দর্পণ || সাপ্তাহিক পরিচালকীয় কবিতা কোলাজ




পোস্ট বার দেখা হয়েছে

অপরূপা

শিবাজী  সান্যাল


রাজকুমার আদিত্য বীর বিক্রম 

চলিয়াছেন স্বর্ণ দীঘির বসন্ত মেলায়

সেথা আসিতেছে অনিন্দ্য সুন্দরী 

রাজকুমারী দময়ন্তী , সঙ্গে শত সখী লয়ে । 


অশ্ব ছুটিয়া চলে , খুড়ের চঞ্চলতায়

ধুলা ওড়ে পথে , শব্দ ঝংকারিত হয়

                         কাঁপে বাতাসে । 

কুমারের মন আনচান , শুনিয়াছে বহুবার 

অপরূপা সে , সাক্ষাৎ সরস্বতী পৃথিবীর বুকে

                   লালিত্যময় সে রূপ 

      ভরা নাকি অকল্পনীয় মুগ্ধতায় । 


শুনিয়াছে তাহাকে দেখিয়া কম্পিত হয়

অঙ্গনের ফুলরাশি , শিহরে পত্রদল

রাজঁহাস ছুটিয়া ফেরে পদ্মদীঘির জলমাঝে

      নিশীথে চন্দ্রমা তাকায় অবাক্ বিষ্ময়ে । 


শুনিয়া  এ কথা , রাজকুমারী ঢাকে মুখ লজ্জায়

আসিতেছে রাজকুমার শুধু তার লাগি ?

এ কী পাগলপনা ! ভাবিয়া  দেখিল না

         মেলাময় হাজার লোকের কথা ?

সখী কহে , “ বীর বিক্রম , শৌর্যময় , প্রচণ্ড পরাক্রমী

কুমারের তলোয়ার  চমকে বিদ্যুতের বেগে

অনন্ত রূপবান্ , নারীর স্বপ্ন প্রেমী

  বলবান দীর্ঘদেহ কামনার পুরুষ সে যে । ”


দীঘিতে ভরিয়া কলস 

ঘাট হইতে ফিরিতেছিল রাজকুমারী 

    যাবে মন্দিরে পূজার শুরুতে । 

                          তখনই !!!!

      অশ্বরোহী রাজপুত্র দাঁড়াইল আসি । 

চতুর্দিকে উঠিল রব , “ কুমার ,  কুমার - - -”

হাতে লয়ে ফুল আর মুক্তো মালা

আসিল সমুখে , কহিল , “ আনিয়াছি এই

         ছোট্ট উপহার , গ্রহণ কর দেবী । ”


কম্পিত হাতে , লয়ে সেই উপহার , রাজকন্যা কহে,

” কেন আনিয়াছ ? লোকে কী কবে ভাব নাই একবার ? ”

কহে কুমার , “ পারি নাই দমিতে নিজেকে

যদি হয়ে থাকে অপরাধ , শাস্তি দিও মোরে । 

               তোমারে দেখিয়া পূর্ণ হল আশা 

         তুমি ছিলে মনমাঝে , সর্বদা শুধু এক কল্পনা 

আজ দেখিলাম তুমি কল্পনাতীত 

কোনো এক মহাশিল্পীর মহাসৃষ্টি , অদ্বিতীয়া

পার কী দিতে সঙ্গ এই জীবনে আমার ?

        দেব সীমাহীন প্রেম , করিলাম অঙ্গীকার 

             রাখিব প্রাসাদে পরিপূর্ণ সম্মানে । ”


“ তুমি দেবপুরুষ , বীর্যবান 

গ্রহণ করিলাম তব প্রেম , ভাগ্যবতী আমি

পাঠাইও বিবাহের  বার্তা মোর পিত্রালয়ে। ”


“ ধন্য আমি রাজকন্যা , ফিরিতেছি আজ

হয়ে তৃপ্ত , হৃদয়ে নিয়া মহানন্দ

      করিব আয়োজন মিলনের  অতি সত্বর । ”


শত সখী নিয়া দেখে রাজকন্যা

অশ্বারোহী কুমার মিশে যায় দূরে

    তবুও জাগিয়া  রহিল

              সারা মন মাঝে । ”

====

সুখের দরকষাকষি  

দে বা শী ষ


বাংলার কিছু বেটে -মোটা -কালো গ্রাম ধরে - 

পরিচ্ছন্ন ধরে রাখা জলোচ্ছ্বাসের মতো মন ,

আঁচড় কাটে সাদা কালো পেটে -

খিদের মতোই ভেসে চলে খড়কুটো।


পালতোলা গাছে শ্যামল পাতা -

বিচ্ছেদ করে জীবন - নদী নালায় পাতে সংসার,  

আবছা আতঙ্ক ডুবে যাওয়া শোক -

কতো ঝড় আরও সমুদ্র উগ্রে দেবে -

পৃথিবী এবার একটু ক্লান্ত হোক। 


ভূমিহীন বৃষ্টি আঁকাবাঁকা পথে - 

ভিজিয়ে দিয়েছে শতাব্দীর মে'মাস ,

আনকোরা ঘর ছাড়া বুকে -

কতোবার আরও সাহস করতে হবে চাষ?


বন্ধ হয়না কেনো -

কতো প্রাণ কোলে শ্মশান সুজলা হয়,

শূন্য আকাশের নীলে কবে?

মেঘেরা শান্ত হবে!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