যুগবতার স্বামী বিবেকানন্দের বাণী




পোস্ট বার দেখা হয়েছে

মহান সন্ন্যাসী ও দার্শনিক স্বামী বিবেকানন্দ ১৮৬৩ সালে ১২ জনুয়ারী ভারতের পবিত্র ভূমিতে জন্মগ্রহন করেন। তিনি ছিলেন একজন দার্শনিক ও ভারতীয় সংস্কৃতির প্রচারক। স্বামী বিবেকানন্দের সমাজ কল্যাণ মূলক কাজের জন্য আমাদের দেশে তো জনপ্রিয় ছিল তবে ১৮৯৩ সালে তিনি আমেরিকার শিকাগো শহরে আয়োজিত একটি ধর্মীয় মহাসভার উৎকৃষ্ট বক্তিতার পর থেকেই তিনি পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশগুলিতে জনপ্রিয়তা লাভ করেন।স্বামীজী ছিলেন যুবসমাজের জন্য এক আদর্শ ও প্রেরণার স্রোত। স্বামী বিবেকানন্দ তার একধিক বক্তৃতা ও জীবন দর্শনে শিক্ষা, কর্ম ,জীবন , সত্য , বিশ্বাস ইত্যাদি সম্পর্কে বিবেকানন্দ অনুপ্রেরণামূলক বাণী ও উপদেশ দিয়েছেন যা প্রত্যেক ব্যক্তিকে অন্তত একবার হলেও পড়া অবশই দরকার।

।। বিবেকানন্দের বাণী ।।

১। “সাহসী লোকেরাই বড় বড় কাজ করতে পারে।"


২। “এক দিনে বা এক বছরে সফলতার আশা কোরো না। সবসময় শ্রেষ্ঠ আদর্শকে ধরে থাকো।”


৩। “ঘৃণার শক্তি অপেক্ষা…

প্রেমের শক্তি অনেক বেশি শক্তিমান।”


৪। “যা কিছু আপনাকে শারীরিক, বৌদ্ধিক এবং আধ্যাত্মিকভাবে দুর্বল করে তোলে সেটাকে বিষ ভেবে প্রত্যাখ্যান করুন”


৫। “যে মানুষ বলে তার আর শেখার কিছু নেই, সে আসলে মরতে বসেছে।

যত দিন বেঁচে আছো শিখতে থাকো।”


৬। “অনুতাপ কর না, পূর্বে যে-সব কাজ করেছ, সে-সব নিয়ে মাথা ঘামিও না,

এমন কি যে-সব ভাল কাজ করেছ,

তাও স্মৃতিপথ থেকে দূর করে দাও।”


৭। “দুনিয়া আপনার সম্বন্ধে কি ভাবছে সেটা তাদের ভাবতে দিন।

আপনি আপনার লক্ষ্যগুলিতে দৃঢ় থাকুন,

দুনিয়া আপনার একদিন পায়ের সম্মুখে হবে”



৮। “যখন আমাদের মধ্যে অহংকার থাকে না, তখনই আমরা সবথেকে ভালো কাজ করতে পারি, অপরকে আমাদের ভাবে সবচেয়ে বেশি অভিভূত করতে পারি।”


৯। “আমাদের প্রথম কর্তব্য হল নিজেকে ঘৃণা না করা। উন্নত হইতে হইলে প্রথম নিজের উপর, তারপরে ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস আবশ্যিক। যাহার নিজের উপর বিশ্বাস নাই,তাহার কখনই ঈশ্বরে বিশ্বাস আসিতে পারে না।”


১০। “কোন জীবনই ব্যর্থ হইবে না,

জগতে ব্যর্থতা বলিয়া কিছু নাই।

শতবার মানুষ নিজেকে আঘাত করিবে,

সহস্রবার হোঁচট খাইবে, কিন্তু পরিণামে অনুভব করিবে, সে ঈশ্বর।”


১১। “কখনো না বোলোনা, কখনো বোলোনা আমি করতে পারবোনা।

তুমি অনন্ত এবং সব শক্তি তোমার ভিতর আছে, তুমি সব কিছুই করতে পারো।”


১২। “নিজের জীবনে ঝুঁকি নিন,

যদি আপনি জেতেন তাহলে নেতৃত্ব করবেন আর যদি হারেন তাহলে আপনি অন্যদের সঠিক পথ দেখাতে পারবেন”


১৩। “মনের মতো কাজ পেলে অতি মূর্খও করতে পারে। যে সকল কাজকেই মনের মতো করে নিতে পারে, সেই বুদ্ধিমান। কোনো কাজই ছোট নয়।”


