দর্পণ | সাপ্তাহিক পরিচালকীয় কলম | কবিতা




পোস্ট বার দেখা হয়েছে

রেখে যাবো মানু‌ষের কথা

         - দেবাশীষ 


দু কলম জন্ম হয় হোক - 

তবু কবিতার পাশ ঘেঁষে মেখে নেবো দুরন্ত সবকিছু,

ছুঁয়ে যাবো একমাঠ ভাষা ,

শৈশবের গন্তব্য - আঙুল ;

কয়েকটা শব্দ আসে আসুক -

ভাঙবো ভাবনা পাহাড় - ভিজিয়ে যাবে মানুষের ঝর্ণারা,

মরুর উত্তাপ ঘেরা ইচ্ছে , কাকের কালো আভা ;

এভাবেই বেড়ে চলেছে বয়স - ছাড়িয়ে রেখেছি তারিখের বোঝা ;

ইচ্ছের কোমল পাটাতনে - সাময়িক ভাবনা সাজা।

নির্জনে নিজেকে একা করে রাখি,

আড়ালে মিলন - অবাধ মিশে চলা ;

পোয়াতি হতাশার কাছে রেখে যাওয়া প্রাপ্তির উল্লাস।

আগামীর জন্ম হয় হোক,

রেখে যাবো মানু‌ষের কথা।



দর্পণ এবং দেবাশীষ 

_জয়তী


কই তাকে নিয়ে তো লিখিনি! 

অনেক তো লেখা হলো... 

সেই জ্যান্ত অন্ধকারটা, যেখানে একা মানুষ 

কালো আকাশটা ছাদে এসে নামে 

তাকে লেখা হয়নি... 


মানুষটি লেখে, সম্পাদনা করে 

বাইরে আলোর ঠাট্টা, ঘরের ধূধূ ভীষণ পোড়ায়..

হাজার মুখ শতেক ঠিকানা 

কেউবা ভালোবাসে কেউ ফিরিয়ে দেয়.. 

সে হাসতে থাকে,কান্না চাপে, সহ্য করে, গালাগালি খায়, উপকার করে, হাত বাড়িয়ে দেয়.... 

তাকে লেখাই হয়নি.. 


কত গাছেরা হারিয়ে যায় 

কত পাখিরা উড়ে যায় অন্য পথে 

মানুষটা সেই একরোখা, 

এগিয়ে যাওয়ার শপথ... 

কাকে নিয়ে? একলা তো নয় -


ক্লান্তিহীন দিনরাত্রি আরোও পথ 

তার চোখে মনে যে প্রতিজ্ঞার স্বাক্ষর 

সকলের স্বপ্ন আশা পূরণের দর্পণ-


তাকেই আজ শ্রদ্ধা🙏🙏 অনেক ভালোবাসা, শুভকামনা 

আজ তার জন্মদিন🌹🌹

বোধে চেতনায় --

আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠুক আগামীর প্রতিটা দিন। এমনটাই থেকো সরলতায়। সুস্থ থেকো ভালো থেকো দেবাশীষ ❤️❤️



#যে #ভাবে #দেখি #দেবাশীষকে.. 


 অরিজিৎ রায় 



অন্ধকারের পথ ঠেলে তার এগিয়ে চলা

অসময়ের হাতে রাখী বেঁধে তার পথ দেখানো

উল্লাস শব্দচ্চারণে তার নিশ্চুপ পদচারণা 

হাতে হাত রেখে ভালোবেসে তার আপন করা, 

তবু এসবের মধ্যেও জেগে থাকে - কবিতা 

ত্রস্ত সময়ের বুকে নিরলস এক স্বাক্ষর! 


