর দুঃস্থ হাসি, সুখের ক্রন্দন,
দৈনিক দীনতা-দুষ্ট বাঁচিবার উল্লাস কেবল,
নিমেষের আত্মবোধ, নিমেষের অধৈর্য অবল,
অখণ্ড নির্বাণ-ভরা রমণীর তড়িৎ চুম্বন 

মোদের ক্ষণিক প্রেম স্থান পাবে ক্ষণিকের গানে,
স্থান পাবে, হে ক্ষণিকা, শ্লথনীবি যৌবন তোমার
বক্ষের যুগল স্বর্গে ক্ষণতরে দিলে অধিকার,
আজি আর ফিরিব না শাশ্বতের নিষ্ফল সন্ধানে 

                     
  জাতিস্মর

নাথু-সংকটে হাঁকে তিব্বতী হাওয়া |
প্রাকৃত তিমিরে মগ্ন চুমলহরি |
ছঙ্গু-সায়রে কার বহিত্র বাওয়া
অপর্ণ বনে দিয়েছে রহস ভরি ||

সুহৃদ আগুন নিবে গেছে গৃহকোণে ;
শ্রান্ত সাথীরা স্বপনে আপনহারা ;
আমি শুধু ব’সে তুষায়িত বাতায়নে
প্রহরে প্রহরে গুণি খাসে কত তারা ||

অঙ্গ তুহিন, তপ্ত আমার মাথা,
ক্লান্ত, তথাপি নিদ্রা আসে না ডাকে ;
বাণীহীন কোন্ অনাদি বিষাদগাথা
গুঞ্জরে বিস্মরণের ফাঁকে ফাঁকে ||

হিমানীবিজন এই দুর্গম দেশে,
মনে হয় যেন, কে আমার অনুগামী ;
হয়তো বা আমি ভুলে গেছি আজ কে সে,
কিন্তু ভোলে নি তারে অন্তর্যামী 

বিগত জনমে, এই পর্বতশিরে,
এমনই নীরব প্রাগিতিহাসিক রাতে
শিকার সমাপি এসেছিনু ঘরে ফিরে
মৃগের বদলে তাহারে কি ল’য়ে সাথে ?

মিনতি আমার প্রথমে ধরে নি কানে ;
কুটিল ভ্রূকুটি মোছে নি ললাটে ত্বরা ;
তার পরে কেন--- তা কেবল সেই জানে—
আযাচিতে হল সহসা স্বয়ংবরা ||

চ্যুত বল্কলে নিবে গেল দীপখানি ;
বাহিরের হিম মুকুরিল দ্রব চোখে ;
হঠাৎ তাহার লঘু, ভাস্বর পাণি
খুঁজিল আমারে প্রাক্তন নিরোলোকে 

আবার কি তার আদিম নিমন্ত্রণী
আহ্বানে মোরে অমৃতের অভিসারে ?
কাঁদে সেদিনের প্রণব প্রতিধ্বনি
প্রতন গিরির গহ্বরকারাগারে ?

পুরাণপুরুষ ছাড়া পাবে নিমেষে কি ?
মাটির মানুষ মিলিবে মাটির সনে ?
বিদগ্ধ প্রাণী, এ কি মরীচিকা দেখি ?
ফিরিব প্রভাতে পরিচিত পরিজনে 

মৌল আকূতি মরমেই যাবে ম’রে 
জনশূন্যতা সদা মোরে ঘিরে রবে 
সামান্যাদের সোহাগ করিদ ক’রে
চিরন্তনীর অভাব মিটাতে হবে 

বর্বর বায়ু চিরায়ু অচলচূড়ে
মুছে দিবে মোর অশুচি পায়ের রেখা 
মার্জিতরুচি জনপদে,  বহু দূরে,
ভিড়ে মিশে আমি ভেসে যাব একা একা
                                                                                                   
নান্দীমুখ

তোমার যোগ্য গান বিরচিব ব’লে,
বসেছি বিজনে, নব নীপবনে,
পুষ্পিত তৃণদলে |
শরতের সোনা গগনে গগনে ঝলকে ;
ফুকারে পবন, কাশের লহরী ছলকে ;
শ্যাম সন্ধ্যার পল্লবঘন অলকে
চন্দ্রকলার চন্দনটিকা জ্বলে |
মুগ্ধ নয়ান, পেতে আছি কান,
গান বিরচিব ব’লে ||

তবু অন্তরে থামে না বৃষ্টিধারা :
আর্দ্র, ধূসর, বিদেহ নগর,
মত্সর প্রেত-পারা,
প্রকৃতির লীলা আরবি কুহেলিকানাতে,
ইঙ্গিতে যেন চায় অভিযোগ জানাতে ;
তন্ময় ধ্যান ভেঙে যায় তার হানাতে |
প্রচ্ছদে ওই ছায়াপাত করে কারা ?
কী নাম শুধাই ---উত্তর নাই ;
ঝরে শুধু বারিধারা ||

