পোস্ট বার দেখা হয়েছে
আপন পরের দুনিয়া
এ কে আজাদ
দুটো সরল রেখা হয়ে বয়ে চলে সময়ের ইতিহাস।
আর পাঁজরের গহীনে বৃত্তের ভেতরে আজন্ম জমা
হয়ে থাকে একটি কালো কেন্দ্রবিন্দু।
রাত্রির জঠর থেকে তুলে আনা স্বপ্নের ব্যর্থ ফেরিওয়ালা
হেঁটে চলে সারা দিনমান।
জন্ম-মৃত্যুর কোন শেষ নেই এই পৃথিবীতে,
কখনও সময়ের মৃত্যু হয়, কখনো স্বপ্নের
কখনো ভালবাসার মৃত্যু হয়, কখনো ভালবাসার মানুষের,
এই তো জীবন- আজ আছে তো কাল নেই,
মানুষের কাছে আসলে কোন কালই নেই,
মমের আলো নিভে গেলেই থেমে যায় জীবনের প্রেম।
শুভ এবং অশুভ বলে প্রকৃতপক্ষে কিচ্ছুই নেই,
এই পারে ভাঙার শব্দে ঘুম ভাঙে,
তো ঐ পারে জেগে ওঠে ভালবাসার চর।
এভাবেই মানুষ কখনও ভাঙে,
আবার কখনও গড়ে তোলে ঘর।
আসলে ভাঙা গড়াই জীবন,
কখনও কেউ প্রাণের ভেতরে প্রাণ,
আবার কদিন পরেই পর,
কখনও কেউ অচেনা অজানা
অনেক দূরের মানুষ
আবার তাকে নিয়ে গড়ে ওঠে ঘর।
আপন পরের এই খেলাতে আপন চেনা দায়,
পথের মাঝে পথ হারালে, পরকে চেনা যায়।
====
দেখা হলো
সায়ন্তিকা
কাল দেখলাম তোমাকে ধর্মতলা মোড়ে বাসের অপেক্ষায় !
অথচ এই তো সেদিন তোমার সাথে দেখা হলো আর্য বহুক্ষণ !
পাহাড়ের মতন তোমার শরীর , বৃষ্টি۔স্নাত তোমার চিবুক !
ফেলুদার মতন তোমার হাতে গোল্ড ফ্লেক !
তুমি ছুরির মতন বিঁধছো ,
তবুও মনে হলো তোমার বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ি !
আর্য ,
তুমি সমদ্রের পাশে বসে কার সাথে কবিতা নিয়ে গল্প করেছিলে ?
সেই কবিতাগুলো কী ভয়ঙ্কর ! কী সাংঘাতিক উপমা তার !
মনে হয় তারা সব বিদ্রোহ করবে ۔۔
তোমার বুকের ভেতর থেকে ওঠা ঝর্ণা তোমার প্রেমিকার মতনই অহংকারী !
আর্য , তুমি সমুদ্র পাড়ে বসে একলা !
ভোরের স্বপ্নের মধ্যে তুমি একলা !
আমি বিছানা ছেড়ে বারান্দায় এসে দাঁড়াই !
আমি তেত্রিশ বছর এমন স্বপ্ন দেখিনি !
তোমার সাথে কংসাবতীর তীরে বসে তোমার শরীরে ভ্রমণ করবো !
তুমি বাসের জানালার সিট থেকে মুখ বাড়িয়ে বললে ۔۔۔
"ভালো থেকো !"
মেঘের দেশে ঘুমিয়ে পড়লো শহর ,
ইচ্ছে হলো তোমার সাথে পুরুলিয়া যাই , কিম্বা ইছামতীর পাড়ে বসে শুনি জয় গোস্বামী !
হঠাৎ চিৎকার করে উঠলো রৌদ্র !
ঘুম ভেঙে গেলো আমার ۔۔
আর্য তোমার সাথে দেখা হলো আমার ঠিক বাড়ির নিচেই ۔۔۔
আমি মুখ বাড়িয়ে জিজ্ঞেস করলাম ۔۔
"কেমন আছো তুমি ?"
তুমি এগিয়ে চললে ۔۔
একা ۔۔۔۔۔۔۔
0 মন্তব্যসমূহ