ঘুম ভাঙা শব্দে যার কর্মের মন্ত্রচ্চারণ 

নিমগ্ন সাধনার দেশে অবাধ বিচরণ, 

মানবিক মোড়কে মোড়া আদ্যোপান্ত প্রাণ

আধ্যাত্মিক চেতনা বিশ্লেষণে নিজেকে ভাঙা-

সে এক যুগপুরুষ, একালের রক্তিম আধার। 


আনমোনা ছটফটে শিশুমনে বার বার 

ফিরে যায়,নদী গাছ বৃষ্টিমাখা সম্পর্কের কাছে, 

কেউ বা ভুল বোঝে, দূরে ঠেলে দেয়, 

শিশুর বজ্রমুষ্ঠিতে ধরা থাকে লাল নিশান

অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের যৌথ খামার গড়ে 

শব্দে শব্দে আদরে আদরে। 


তবু নিঃসঙ্গ পাখির মতো পাড়ি দেয় উজানে

ছাতিমের গন্ধমাখা উঠোনে দু-দণ্ড বিশ্রাম, 

জিরিয়ে নেওয়া ডানায় তখন অবুঝ দায়ভার

ভোরাই শব্দের অঙ্গীকার লিখে চলে - মেঘরাজ্যে। 


অজান্তেই এসে জোটে কিছু হাত, কর্মদক্ষতা

'না' বলার দেশে সবকিছু কেমন করে হ্যাঁ হয় নিমেষে, 

দলছুট সন্ন্যাসী যেন, পথ দেখায় পাকদণ্ডী ঘিরে 

লাঠি ঠুকে এগিয়ে চলে, কাব্যের সাম্রাজ্য গড়বে বলে। 


বরফ স্নানে বয়ে গেলে পাহাড়ি আলো

শুভ্রতা ঢেকে দিয়ে যায় সব কালো, 

ব্রহ্মকমলে দুলে ওঠে অনন্ত শুভাশিস 

ঝোলা কাঁধে পথ চলে সেই - দেবাশীষ। 

************************************** 

                      শুভ জন্মদিনে একবুক ভালোবাসা, শুভেচ্ছা ও বন্ধুতা -দেবাশীষ। ভালো থাকুন সহজ পাতার মতো, ভালো থাকুন ভোরের নরম আলোর মতো। 

                          

                                   🌹🥀🌼🌻🌸🌿

শরীর জুড়ে বিপ্লবী সুর

 এ কে আজাদ


[উৎসর্গঃ ২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বঙ্গীয় সাহিত্য দর্পণ ভারত-বাংলাদেশ শাখার সভাপতি কবি দেবাশীষ ভট্টাচার্য্যের জন্মদিন উপলক্ষে তাকে নিবেদিত |


রাজা হাঁটেন কলকাতাতে রাজা হাঁটেন হাওড়ায়,


পথের মাঝে কাব্য-গীতে প্রেমের বুলি আওড়ায়।


রাজার কথা রাজ্য জানে, জানুক সারা বিশ্ব, রাজারে সব ধনিক চেনে, চেনে পথিক, নিঃস্ব।


সেই তো রাজা হাঁটেন যিনি গঞ্জ গেরাম শহরে, মানবতার গান গেয়ে যান বিপদ আপদ কহরে।


স্বপ্ন পথের ফেরিওয়ালা স্বপ্ন বিকায় হাটে, স্বপ্ন বিকায় রাজপথে আর স্বপ্ন বিকায় ঘাটে


অমা-রাতি পার হয়ে যাক, কাটুক নিশি-কালো, কুদিন গিয়ে সুদিন আসুক, ফুটুক ভোরের আলো।


বাউলা মনে সুরের ধারায় অসুর বধের গান, দুহাত ভরা আলোর নাচন রাগ ভৈরবী তান।


পায়ের কাঁটা বুকে নিয়ে গোলাপ ফোটান বাগে, শরীর জুড়ে রক্তে লেখা বিপ্লবী সুর জাগে।




শুভ_জন্মদিনে 

সায়ন্তিকা 


সম্পাদকীয়ও আড়ম্বরতা ছাপিয়ে যাওয়া কবিতা আর একটা আদর্শ ,

"এগিয়ে চলো ! আমি আছি !"

মানবিকতার উর্ধে গিয়েও যে মানুষ হওয়া যায় ,

সেটা তো তুমিই শিখিয়েছিলে !


গর্বিত ইতিহাস জানতো ۔۔

দেবাশীষ মানেই তো আস্ত একটা সভ্যতা ,

অথচ অভিধানে তোমার জন্মের সময়টা উল্লেখ করতেই ভুলে গ্যাছে !

অবশ্য তুমি বলেছিলে ۔۔۔

"আমি তো চাইনা এতো মুন্সিয়ানা !"


কিন্তু কর্মের পথে চলতে গিয়ে বুঝলাম ۔۔۔

একটা কঠিন পাহাড় হতে গেলে আগে নদীকে জন্ম দিতে জানতে হয় !

অথচ শব্দের বলিরেখার স্পষ্ট ছাপ আজ ইতিহাসের খাতায় ۔۔۔

চিৎকার করছে মানুষগুলো ۔۔۔

"তোমাকে চাই ! তোমাকে চাই !"


এ যাবৎ পাওয়া মন্তব্যগুলো কী কখনো ক্লান্ত করে তোমাকে কবি ?

নাকি এড়িয়ে যাওয়া জন্য তোমার আরও একটা শ্রেষ্ঠ কবিতার জন্ম হয় ?


আজকের তোমার শুভ জন্মদিনে সম্পাদক নাকি শুধুই একজন কবিকে জানবে এই শহর ?


ভাবতে ভাবতেই আরও একবার আগামীর বীজমন্ত্র দীক্ষিত হলাম ۔۔

তুমি এসেছো জয়কে মুঠোয় বন্দি করে ,

"শিক্ষা দাও কবি! 

শিক্ষা দাও ۔۔۔۔

পবিত্র করো আমাকে ۔۔۔۔۔۔۔!"


