কবিতাগুচ্ছ || পার্থসারথি ঘোষ




পোস্ট বার দেখা হয়েছে

সময় 

সময়ের চলন বড়ই অদ্ভুত 

সময় চক্রাকারে ঘুরতে ঘুরতে ফেরত আসে সেই আরম্ভ পর্বে

আজকের বীজ হয় কাল মহীরুহ , দেয় শীতল ছায়া 

তেমন কর্মের গতিও বড় অদ্ভুত 

জন্ম মরণের চক্রবুহ থেকে আত্মার পরিত্রাণ না থাকলেও পরমাত্মার সাথে মিলনের সুখ তা অনির্বচনীয় 

পরিবর্তনশীল প্রকৃতির আবর্তে এই স্বপরিবর্তন সত্যিই চমকপ্রদ।

===

 ভালোবাসার রং 


ভালোবাসার প্রথম রং ভীষন গাঢ় হয়

আর সে রং প্রতি ক্ষণে আমাদের রাঙিয়ে দেয়....


ভাবিই নি কখনো যে তুমি আমার অভ্যাস হয়ে উঠবে 

আর দেখো ....

সেই তুমি আমার এখন উপাসনা হয়ে উঠেছো !

===

তোমার জন্য 


তোমার জন্যই আমার অপেক্ষা , তোমার জন্যই মন আমার উতলা

তোমার জন্যই বেরে যাওয়া পাগলামো , তোমার জন্যই আমি নেশাসক্ত 

তোমার সাথে মিলনের যে ইচ্ছা , তোমার জন্যই আমার এ আরাধনা

তোমার জন্যই নিজের দেহ ভুলে,ছেড়ে যাবো এ ভব সংসার

===

জীবন বদলে দিয়েছে আমাকে 


জীবন আমাকে বদলে দিয়েছে

যখন থেকে তোমার দৃষ্টি আমার ওপর পরেছে

বদলে দিয়েছো ভাগ্য 

তোমার দিব্য দর্পণে যখন তোমারই ছায়ায় 

তোমাতেই বিলীন হয়েছি ।

আত্ম জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয়ে 

 মুখে হাসি নিয়ে চলে যাবো একসাথে 

 যে পথ তোমাতে শুরু আর তোমাতেই শেষ।

 যে ভালবাসা ও প্রেম মিলন তোমার সাথে  

 তাকে ভুলে যেতে পারবোনা কখনো 

 দিব্য চেতনাকে অলঙ্কার রূপে ধারণ করেছি 

 কেননা এই মাটির পৃথিবীতে চিরকাল

 থাকবো না তো আমি।

===

সাগর পাড়ে দাঁড়িয়ে ...


সাগর নদীর উদ্দেশ্যে বললো.... 

 তুমি আর কতদিন এমন ছোট্টটি থাকবে!

খাল - বিল- নর্দমার আবর্জনা বয়ে বেড়াবে

যেখানে খুশি যখন তখন নিজের পথ বদলাবে

এসো, তাড়াতাড়ি এসে মিশে যাও আমাতে!

তোমার কি আমার মত বিশাল হতে করে না ইচ্ছে ?


নদী  তখন নোনা সাগরকে বললো ....

তোমাতে মিশে তোমার মত নোনা জলের অধিকারী হওয়ার আমার ইচ্ছে নেই মোটেই 

আমার তো মিঠা পানি হয়ে থাকতেই সাধ 

তবেই তো জীবজগতের তৃষ্ণা মেটাতে পারবো 

তোমাতে মিশে আমার মিষ্টি জলধারা নোনা করতে পারবো না ! 

এই যে সাগর, শোনো : আমি এই ছোট্ট হয়েই সকলের উপকারী বন্ধু হতে চাই....


অবশ্য যদি তুমি আমার পরমপিতা , পরমাত্মার মতো 

জ্ঞান- সুখ - শান্তি - শক্তি - প্রেম - পবিত্রতা আর আনন্দময় সাথে বিশাল বড় মনের অধিকারী মহাসাগর হতে , তবে আমিও তোমাতে মিশে আরো মিঠি জলের ধারা হয়ে নিজের জীবন ধন্য করতাম।

তখন আমি সেই ক্ষির সাগর থেকে উৎপন্ন হয়ে সেই মহাসাগরে মিলিয়ে যেতাম।


====

তুমিই সেই ভোর ...


তুমিই সেই ভোর, যে আমার বর্তমানকে লক্ষ কিরণে উজ্জ্বল করে আলোকিত করছো 

পবিত্রতার তরঙ্গ দোলায় দুলিয়ে আমাকে শুদ্ধ করছো 

জ্ঞানের প্রকাশে আমার ভবিষৎ সুরক্ষিত করছো 


সুখের অনুভবে আমাকে সুখী করেছ 

শান্তি তো স্বয়ং রূপ , আমার রূপেই তার বিরাজ 


তবুও আনন্দের অতীন্দ্রিয় বোধ কেউ অনুধাবন করাতে পারে না 

তেমনি শক্তি বৃদ্ধির উপায়ও কেউ শেখাতে পারে না 


প্রেমের প্রকাশ সন্তান বাৎসল্লে আর আমাতেই তার আত্ম প্রকাশ 

বাকি মন - বুদ্ধি ও সংস্কারের সত্তার মালিক আমি তো নিজেই।

===

 যখন ...


যখন মনের কথা মুখে ফুটে উঠবে না 

তখন শব্দে তাকে বেঁধে লিখে রেখো 

 যেতে আসতে হয়ত কাউকে তা শান্তি দেবে 

বা হয়ত তা কারুর বিষাদের উপশম হবে !

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