পোস্ট বার দেখা হয়েছে
পাটকাঠি // দে বা শী ষ
কিছু ভাবনার সময়ের কারণে উপস্থাপন হয়না ;
কিছু উদ্দেশ্যে তাড়না নেই তবু সজল,
সব পরিশ্রম সংশোধন করেনা জীবনের ভুল গুলো,
লড়াই আসলে সুযোগ - সাফল্যের ফল।
সবকিছু নির্বিচারে আহত হয় শেষে ;
সবকিছু একসাথে হয়না জানি, সময় বিশেষে ,
কিছু ভালোবাসায় আগুন থাকেনা তবু,
জড়িয়ে থাকে নিরালায় আবেগের শরীর ঘেঁষে।
ভয় হয় হোক, ক্লান্তি দেখিয়ে ছিনিয়ে নিয়েছি চিঠি,
যে কথা লেখা হয়নি আজও - সে ভাবনারা কেবলই অতিথি।
বাজারে বাজারে ঘুরে - পরিত্যক্ত ট্রামরাস্তা জুড়ে,
বয়ে যায় শহরের রক্ত - মাংস - ক্ষত।
কিছু উপলব্ধির কারন হয়না, তবু -
জড়িয়ে থাকে আবেশে, নিজের মতো
***************************
......... নির্বাক বিষাদ.........
*অরিজিৎ রায়*
*জলের পাশে বসে ছিলাম।
*পূর্ণিমার অহঙ্কার মাপতে মাপতে উড়নচণ্ডী মনটা
*শান্ত লেকের জলে যেই চাঁদ ধরতে নামলো -
*ব্যাস, ভেসে থাকা জোছনা ডুব দিল হৃদয়ের অন্তঃপুরে।
*আহত চিলের বাসায় এসে পড়লো চন্দ্রপ্রভার দৌরাত্ম্য।
*সারাদিনের ক্লান্তিটুকু জড়ো করে অবসন্ন পালকে
*তখন ভিজে যাচ্ছে আলোর আদর -
*করুণ চোখে শহর মাপা চিল মেখে নিচ্ছে বিষাদ !
*বিষাদ মাখতে মাখতে আমার চোখ দুটো ভিজে যাচ্ছে জলে, কুঁকড়ে যাচ্ছে নাকের দু-পাশ, কেঁপে উঠছে ঠোঁট। গলার কাছের কষ্টটা ঢোঁক গিলে নিচ্ছি তখন।
কোনও এক সন্ধ্যের ব্যথাতুর চন্দ্রিমার ফাঁকে
ধীরে ধীরে জন্ম নিচ্ছে ডানা ভাঙা চিলের কান্না।
সেই কান্নায় উৎসব রচনা করছে আমার আগামী।
কেমন আছ তুমি? প্রশ্ন করছে আমার নির্বাক বিষাদ!
