পোস্ট বার দেখা হয়েছে
প্রচ্ছন্ন প্রেম
রওশনের সাথে সোহেলের আলাপ হয়েছিল কলেজে।সোহেল চাকরি পায় ব্যাঙ্গালোরে।
সোহেল রওশনের সাথে এব্যাপারে কথা বলে।
বেশতো সুখবর। কবে খাওয়াবে বল।
আগে চাকরি পাকা হোক পরে দেখা যাবে।
রওশনের মন খারাপ করে সোহেল চলে যায় ব্যাঙ্গালোরে। নিয়মিত তাদের মধ্যে ফোনে
কথাবার্তা হয়। একদিন সোহেল রওশনকে জানায় এবার কোম্পানি তাকে মেক্সিকো পাঠাতে
চায়। শুনে,রওশনের মন খারাপ হয়ে যায়,সে প্রবল আপত্তি জানায়।বলে সেখানে যেতে হবে না।
সোহেল বলল আগে শোননা,কেন আমি সেখানে
যেতে চাই।
রওশন বলল কেন?
দাদুর মুখে শুনেছিলাম সেখানকার চিহুয়াহুয়ান মরু অঞ্চলে ভিনগ্রহীরা আসে অলৌকিক সব কান্ড করে।
যা,তা আবার হয় নাকি?
দাদু বলেছিল রেডিয়ো সিগন্যাল সেখানে কাজ করে না।
তাই?তোমার দাদু নিজের চোখে দেখেছিলেন?
দাদু প্রথমে শুনেছিল এই অঞ্চলে ভিন্গ্রহীদের আনাগোনা করতে অনেকেই নাকি দেখেছে। একাধিক বার সেখানে উল্কাবৃষ্টিও হয়েছে।এই অঞ্চলে কেউ বাস করে না।
আচ্ছা তোমার দাদু এসব বিশ্বাস করেছিলেন?
না তিনি বিশ্বাস করেন নি বলেই ভিনগ্রহীদের নিজের চোখে দেখতে সেখানে গিয়েছিলেন।
তিনি সেখানে গিয়ে কি দেখেছিলেন?
দেখেছিলেন রেডিয়ো সিগন্যাল চলে যাচ্ছে আর
কম্পাসের কাঁটা এলোমেলো ঘুরছে।
ভূতুড়ে এসব কাণ্ড ওখানে ঘটে?
হ্যাঁ গো ওসব ঘটে বলেই এই অঞ্চলের নাম ছিল ‘জোন অব সায়লেন্স’।
দাদুর মুখে শুনেছিলাম একটি রকেট ওই অঞ্চলের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারায়।
তারপর কি হল?
দাউদাউ করে আগুনজ্বলে রকেটটি জোন অব সায়লেন্সের ঠিক মাঝে ভেঙে পড়েছিল।
তবে তো বেশ রহস্যময় সেই জায়গাটি।
একদম তাই। দাদু বলেছিলেন রহস্যময় এই অঞ্চলটি রোমাঞ্চপ্রিয় পর্যটকদের পছন্দের জায়গা। আমি যাব না সেখানে?
আমার খুব ভয় করে গো।
ভিনগ্রহীরা যদি তোমাকে ধরে নিয়ে যায়?
সোহেল হেসে বলে গেলে যাবে।
তুমি হাসছো,শুনেই তো আমার বুকটা কেমন ধর-ফর করছে।
দাদু বলেছিল রকেট ভেঙে পড়ার পর নাসা
এক বিজ্ঞানীকে এই অঞ্চলে পাঠিয়েছিল।
তাতে কি রহস্যের কিনারা হয়েছিল?
না কিনারা হয়নি।
তোমার দাদু কি সেখানে ভিনগ্রহীদের চলাফেরা
করতে দেখেছে?
না দাদু সে ব্যাপারে কিছু বলেনি।
এইসব শুনে রওশনের মনে অতিজাগতিক ধারণা চেপে বসে।
সে সোহেলকে বলে না তুমি একদম সেখানে যাবে না।
সোহেল বলে এসব হয়তো মনের ভুল।
তুমি কি বিশ্বাস কর এমন কোন ভিন্গ্রহীরা সেখানে ঘোরাফেরা করে?
কি জানি বাবা।
তুমি কিছুতেই সেখানে যাবে না।
সোহেল হেসে বলে আমি ব্যাঙ্গালোরে থাকলে
তুমি যদি খুব ভালো থাক তবে আমার এখানে
থাকাই ভালো।
রওশন বলে এখানেই কত রহস্য রোমাঞ্চ আছে
সেটা খুঁজে দেখ।
=====
( ২ )
রাজকন্যা সহ রাজত্ব
শীতকালে দুপুরে ছাদে গিয়ে রোদে দাঁড়িয়ে
চুল শুকচ্ছিলাম।উউল্টোদিকের বাড়ির ছাদে মলিনাদিও উঠেছিল শুকনো জামা কাপড় তুলতে। চোখে
চোখ পড়তেই জিজ্ঞেস করলাম,কি গো কেমন
আছো?
