দর্পণ || মুক্তগদ্য || বৃষ্টিডাঙা ~ শর্মিষ্ঠা




পোস্ট বার দেখা হয়েছে
বৃষ্টিডাঙা
শর্মিষ্ঠা

শাওনের পশলা, দমক আসে সিক্ত শীতল।গ্রিলের শরীরে আটকে থাকা ঊর্ণনাভের জাল ছিঁড়ে ছিঁড়ে ঝুলতে থাকে বাদামী পত্রকোণের মতো।বিন্দুস্থিত।ওর থেকে জ্যা টেনে নিলে উদাত্ত-অনুদাত্তে হিন্দোলিত দেহে তিরতির কম্পন জাগে।আমাদের মাঝের সূক্ষ্ম ব্যবধান আগুনপর্ব বাঁচিয়ে রাখে।মাঝে মাঝে ধেয়ে আসে দুই তালু করতালের ছন্দে উল্লসিত।ছিটকে পড়ে ফুলকি,যাম যমুনায় দাবানল।ছিন্নমূল যত ছিল আগুপিছু তারা একে একে অসংখ্য ছায়ামানুষ জাগরুক।

' জাগরণে যায় বিভাবরী...'

কোনো পরিব্রাজক নেই পিচের ভেজা রাস্তায়।ভাবতে ভাবতে নীল আগুনে চায়ের ফ্লেভার সুগন্ধ ছড়ায়।নারকোল পাতার ফাঁক দিয়ে অনতিদূরের ফ্ল্যাটের আলো যেন চাঁদযাপন।ক্ষত সামলে রেখে কলঙ্কের উষ্ণতা ছড়ায়।কখন যেন এককাপ জলে দু'কাপ চা হয়ে যায়।মৃদু নিয়ন আলোয় তুলোর বন্দরের ক্যাফেতে উল্টোপালে বসে প্রেমিক,মৃদুজলঢেউ।পিচের উঁচুনিচু খাদের জমা জলে ল্যাম্পপোস্ট মরীচিকা দেখায় আর টেম্পেস্ট আছড়ে পড়ে কেদারনাথে।

বরফ শীতল শীতকাল
ধূমায়িত কাপের আড়াল
যা কিছু আমাদের বে-নাগাল
মানচিত্রে থেকে যায় অক্সিমিটার,শ্বাসরুদ্ধকাল।

একাকিনী গাছ হয়ে যাই।বহুদূর থেকে নাব্যতা ধরে রাখে হেমন্তের অধরা ধারাবাহিকতা।সার্চলাইট ইথার দ্রবণে ঘুরে ঘুরে জড়ো করে সামুদ্রিক কোরাল।আরো নিস্তব্ধতা চাই যখন ঘূর্ণিতে ইহকাল।আঙুলের ফাঁকে গদের আঠায় লেপ্টে থাকা আঙুল যে নান্দনিক কোণে বুনেছিল ইন্দ্রজাল,যেন বলে যেতে পারি ওখানেই থমকে থাক লজ্জাবতীর বেগুনী ফুলের বিস্ময়কাল।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