**************************
১২ই কার্তিক
_জয়তী
ভোর হয়ে এলো। ধ্যানস্থ ঋষির চোখ খুলছে তন্দ্রালু দিগবিদিকের বনপল্লবে। বৌদ্ধিক আলোয় নিমগ্ন পূর্ব কোণ অপরূপ বিভায় স্নিগ্ধ গভীর। ধীরেধীরে গুটিয়ে নিচ্ছে কোনো জাদুকর তার কালো পোশাক। তারাঘরে নিভে যাচ্ছে ক্রমে ক্রমে রাত লণ্ঠন। প্রভাতের হৈমন্তী ক্যানভাসে সযত্নে সাজাচ্ছে নৈসর্গিক রূপ ও মাধুরি।
আমিও কান পেতে শুনছি গাছের রং বদলের স্বর। যেন নিভৃত দরজা খুলে বেরিয়ে আসছে অন্তরীক্ষের জাগতিক বিস্ময়। মুখর হবে দশদিক। হঠাৎ কোনো পাখি প্রথম চুম্বন করবে আকাশের ঠোঁটে। সঞ্চার হবে লক্ষ প্রাণের স্পন্দন।
সমুদ্রের নাভি থেকে উঠে আসছে ফেনিল এলোকেশীর সহস্র মুক্তধারা। চারিদিকে বালিভেজা রাতের উন্মত্তের ক্লান্ত ঘ্রাণ। কর্পূরের মতো মিশে যাবে সহস্র যোজনে পিছনে ফেলে আসা যত ক্লেদ।
শীতেল অনুভূতি লোমকূপে। অদ্ভুত এক প্রশান্তি ঘিরে আছে এই পরিবর্তন। এই মুহূর্তে খুব কাছ থেকে পৃথিবীর সমস্ত ফুল ভীষণ চেনা। কাজল কালো পাড় থেকে দূরের নৌকা বেয়ে ভাটিয়ালি স্রোতে ঢেউ খেলছে স্তিমিত গৈরিক দীপ্তি। এই অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্য তুলে নিচ্ছি সাজি ভরে। শিশিরে মাখা পেলব ভোরের আলো আর রাশিরাশি ফুল ফোটার মৃদু হাসি তোমাকে দিলাম ১২ই কার্তিক।
এই যে তুমি আমার চোখের সামনে ধীরেধীরে সদ্য ঘুম বিছানা ছাড়লে। ক্রমশ তুমি তোমার অশ্বরথ ছোটাবে কর্মযজ্ঞে, তুর্কী নাবিক, রণিত হবে বহুধারায়। সাফল্যের উত্তরণ তোমাকে জুড়ে থাকুক। সমুদ্র যেখানে আকাশে গিয়ে মেশে... শেষ নেই শেষ নেই সেখানে দুহাত বাড়িয়ে দিলাম। ভালোবাসা রেখে গেলাম রাশিরাশি... প্রতিটি দিন আরো উজ্জ্বল সুন্দর হোক। শুভ জন্মদিন 🌹🌹
*************************
চোখের ভেতরে বরফ গলে
এ কে আজাদ
বহুদিন ধরে একটা নীলাম্বর ধরে আছি বুকের ভেতর,
সেই গগণে জ্বলজ্বল করে একটি শুকতারা জ্বলে।
অথচ কি আশ্চর্য - একটু বৃষ্টির পরশেই
সে তারা গলে পড়ে সমস্ত পৃথিবীর পরে!
এক পশলা বৃষ্টি শেষে আবার জ্বলে ওঠে হৃদয়ের ভেতর!
তাহলে ওটা কি তারা নয়?
না কি বিশাল একখণ্ড বরফ জমে আছে সমস্ত হৃৎপিণ্ড জুড়ে?
এক ফোঁটা পানির পরশ পেলেই
কেমন গলে গলে চুয়ে পড়ে চোখের অলিন্দ বেয়ে!
*************************
গল্প
অবুঝ মেয়ে
শিবাজী সান্যাল
প্রতিমার ফোন এল , “ দেবেশ , টিনা আবার একটা ঝামেলা পাকিয়েছে তাই না ? ওর ফোন এসেছিল , ভীষণ রেগে আছে মনে হল। বলছে চলে আসবে। আমার মেয়ের এমন ব্যবহারের জন্য সত্যি আমি কি করব ভেবে পাই না। তুমি সব মেনে নিও না , একটু শক্ত হও। ওর পাগলামি দিনদিন বেড়েই চলেছে। ” দেবেশ বলল , “ আপনি চিন্তা করবেন না মা , আমি সব সামলে নেব। ” টিনা একমাত্র মেয়ে , অনেক আদরে মানুষ হয়েছে , সামান্য কারণেই