১৪। “কোনো বড় কাজই কঠোর পরিশ্রম ও কষ্ট স্বীকার ছাড়া হয় নি।”


১৫। “যখন তুমি ব্যস্ত থাকো তখন সব কিছুই সহজ বলে মনে হয়, কিন্তু অলস হলে কোনো কিছুই সহজ বলে মনে হয় না।”


১৬। “পেছনে তাকিও না, শুধু সামনের দিকে তাকাও… অসীম শক্তি, অসীম উদ্দম, অসীম সাহস এবং অসীম ধৈর্য…

এরা একাই পারে মহান কোনো কর্ম সম্পন্ন করতে।”


১৭। “যা পারো নিজে করে যাও, কারও ওপর আশা বা ভরসা কোনোটাই কোরো না।”


১৮। “নিজেদের বিপদ থেকে টেনে তোলো! তোমার উদ্ধার-সাধন তোমাকেই করতে হবে। ভীত হয়ো না।

বারবার বিফল হয়েছো বলো নিরাশ হয়ো না। কাল সীমাহীন, অগ্রসর হতে থাকো,

বারবার তোমার শক্তি প্রকাশ করতে থাকো, আলোক আসবেই।”


১৯। “মনে করিও না, তোমরা দরিদ্র।

অর্থই বল নহে…

সাধুতাই-পবিত্রতাই বল।

আপনাতে বিশ্বাস রাখো।

প্রবল বিশ্বাসই বড় কাজের জনক।”


২০। “গোলামীর উপর যে সম্পর্কটা দাঁড়িয়ে আছে, সেটা আবার কখনও ভালো হতে পারে?

যেখানে মেয়েদের স্বাধীনতা নেই,

সে জাত কখনো উন্নতি করতে পারে না।”


২১। “সবচেয়ে বড় ধর্ম হল নিজের স্বভাবের প্রতি সত্য থাকা, নিজের প্রতি বিশ্বাস করুন”


২২। “প্রার্থনা করা অপেক্ষা প্রাণ খুলিয়া হাসা অনেক ভালো। গান কর। দুঃখের হাত হইতে নিষ্কৃতি লাভ কর।”


২৩। “জগতে যদি কিছু পাপ থাকে, তবে দুর্বলতায় সেই পাপ।

সকল প্রকার দুর্বলতা ত্যাগ করো…

দুর্বলতায় মৃত্যু, দুর্বলতায় পাপ।”


২৪। “শক্তিই জীবন, দুর্বলতাই মৃত্যু, বিস্তারই জীবন, সংকোচনই মৃত্যু, প্রেমই জীবন, ঘৃণাই মৃত্যু”


২৫। “আমরা যেন প্রদীপ-স্বরূপ, আর ঐ প্রদীপের জ্বালাটাকেই আমরা ‘জীবন’ বলি।

যখনই অম্লজান ফুরিয়ে যাবে, তখনই আলোটাও নিবে যাবে।

আমরা কেবল প্রদীপটাকে সাফ রাখতে পারি। জীবনটা কতকগুলি জিনিষের মিশ্রণে উৎপন্ন, সুতরাং জীবন অবশ্যই তার উপাদান-কারণগুলিতে লীন হবে।”


২৬। “উঁচুতে উঠতে হলে তোমার ভেতরের অহংকারকে বাহিরে টেনে বের করে আনো, এবং হালকা হও…

কারণ তারাই ওপরে উঠতে পারে যারা হালকা হয়।”


২৮। “সেবা করো তাৎপরতার সাথে।

দান করো নির্লিপ্ত ভাবে।

ভালোবাসো নিঃস্বার্থভাবে।

ব্যয় করো বিবেচনার সাথে।

তর্ক করো যুক্তির সাথে।

কথা বলো সংক্ষেপে।


২৯। “যেই রকম আপনি ভাববেন ঠিক সেইরকমই আপনি হয়ে যাবেন।

যদি আপনি নিজেকে দুর্বল হিসাবে বিবেচনা করেন তাহলে আপনি দুর্বল হয়ে যাবেন আর আপনি যদি নিজেকে শক্তিশালী মনে করেন, তাহলে আপনি শক্তিশালী হয়ে উঠবেন”


৩০। "অপরের দোষত্রুটি দেখিয়া বেড়ান তো আমাদের কাজ নয়। উহাতে কোন উপকার হয় না।

এমন কি, ঐগুলির সম্বন্ধে আমরা চিন্তাও যেন না করি।

সৎ চিন্তা করাই আমাদের উচিত।

দোষের বিচার করিবার জন্য আমরা পৃথিবীতে আসি নাই।

সৎ হওয়াই আমাদের কর্তব্য।"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