দর্পণ | সাপ্তাহিক সেরা নির্বাচিত পরিচালক কলম | কবিতা




পোস্ট বার দেখা হয়েছে


হাতিয়ার 

দে বা শী ষ


সময়টা ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হারের মতো - 

পরিবর্তন হয় যেমন ওমিক্রনের গতি,

ইচ্ছেরাও আর জাগেনা রাতে,  

খুচরো দিশায় - বেমালুম মাতামাতি ।


ছলকে চলেছে সুযোগের কারবার,  

ভাগ্যে জমেছে ঘূর্ণিঝড়ের আভাস,

জলবায়ু হলো ডুকরে কাঁদা দূষণ,  

নতুন করে রোজ পরিচিত আকাশ।


এভাবেই চলে সভ্যতা ভ্যাকসিনে ,

বুস্টার বাকি জীবনে গর্ত খোঁড়ার,  

তোমার আমার তবু মিলেমিশে থাকা,

আশারা কেবল বেঁচে থাকার হাতিয়ার।




নিজেকে রেখেছি দূরে

শিবাজী সান্যাল


জানি ভাবছ তুমি , জ্বালিয়ে আশার মশাল 

দূরে সরে গেছি। ভাবছ কাছে এসে

শুধু যন্ত্রণাই পেয়েছ তুমি। বিশ্বাস নিরুদ্দেশ

প্রাণহীন এক শব্দমাত্র , অর্থহীন মরীচিকা । 

ভাবছ বৃথাই দেখেছিলে স্বপ্ন বীথিকা 

ভাবছ এ ছিল এক নির্মম খেলা

ভাবছ গোলাপেই ছিল অদৃশ্য কাঁটা

ভাবছ সবকিছুর জন্য দায়ী শুধু আমি। 


আসলে যা কিছু ভাবছ তুমি , সবই ভুল । 


যাইনি দূরে সরে , নিজেকে রেখেছি দূরে

এর ছিল না কোন ভবিষ্যৎ 

রঙধনু স্থায়ী হয়নি কখনও

কাছে এলে আরও নিজেকে জড়াতে তুমি

এ ছিল কালবৈশাখী , এ নয় বিশ্বাস 

তোমার দুচোখে দেখেছিলাম তোমার সর্বনাশ । 


কবিকে নয় , ভালবেসো শুধু কবিতা আমার।




টান 

সায়ন্তিকা 


একটা টানের খুব প্রয়োজন ,

সত্যিই প্রয়োজন !

তখন বিদ্রোহী মনটাও কবি হয়ে ওঠে !


সমস্ত কবিতার কাছে নতজানু আমি ,


আবেগী প্রচ্ছদে পড়ে থাকা শৈশব খুঁজতে গিয়ে ছেলেটা সামলাতে পারেনি নিজেকে !


বোঝা যায় ۔۔۔সময় আর ঘৃণার চরম আকর্ষণ !


যার শরীরের ওপরে প্রহসন চলে দিনের পর দিন ,

সে কিছুই বোঝেনা!

কী সাংঘাতিক টান !


তবুও ছেলেটা আর মেয়েটা ধরে রাখতে পারেনি নিজেদেরকে ۔۔۔

তারা ভালোবেসে ছিলো !


কেউই অবশ্য এসব কথা নিয়ে খুব একটা আলোচনা করে না ,

আর যারা করে তারা আঁতকে ওঠে ۔۔۔۔

"কীই যে করে !"


সমুদ্রের পাশে বসে তারা বিশ্ব ভ্রমণ সেরে নেয় ,

পথে পড়ে থাকে দ্বিখণ্ডিত শরীর ,

পাখির ডানায় লেগে থাকা শিশির বিন্দুতে পবিত্র হয় সন্ধ্যে۔স্নান !


তখন ۔۔۔۔একটা টান অনুভব করার জন্য নিজেকে খুঁজতে যেতে হয় গভীরে ۔۔۔۔۔۔۔۔۔



বার্তা 

শুভ্রা পাল 


কৃষ্ণ গহ্বরে পড়ে যাবার যন্ত্রণাকে 

নিংড়ে নিয়েছি প্রথম রবি কিরণের ওমে, 

'তার ' ঠিকরে পড়া সাতরঙে লিখেছি আমার সুখ, 

রামধনু রঙে তুলি ভিজিয়ে এঁকেছি আমার সুপ্তি, 

নিজের মনে রয়েছি সত্যের পসরা সাজানো মায়াকাননে ।


পদ্মপাতার মতো আঁজলা বিছিয়ে, মহাশূন্যকে বলেছি 

শত সহস্র বার ' শক্তি দাও, সাহস দাও..

আমি ' বুড়ি বামনী ' সন্ন্যাসীনি'কে দেখতে চাই ।

পিঁপড়ের ডিম খেয়ে বাঁচা মানুষ গুলোর মতো; 

সামান্যে অসামান্যের তৃপ্তি পেতে চাই ।


সেই মুহূর্তে কে যেন বললো কানে কানে 

'স্বত্ব' গুনের আধারে 'রজ' ও 'তম' গুন বিরাজ করে, 

সেই সত্যকে বুকের খাঁচায় বন্দি করে 

আত্ম উপলব্ধির পথে চলতে শুরু করি, 

মধুর আবেশে দেখি, শুরু হয়ে গ্যাছে লাল পিঁপড়ের চড়ুইভাতি ।।



আপসোস নেই

মঙ্গল মিদ্যা (রিপল)


তাকে ভালোবাসলে জীবন থেকে যদি কিছু হারিয়ে যায়

তাতে আমার এখন আর কোন আপসোস নেই।

মনের মধ্যে যা দুঃখ ছিলো, সব ভুলে গেছি।

শুধু মনে আছে আমি তাকে শুধু ভালোবাসি।


বর্তমানে বেঁচে থাকাই আমার সেবা ! 

আমি নিজেকে যত্ন করছি,

তার ভালোবাসার যগ্য হওয়ার।

আমি চেষ্টা করছি স্বাস্থ্যকর রুটিন চালিয়ে যেতে,

যাতে তাকে নিয়ে আরো লিখতে পারি।

একটি গোলাপ আমি তার ভালোবাসার জন্য রাখি,

সেটা সুগন্ধ ছড়ায় আমার জীবনকে গোলাপি করতে।

তোমার মত আমিও এখন ভালোদিকটা খুঁজি,

যাতে তুমি খুশি হও।।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