মুখে এক বার তাকায়ে নির্নিমেষে,
শূন্যোদ্ভব দেব, না দানব,
আবার শূন্যে মেশে |
বুঝি তারা শুধু কুজ্ ঝটিকার চাতুরী :
তবু তুলনায় ধন্ধ জাগায় মাথুরই ;
প্রতীকপ্রতিম তাদের কাস্তে, হাতুড়ি
ফসল মুড়ায়, মানমন্দির পেষে |
মূর্ত নিষেধ, মূক নির্বেদ
তাকায় নির্নিমেষে ||

কখনও কখনও মনে হয় যেন চিনি—
বিদ্যুতে লেখা হেন রূপরেখা
চীনে পটে বন্দিনী |
স্পেনেও হয়তো অমনই অঙ্গভঙ্গি
চিত্রার্পিত অসংহতির সঙ্গী ;
সেখানেও আজ নিভৃত বিলাস লঙ্ঘি,
পশে উপবনে পরদেশী অনীকিনী |
স্পেন থেকে চীন প্রদোষে বিলীন ;
অথচ তাদের চিনি ||

ভালোবেসেছিল তারাও, আমার মতো,
সীমাহীন মাঠ, আকাশ স্বরাট,
তারারাশি বাতাহত |
গড্ডালিকার সহবাসে উত্যক্ত,
তারা  খুঁজেছিল সাযুজ্য সংরক্ত ;
কল্পতরুর নত শাখে সংসক্ত
শুক্ল শশীরে ভেবেছিল করগত |
নগরে কেবল সেবিল গরল
তারাও, আমার মতো ||

কিন্তু শূন্যে ছড়ায়ে ঊর্ণাজাল,
মধুমক্ষীরে উপহাসে ঘিরে
জাগ্রত মহাকাল |
জনপ্রাণীও পারে না তা থেকে পলাতে ;
পোড়ে মৌচাক আধিদৈবিক অলাতে ;
নৈমিত্তিক সব্যসাচীর শলাতে
অপসৃত হয় গুপ্তির জঞ্জাল |
কানামাছি উড়ে ; ত্রিভুবন জুড়ে
কালের ঊর্ণাজাল ||

তাই আমাদের সমাহিত অভিসারে
ঘটে দুর্গতি, মৌন অরতি
সংকেত প্রতিহারে ;
বিপ্রলব্ধ বিশ্বমানের বিষাদে
অঙ্গুলি তুলি, দেখায় অলখ নিষাদে |
বুঝেও বুঝি না নিরাকার আঁখি কী সাধে,
প্ররোচিত করে ত্যাগে, না অঙ্গীকারে |
মাগে প্রতিশোধ, মানায় প্রবোধ,
অনিকেত অভিসারে ||

তার স্বাধিকার আগে ফিরে দিতে হবে ;
নতুবা নগর, তথা প্রান্তর,
ভ’রে রবে বাসী শবে |
অশক্য পিতা ; বলীর কন্ঠলগ্ন
মাতা বসুমতী ব্যভিচারে আজ মগ্ন ;
ক্ষাত্র শোণিতে অবগাহি, জামদগ্ন্য
তবু পাতিবে না স্বর্গরাজ্য ভবে |
স্বীয় শক্তিতে হবে যোগ দিতে
শুদ্ধির তাণ্ডবে ||
                                                                  জেসন্

বহু কষ্টে শিখেছি সাঁতার ;
অন্তত স্রোতের সঙ্গে ভেসে যাওয়া শক্ত নয় আর |
নদীতেও নানা বাঁক আছে ;
সেগুলোর কোনোটাতে ঠেকে গিয়ে বাঁচে
এমন লোকেও যারা সাঁতারের স-টুকু জানে না |
সমুদ্র তো তাদের টানে না |
শরে বা শৈবালে
কিংবা মত্স্যনারীদের সবুজ চুলের ঊর্ণাজালে
জড়ায় না তারা কানামাছির মতন ||

বরঞ্চ ঘূর্ণির উন্মথন
তাদের নিক্ষেপ করে শরণসৈকতে |
বিষম দ্বৈরথে
জাগ্রত দৈত্যকে মেরে, অর্ধরাজ্য রাজকন্যাসহ
তারাই কুড়িয়ে পায় ; প্ররোহী আবহ
বাড়ায় তাদের বংশ ; অবশেষে ঘুমিয়ে এখানে,
স্বর্গের স্বাগত শোনে সচকিত কানে ||