অভিমান হয়, কখনও রেগে গেলে সামলান মুস্কিল হয়ে পড়ে। বিয়ের পরে প্রতিমা দেবেশকে বলেছিল , “ টিনার মনটা খুব ভাল কিন্তু একটু খামখেয়ালি । তুমি বাবা ওর ছেলেমানুষি দেখে রেগে যেও না। একটু ভাল ভাবে বোঝালেই দেখবে ও শান্ত হয়ে যাবে। ”
আজ টিনা মুখ ভার করে আছে। ব্যাপারটা খুবই সাধারণ । দেবেশ এবং কিছু বন্ধু মিলে ওদের একটা গ্রুপ আছে। প্রতি মাসে এক একজনের বাড়িতে ওরা পার্টি করে আর খুব আনন্দ করে । এবার টিনা দেবেশের পালা , সেই নিয়ে কথা বলতে গিয়ে দেবেশ বলল খাবার বাইরে থেকে আনাবার ব্যবস্থা করবে ,কিন্তু টিনার ইচ্ছে সব আয়োজন বাড়িতেই করবে। দেবেশ জানে এতে নানা সমস্যা হবে তাই বাইরের ব্যবস্থা ভাল হবে। অনেক চেষ্টা করেও ও টিনাকে মানাতে না পেরে বলল, “ তোমাকে বলে কোন লাভ নেই। ইচ্ছে করে ঝামেলা মাথায় নিচ্ছ সব গড়বড় করবে। কিন্তু তবুও তুমি জেদ ছাড়বে না। ” ব্যস সেই থেকেই শুরু, ও রেগেমেগে গাল ফুলিয়ে একরাশ কথা শোনালো ।
কথা হয়েছিল কাল আর তার জন্য এখনও টিনা দেবেশের সঙ্গে কথা বলছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দেবেশ অনেক চেষ্টা করল , টিনা যা চায় তাই হবে বলল তবুও কোনো লাভ হল না। দেবেশ বলল , “ দেখ এমন ছোট ছোট বিষয় যদি তুমি এভাবে বড় করে তোল , তাহলে অর্থহীন অশান্তি হবে । ” ব্যস এতে টিনা আরও রেগে গিয়ে বলল , “ তুমি তো তাই বলবে । আমিই যত অশান্তির কারণ , তাই বলতে চাই ছো তো ? বেশ তোমার পার্টি তুমি কর আমি মায়ের কাছে যাব। থাকব না এখানে , তোমার যা ইচ্ছে এখানে কর , আমার বয়েই গেলো। ” দেবেশ বুঝতে পারল এবার সব আরও বিগড়ে গেল। এরপর ওর সমস্ত চেষ্টা বিফল হল , টিনার এক কথা , “ আমার টিকিট করে দাও , আমি যাব । ”
দেবেশ অফিস থেকে ফিরে দেখল বাড়ির সবকিছু এলোমেলো হয়ে আছে। ও আর কথা বাড়াতে চাইলো না , জানে কোনো লাভ হবে না। রাতের খাবার দেবেশ কিছু আনিয়ে নিল , অনেক বলাতে টিনা টেবিলে খেতে এসে বসল। রাতে অন্ধকারে দুজন পাশাপাশি শুয়ে রইল , একসময় টিনা জিজ্ঞাসা করল, “ আমার টিকিট হয়েছে ? ” দেবেশ বলল , “ হ্যাঁ , কাল এগারটায় ফ্লাইট । ” সকালবেলা টিনা তৈরি হতে লাগল , ব্যাগ কিছুটা সাজিয়ে রেখেছিল , আর একবার সব দেখে নিয়ে ব্যাগ বন্ধ করল। নিজে তৈরি হল , দেবেশ হলের সোফায় বসে খবরের কাগজ পড়ছিল। বেশ কয়েকবার টিনা ওর সামনে দিয়ে ঘোরাঘুরি করল, মনে হল কিছু বলতে