দর্পণ || গণতন্ত্র সংখ্যা ২০২১ || গণতান্ত্রিক অধিকার ~ হিরণ্ময় দত্ত




পোস্ট বার দেখা হয়েছে

গণতান্ত্রিক অধিকার

 হিরণ্ময় দত্ত


গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করেন জনগণ,

নাগরিকের মতদানে প্রতিনিধির হয় নির্বাচন।

সরকারের দায়িত্ব দেশ ও জনগণের উন্নয়ন,

সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকার রবে অখণ্ডন।

জনগণের থাকা উচিৎ 'স্বাধীনতার অধিকার',

অধিকার থাকা উচিৎ 'সংবিধান প্রাপ্ত সুবিধার'।

'সাম্যের অধিকার' সংবিধানে আছে বর্ণন,

জনগণ বিরোধিতা করবে 'অন্যায় শোষণ'।

'ধর্মীয় স্বাধীনতা' থাকবে সকল নাগরিকের,

সকলের অধিকার থাকা উচিৎ 'মত প্রকাশের'।

'শিক্ষা ও সংস্কৃতির' সুযোগ সকলের দরকার,

তখন সার্থক হবে দেশের গণতান্ত্রিক সরকার।

'স্বাধীনতার অধিকার' মানে স্বেচ্ছাচারিতা নয়,

সংবিধানের প্রাপ্ত সুবিধা কয়জনে বলো পায়?

'সাম্যের অধিকার' গাল ভরা বুলি, তত্ত্ব কথন,

বাস্তবে দেখা যায় না সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন।

ধনী গরিব থাকত না দেশে সকলে হত সমান,

কেউ রয় অট্টালিকায় কেউ ফুটপাতে কাটান।

চাষি পায় না ফসলের দাম মুনাফা লোটে ফোড়ে,

সরকার ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে নীরবে দর্শন করে।

জিনিসের কালোবাজারি, আকাশছোঁয়া দাম,

সাধারণ মানুষের দিন চালাতে ছোটে কালঘাম।

দেশে এই শোষণের আছে কী কোনো প্রতিকার?

সরকার নীরব দর্শক হয়ে থাকেন নির্বিকার।

ধর্মের নামে কেবল  রাজনীতি আর হানাহানি,

ধর্মীয় মেরুকরণে মানুষের অকারণে হয়রানি।

অর্থ, ক্ষমতা, প্রতিপত্তি যাদের মুঠোয় বন্দি,

আইন কে কাঁচকলা দেখাতে আঁটেন নানা ফন্দি।

নারী শোষণ,নারী ধর্ষণ,পণের দায়ে নির্যাতন,

অপরাধী আইনের ফাঁকফোকর গলে মুক্ত হন।

আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার আজ বাণিজ্যকরণ,

গরিব মানুষের উচ্চ শিক্ষায় অর্থের প্রয়োজন।

কয়জন গরিব লোকের আর্থিক সঙ্গতি আছে?

উচ্চশিক্ষা দূরস্থ, আগে‌ ওরা পেটে ভাতে বাঁচে।

নির্বাচিত সরকারও দেখি কখনও দুর্নীতিপরায়ণ,

স্বার্থসিদ্ধি করতে কুকীর্তির ভূরিভূরি উদাহরণ।

গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ করে মেকি খবরের প্রচার,

সার্বভৌমত্বর বিসর্জন দিয়ে ধামাচাপা রয় খবর।

গণতন্ত্র নয় খেলার বিষয় কিংবা কল্পকাহিনি,

গণতান্ত্রিক অধিকারের লড়াই করতে হয় জানি।

গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের নাম আন্দোলন,

আন্দোলনের কণ্ঠরোধ করে স্বৈরাচারী প্রশাসন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