আমগ্ন তরণী ছেড়ে, ঝাঁপাতে পারি না তবু জলে |
বিফল কৌশলে
ভাঙা হাল ধ’রে থাকি ; ছেঁড়া পাল  সযত্নে খাটাই ;
লুপ্তপ্রায় মানচিত্রে চাই |
ভুলে যাই একা আমি ; সঙ্গে ছিল যারা,
প্রলুব্ধ বন্দরে কিংবা পথকষ্টে আজ আত্মহারা,
কে কোথায় প’ড়ে আছে, জানি না ঠিকানা |
শূন্য মনে ভূতে দেয় হানা ;
প্রকীর্তির ছায়াচ্ছবি নিরাশ্রয় চোখে ফুটে ওঠে ||

ফের এসে জোটে
উচ্ছল অর্ণবপোতে স্বদেশের শ্রেষ্ঠ বীর যত ;
গুরুদীক্ষা, বাহুবল, সহায় দৈবত
তরায় সমূহ বিঘ্ন, নিরুদ্দেশে গন্তব্য চেনায় |
পুনরায়
স্বয়ংবরা পণ্ড করে মায়াবীর চক্রান্ত,  চাতুরী ;
হাহাকারে ভরে রাজপুরী
তার উগ্র রিরংসায় ; অভিসারী ঝড়ে
সবিতার বলি লুটে, পলাতক তরীতে সে চড়ে ||

স্বৈরিণীর অনুকম্পা চোকে নি তাতেও |
অযাচিত সন্তানে সে দিয়েছিল আমাকে পাথেয় ;
অপহৃত উত্তরাধিকার,
আমি নয়, সেই নিজে করেছিল নির্দয়ে উদ্ধার |
তবু তার গভীর মায়ায়
পারি নি তলিয়ে যেতে ; কৃষ্ণপক্ষ চোখের ছায়ায়
সিন্ধুর ঊষর জ্বালা চাই নি জুড়োতে |
বিপরীত স্রোতে
সর্বনাশ নিশ্চিত জেনেও ,
ভুলি নি শান্তির চেয়ে স্বধর্মই শ্রেয় |

ফলত নিরবলম্ব, নিঃসন্তান,  নিঃস্ব আজ আমি ;
অন্তর্যামী
সাধ ও সাধ্যের ভেদ গোলায় কেবলই |
ঘটে অন্তর্জলি
শতচ্ছিদ্র তরণীতে ; কিন্তু ভাবি অকূল পাথারে
স্বেচ্ছায় চলেছি ছুটে ; বস্তুত জোয়ারে
ততটাই ফিরে আসি , যতখানি এগোই ভাঁটাতে |
অপ্সরীরা, ব’সে আঘাটাতে,
নিশ্চেষ্ট কৌতুক দেখে ; স্তব্ধপাখা
সাগরবলাকা
অধীর চিত্কার হানে সন্ধ্যার আকাশে ||

তবে কি বিশ্বাসে
ভাঙা হাল ধরে থাকি,  ছেঁড়া পাল সংযত্নে খাটাই ,
লুপ্তপ্রায় মানচিত্রে চাই,
মনে ভাবি
এ-কখানা জীর্ণ কাঠে অস্মিতার অসম্ভব দাবি
আবার প্রতিষ্ঠা পাবে সপ্তসিন্ধুপারে ?
তার চেয়ে নিঃশঙ্ক সাঁতারে
ব্যয় ক’রে নিশ্বাসের অন্তিম সঞ্চয়,
অগাধে সংকল্পসিদ্ধি একাধারে  নিশ্চিন্ত, নিশ্চয় ||

স্বপ্ন আজ ব্যর্থ বিড়ম্বণা ;
জরাবিগলিত দেহে  আত্মঘ্ন যন্ত্রণা
বিজিগীষা |
যে-প্রাক্তন তৃষা
মেটাতে পারে নি সিন্ধু, হয়তো বা নির্বাণ হবে তা
জোয়ার-ভাঁটার সন্ধি নদীবক্ষে, যেথা
মুকুরিত মহাশূন্য, সমুদ্রের পিতা ও প্রতীক,
দুরত্যয়, স্বস্থ, প্রগতিক ||

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

3 মন্তব্যসমূহ



  1. অসামান্য কবিতা গুচ্ছে শ্রদ্ধাঞ্জলি

    উত্তরমুছুন
  2. রবীন্দ্র যুগের হয়েও তিনি নিজস্বতা ধরে রেখেছিলেন - এখানেই তিনি অন্যতম।

    উত্তরমুছুন
  3. অসাধারণ সব কবিতা। এ এক সম্পূর্ণ নতুন এবং মুগ্ধ অভিজ্ঞতা

    উত্তরমুছুন