ইটের শহরে ইতিহাস তো সৃষ্টি হবেই ,

তুমি তো এগিয়ে যাবেই ,


দুঃখের পরিমাপ মাপা হাওড়া ব্রিজ আর শতাব্দী প্রাচীন পাণ্ডুলিপিতে দেবাশীষ এবং একজন কবি ۔۔۔


মুখোমুখি শহর এবং একটা কবিতার খাতা !


আজকের শুভ জন্মদিনটা শুধুই কবিতার জন্যই লেখা হবে ۔۔۔

এ কালের শ্রেষ্ঠ কবি সম্পাদনা করতে ব্যস্ত আগামীর ইতিহাসের !


আর ,

শহর লিখছে ۔۔۔

"তুমি কবিতা পুরুষ ,

তুমি কর্মবীর ,

তুমি মানুষ !"


🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹


#শুভ_জন্মদিন_দেবাশীষ !

আমার জীবনের শিক্ষক , আমার প্রিয় কবি এবং যার আদর্শে দীক্ষিত আমি , আজ সেই মানুষটার জন্মদিনে আমার অন্তরের সবটুকু শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা ! আমার সব ক্ষুদ্রতা তোমার কাছে সমর্পণ করলাম কবি ! ভালো থেকো , সুস্থ থেকো , এগিয়ে চলো এভাবেই ! 

ঋণী তোমার কাছে 🙏🙏🙏


শুভ জন্মদিন 🎂🎂🎂


             যন্ত্রণা

         রতন চন্দ্র রায়


কেউতো জানে না আমি যে 

     কিনেছি যন্ত্রণা 

     যার মূল্য পরিশোধ করতে 

          দিয়েছি........ 

          জীবনের অনেকটা সময় 

               পথে-ঘাটে........ 

সুখের বাজারে ঘুরেছি

     আমি.......

     সুখ কিনতে মনের খুশিতে। 

     সুখ কিনতে গিয়ে দেখেছি 

     শত-শত মানুষের

           ঘামে ভেজা শরীর, 

           শত-শত মানুষের রক্তের দাগ 

                 সুখ নামের সোনার পাখির গায়ে। 

যন্ত্রণার বাজারে গিয়ে 

      শুধুই পেয়েছি চোখের জল 

      অথৈ সমুদ্রের লোনা পানির মতো 

            তাইতো ভবের বাজারে 

            সুখ না কিনে, কিনেছি যন্ত্রণা...





*নিজের প্রতিবেদন* 

* মঙ্গল মিদ্যা (রিপল)



ধরো, পুরো পৃথিবী একটা জীব দেহ। আর মানুষ সেই দেহের এক একটা ব্যাক্টেরিয়া ভাইরাস বা ওইশ্রেণীর জিনিস। 


সব ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়া যেমন খারাপ হয় না, তেমনই পৃথিবী দেহতে সব মানুষ খারাপ নয়। একটু অনিয়ম হলেই জ্বর শরীরের উষ্ণতা বেড়ে যায়, পৃথিবীতে বিশ্বউষ্ণায়ণ। বেখেয়ালে কেটে রক্ত বের হয়, পৃথিবীতে নিম্নচাপ ও বন্যা। আমরা যেসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলি তা আসলে পৃথিবী দেহে ঘটা নানা অসুখ।


দেহতে অসুখ রোগ ঘটানোর মূল কারণ যদি ভাইরাস ব্যাক্টেরিয়া হয় তাহলে পৃথিবী দেহতে অসুখ ঘটানোর কারণ মানুষ নামের ব্যাক্টেরিয়া ভাইরাসরা।


হিন্দু পুরাণ মতে চার যুগ , মানে একটা যুগের শেষ আর পরের যুগের শুরু হয়েছিলো বিশ্বরসাতলে গিয়ে। যদি এখন আমি বলি যুগের শেষ আর শুরুটা আসলে পৃথিবী দেহের প্রবল অসুখে শষ্যাযায়ী হয়ে পড়া আর তারপর সেই অসুখ থেকে সেরে উঠে আবার নিজের কাজ করা। 

         একটা দেহ, ছোটখাটো অসুখ গুলো নিজে থেকেই সারিয়ে নিতে পারে। ক্ষতিকর ভাইরাস গুলোকে মেরে বা ধুঁয়ে। মানুষরা চাইলে তাইতো অমর হতে পারে না, তারা মরণশীল। 

পৃথিবীর দেহে প্রকৃতি হলো তার চোখ, গাছপালা হলো সেই চোখের পল্লব। মানুষরা গাছ কেটে প্রকৃতি মানে চোখের ক্ষতি করলে পৃথিবী দেহ জল ঝাপটা দিয়ে ভাইরাস তাড়ায় এবং সেই জলেই নুতন বনভূমি সৃষ্টি করে নেয়। 

আমরা মানে মানুষরা যতই চেস্টা করি না কেনো পৃথিবী দেহকে নানা ভাবে ক্ষতি করার, কিন্তু পৃথিবী দেহ নিজের ভালো মন্দ নিজেই জানে, তাই তো নিজেই আবার নিজের অসুখ সারিয়ে নেয়।।




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