চায় , কিন্তু কিছুই বলল না , আর দেবেশ পেপার থেকে মাথাও তুলল না। যাবার সময় হলে দেবেশ জিজ্ঞেস করল , “ তুমি রেডি ? ওলা ডাকছি। ” টিনা ব্যাগ নিয়ে এল আবার ভেতরে গেল , মনে হচ্ছে যেন এক দোটানায় পড়েছে। দেবেশ একটু উচু গলায় ওলার ওটিপি নম্বর ওকে বলে ডাকল , “ বুঝলে , তোমার ট্যাক্সি কিন্তু নিচে এসে গেছে। আর দেরি করা ঠিক হবে না । ” টিনা বেরিয়ে এসে ব্যাগটা নিয়ে বলল , “ জানি ট্যাক্সি এসেছে । আমাকে তাড়াতাড়ি পাঠাতে পারলেই তোমার শান্তি। একবারও বললে না যেও না । ”
দেবেশ বলল , “ বলিনি ? কতবার বোঝাতে চেষ্টা করলাম , তুমি আমার একটি কথাও শুনেছ ? ”
টিনার চোখ ভিজে এল , গলা কাঁপছিল , বলল , “ আমি বলেছি সেটাই বড় হল । কেন তুমি জোর করতে পারতে না ? বলতে পারতে না যেতে দেব না । এতটুকু ভালবাস না , সব বুঝি। ”
“ তুমি যাও তা আমি কখনই চাই না। তোমাকে ছাড়া এখন আমি একা থাকতেই পারি না। ”
“ তাহলে আমার যাবার টিকিট করলে কেন ? ”
“ টিকিট করিনি। একবার দেখ , ওটা আমার দুসপ্তাহ আগের দিল্লী যাবার টিকিট । ” টিনা অবাক হয়ে টিকিট বার করে দেখল সত্যিই তাই , বলল , “ তাহলে এখন ওলা ডাকলে কেন ? ”
দেবেশ হাসতে হাসতে বলল , “ বোকা বানিয়েছি। কোনো ওলা ডাকিনি। ” টিনা ব্যাগ ফেলে ছুটে এসে দেবেশকে জড়িয়ে ধরে ওর বুকে মুখ লুকোলো , “ তুমি খুব বাজে , আমাকে শুধু কষ্ট দাও।” দেবেশ হাসতে হাসতে ওকে দুহাতে জড়িয়ে তুলে নিয়ে ঘোরাতে লাগল ।
**************************
বোধোদয়
তন্ময় রাণা
প্রিয়জন হতে চেয়ে ছিলাম শুধু
প্রয়োজন হয়ে রয়ে গেছি দেখি
হায়,জীবনের আঙিনায় l
প্রাপ্তির প্রত্যাশা,ছিলোনা কখনো
শুধু একচিলতে সুখ,সেটুকু-
চাওয়াকে কি,খুব লোভী বলাযায়?
সেদিনের সুখ মাখা অভাবী উঠোনটা
আজ আর নেই,সম্পর্কেরা ওখানে এখন
দায়িত্ব নিয়ে বিষের বীজ ছড়িয়ে যায়!
জীবন নিংড়ে নেয় রোজ একটু একটু করে যেভাবে আখের রসওলা হাতল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে আখের রস বার করে নেয়l
পলেস্তরা খোসা জীর্ণ দেয়ালের পোঁতা হুকে,একদিকে হেলে ঝুলে থাকা ঈশ্বর তবুও হাত তুলে আস্বস্থ করে যান রোজ, যে একদিন হবে ঠিক সবার বোধোদয় l
****************************
ভাবতে_ক্ষতি_কি?
সায়ন্তিকা
যেন শুধু লেখার জন্যই জন্ম ۔۔۔۔۔۔
ভাবতে ভাবতে ,ভাবতে হয় !
নারীর যোনীর মধ্যেই তো যত রহস্য লুকিয়ে ,
প্রেম , পরিণয় আর কবিতা মিশলেও খুব একটা ক্ষতি নেই ,
বাকিটা ভূমিকম্পের মতনই আসে ۔۔۔۔
হঠাৎই !
যাবতীয় সাধনা তো শুধুমাত্র কবিতাকে ঘিরেই ۔۔۔
বিরহ , দুঃখ সময়ের সাথে ফিরে আসবেই !
তাতে অবশ্য ছোটো۔ছোটো ভাবনার খুব একটা ক্ষতি হয়না ۔۔۔
তাড়াহুড়ো করা মানুষের মতনই কিছু ভাবনা চাই ۔۔۔۔
যেমন ۔۔۔
কিছু লোক পাতা পোড়াচ্ছে ,
কয়েকটা লাশ মিছিল করে এগিয়ে আসছে আমার তোমার দিকে ,
রাজনৈতিক বিশ্লেষণ লিখতে বসে কবিতা লিখছে নেতা ,
বেঁটেখাটো মানুষগুলো খবরের কাগজে মুড়ে রাখছে ঘাসপাতা !
ভাবতে ক্ষতি কি ?
কবিতার মতন ভাবনাগুলো হঠাৎই আসে ۔۔۔۔
আবার না বলে চলেও যায় !
তবুও ۔۔۔۔
তুমি আমি ভাবছি ۔۔۔۔۔ভাবতে ভাবতে ঘাসপাতা চিবিয়ে খাই !
*************************
চিহ্নিত কুলাঙ্গার
রতন চন্দ্র রায়
মুহূর্তে যারা শ্মশান করতে পারে
স্বদেশ ভূমি
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা করে
উল্লাসে ফেটে উঠে যারা
তারা আর যাই হোক
সভ্য সমাজের কোন মানুষ
হতে পারে না।
ধর্মকে হাতিয়ার বানিয়ে
পর্দার আড়ালে থাকা
সুবিধাভোগী মানুষগুলো
অট্টহাসি হাসে পর্দার আড়ালে।
চিহ্নিত কুলাঙ্গারগুলো থাকে
রাজার হালে,
অসহায় ধর্মপ্রাণ মানুষ গুলো
কষ্ট করে পদে-পদে।
কুলাঙ্গারদের স্পর্শে মাটি ও কাঁদে
নীরবে.......
চোখের সামনে কুলাঙ্গাদের দেখে
ভয় পেয়ো না
ঘৃণা করো মনে-মনে
সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস রেখে।
পর্দার আড়ালে থাকা
কুলাঙ্গারদের কে চিহ্নিত করো
যাদের কারণে রক্তাক্ত বাংলার মাটি
শারদীয় উৎসবে........
শ্মশান ও মুখ ফিরিয়ে নেয়
কুলাঙ্গারদের মুখোশ দেখলে।
**************************
*শেষ দেহ*
মঙ্গল মিদ্যা (রিপল)
বয়সের ব্যবধানে আজ তিনি বৃদ্ধা,
ছেলের প্রতি অধিক ভালোবাসায় তিনি আজ একা,
সময় চোখ রাঙিয়ে জানালো অতিমারী ও লকডাউন।
যে যৌবন বয়সটা ছেলেদের ভালোবাসার কেন্দ্রবিন্দু ছিলো,
যে লাবণ্যময়ী শরীর একসময় পুরুষদের আকৃষ্ঠ করে ছিলো,
তা এখন বন্ধ দরজার ভেতর মৃত ও দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
মাংস পচে সেখানে পোকা জন্ম নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে।
যৌথ সংসার থেকে প্রথমে স্বামীকে নিয়ে আলাদা হওয়া,
বহুতল ফ্লাট কিনে সামাজিক থেকে নিজেদের আলাদা করা,
উচ্চশিক্ষার জন্য ছেলেকে নামী প্রতিষ্ঠানের আবাসনে রাখা,
বিদেশে ছেলের চাকরীর পরেই স্বামী তাকে একা রেখে পরলোকে চলে যাওয়া,
আর সবশেষে লকডাউনে প্রকৃতি সবাইকে একা করে দেওয়া।
মর্গে বৃদ্ধার শরীরে হয়তো শেষ পর্যন্ত হাড়গুলো পরে রবে,
বিমান চলা শুরু হলে তাঁর ছেলে ফিরে কঙ্কাল টার সদগতি করবে।
সারাজীবন শুধুই নিজের আর তারজন্য আলাদা করে নেওয়া
মরার পরেও কাজে লাগলো,
হিন্দুঘরের গৃহবধূ আগুনের চুল্লিতে না পুড়েই কবরে মাটি পেলো।।
0 মন্তব্যসমূহ