আর বোলো না দিদি, ভালো মন্দ মিশিয়ে চলে যাচ্ছে।
কেন গো।ছেলে ইঞ্জিনিয়ার। বিদেশ থেকে ফিরে
এসেছে। এখন আর কিসের চিন্তা।
চিন্তার কি শেষ আছে ভাই? ছেলেটার বিয়ে দিতে
পারলে তবে ঝাড়া হাত পা হতাম।
তা পাত্রী ছেলের নিশ্চয়ই নিজের ঠিক করা আছে?
তা থাকলে তো চিন্তাই ছিল না ভাই।
বিদেশে গেছিল সেখান থেকে কাউকে আনতে
পারল না?
আমরা তো সেটাই ভেবেছিলুম ।তাই বিয়ের কথা
বললেই এড়িয়ে যেতো।
তা কি করে জানলে ছেলে নিরামিষ?
ছেলেকে একদিন চেপে ধরতেই,বলল নাগো মা আমার ওরকম কিছু নেই।
তখন ছেলেকে বললাম তবে কি আমরা তোর জন্য পাত্রীর খোঁজখবর করব?
ছেলে তখন বলল,এইতো সবে দেশে ফিরলাম।
তবে এক্ষুনি বিয়ে করতে হবে?
বললাম সেকি! ২৮ বছর বয়স কম হল? এরপর
তো মেয়ে পাওয়া যাবে না।জানিস না মেয়েরা কুড়িতেই বুড়ি?
ছেলে বলল তোমাদের আগেটার নিয়ম বাদ দাও।বেশি বয়সের ফারাকে বিয়ে করব না।
সমবয়স হলে সবচেয়ে ভালো। কেন না সম বয়সীরাই একে অপরকে ভালো বোঝে।
আমি তো জানি সমবয়স হলে মেয়ে তো আগেই বুড়ি হয়ে যাবে।পাঁচ সাত বছরের ব্যবধান থাকলে
জুটি ভালো হবে। সংসারের দায়ভার বহনের সুবিধা হবে।
শোন মা তাই বলে বয়সের ফারক এবং অপরিণত মনস্ক মেয়েকে বিয়ে করে তাকে নিয়ে ঘর করা যায় না।
অপরিণত হবে কেন?সে তো কলেজে পড়ে।
তুমি কি দেখ না,এখন সব মেয়েরা গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে চাকরি খোঁজে। কোন বাইশ বছরের মেয়ে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে বিয়ে করতে রাজি হয় না।তার কাছে কেরিয়ার আগে তারপর সে বিয়ে করতেও পারে নাও পারে।
বললাম মলিনাদি তবে তোমার ছেলেটাকে নিয়ে তো বেশ সমস্যা।ছেলেটা কি তবে বিয়েই করবে না?
মলিনাদি বলছিল দীপের মায়ের মুখে শুনেছে ব্রাজিলের এক গ্রামে মহিলাদের বিয়ে নিয়ে এরকম হা হুতাশ শোনা যায়।
হ্যাঁ গো আমিও শুনেছি ব্রাজিলের নয়ভা ডো করডেইরো গ্রামে মেয়েদের বিয়ে নিয়ে এই রকম হা হুতাশ প্রতিঘরে।
বছরের পর বছর এই গ্রামের মেয়েদের তাহলে বিয়ে হয় না?
বিয়ে হবে কী করে? গ্রামে যে কোনও পুরুষই নেই।
সেকি পুরুষই নেই সে গ্রামে,বল কি গো?
ব্রাজিলের ছোট্টো গ্রাম নয়ভা ডো করডেইরো বেশ সুন্দর। গ্রামের বাসিন্দারা সকলেই সুন্দরী মহিলা। এই গ্রামে কোন পুরুষ থাকেন না। গ্রামের যুবতিরা সব বিবাহযোগ্যা। সুন্দরী মহিলাদের তত্ত্বাবধানে সাজানো গোছানো রূপকথার গ্রাম।মনে হবে পরীর দেশে মহিলারা ঘরের কাজ, বাইরের কাজ, দোকান, বাজার, অফিস সবই চালাচ্ছেন। সকলেই ফিটফাট, সুন্দরী এবং আকর্ষণীয়া। অপূর্ব সুন্দর সেই গ্রাম।
মলিনাদি বলল দীপের মা বলেছিল ছেলেকে সেখানে পাঠিয়ে দাও।সুন্দরীর অভাব হবে না সে
গ্রামে।এখানকার এক সুন্দরী যুবতি নাকি এক পুরুষকে চুমু খেয়েছিলেন। ব্যস্, ওইটুকুই। তারপর সব শুকনো। যুবক প্রেমে পড়ে বিয়ে করতে এক পায়ে খাঁড়া। কিন্তু পুরুষটিকে নিজের গ্রাম ছেড়ে সেই গ্রামে মেয়েটির সঙ্গে থাকতে হবে।সমস্যা কোথায় জান? মেয়েটি শ্বশুর বাড়ি যাবে না।
কি অদ্ভুত রে বাবা।গ্রামে কোনও পুরুষ নেই কেন?
সে এক দারুণ গল্প। শোনা যায়, মারিয়া সেনহোরিনা ডি লিমা নামে এক তরুণীকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সে স্বামীকে ছেড়ে বাপের বাড়ি ফিরে আসেন। কিন্তু মহিলার সেই বিদ্রোহ চার্চ এবং সমাজ মানতে পারেনি। তাকে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। সে তখন নয়ভা ডো করডেইরো গ্রামে চলে আসে। এবং সেখানে সে মহিলাদের নিয়ে একটি সম্প্রদায় গড়ে তোলেন। সেই সম্প্রদায়ের নিয়ম অনুযায়ী বিয়ের পর মহিলারা কেউ শ্বশুরবাড়ি যাবে না। বরং স্বামীকে স্ত্রীর বাড়িতে এসে থাকতে হবে।
আরেক কথিত গল্প আছে,একটি ষোলো বছর বয়স্ক কিশোরীকে বিয়ে করে এক যুবক। গ্রামের মধ্যে একটি গির্জা প্রতিষ্ঠা করে সে। গির্জার নাম করে গ্রামে মহিলাদের জন্য কয়েকটি কঠোর নিয়ম জারি করে। সেই নিয়ম অনুযায়ী মহিলাদের জন্য মদ্যপান, গান শোনা, লম্বা উজ্জ্বল চুল রাখা, গর্ভনিরোধক কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা নিষিদ্ধ ছিল। এই সমস্ত নিয়মের জেরে গ্রামের মহিলাদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। সেই যুবকের মৃত্যুর পর মহিলারা স্থির করেন গ্রামে কোনও পুরুষের শাসন চলবে না। নারীরাই হবেন শাসনকর্তা।
এই নিয়ম প্রচলিত হওয়ার পরে বিয়ে করে পুরুষরা মহিলার বাড়িতে থাকা মানতে চাইত না।
ফলে মেয়েদের বিয়ে হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
তবে তুমি বলছো বিয়ের জন্য গ্রামের মহিলারা সবসময় তৈরি? কেউ যদি তাঁদের বিয়ের প্রস্তাব দেন তাহলে তাঁরা তা বিনা দ্বিধায় মেনে নেবে?
মেনে নিতে পারলে ভালো। রাজকন্যার সঙ্গে পাবেন অর্ধেক রাজত্ব।গ্রামের মহিলারা কিন্তু পুরুষ বিদ্বেষী নয়। তারা সম মর্যাদায় বিশ্বাসী।
এমা স্ত্রীর বাড়িতে থেকে রান্নাবান্না, বাসন মাজা, বাথরুম পরিষ্কার করতে হবে?
অবশ্যই নিজের অহং ছাড়তে হবে।
যে কয়েক জন মহিলা বিয়ে করেছেন তারা নিজেদের গ্রাম ছেড়ে কখনও শ্বশুর বাড়ি যায়নি। ফলে স্বামীকে ছাড়াই থাকতে হয়েছে। সপ্তাহ শেষে দু’দিনের জন্য স্বামীরা গ্রামে আসতেন। তা ছাড়া সেই বিবাহিত মহিলার ছেলের, ১৮ বছর বয়স হলেই গ্রামের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হত। ফলে ক্রমে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে গ্রামটি।
কি বলছো গো গ্রামের সকল পুরুষরা বাইরে কাজ করতে চলে যেত।
ঠিকই বলছি নয়ভা গ্রামের মহিলারা যেমন সুন্দরী, তেমনই সাজানো গোছানো। গ্রামে ঢুকলেই মন ভালো করা এক পরিবেশ চোখে পড়ে। গ্রামের বাড়িগুলি গোলাপি রঙে রাঙানো। গাছপালা সুন্দর করে ছেঁটে রঙিন ফিতে দিয়ে সাজানো। গ্রামের মহিলারা যেমন সুন্দরী তেমনই স্মার্ট। তাঁরা সব কাজ একাই করেন। পুরুষের কোনও প্রয়োজন নেই। জুতো সেলাই থেকে বাইবেল পাঠ সব করেন একাই।
তাহলে অপেক্ষা কীসের? ছেলেকে নিয়ে ব্রাজিলের এই গ্রাম থেকে একবার ঘুরে আসবেন নাকি?যদি সুন্দরী কোন যুবতীকে চোখে লেগে
যায় তবে রাজকন্যা ও রাজত্ব ঠেকায় কে।
====
( ৩ )
তুরুপের তাস
এক যুবতীকে পাচার করার অভিযোগে শ্রীরামপুরের সুকান্ত পল্লি তোলপাড় হয়।
ভোরবেলা এক যুবক দুই যুবতীকে বাইকে বসিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎই এক যুবতী বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার করতে থাকেন। উপায় না দেখে মাঝখানে বসা যুবতী চলন্ত বাইক থেকে লাফিয়ে পড়ে । চোখের সামনে এই দৃশ্য দেখে স্থানীয় লোকেরা
তাড়া করে বাইকটিকে ধরে ফেলে। ধরা পড়ার পর ওই যুবক নিজেকে সিবিআই অফিসার বলে দাবি করে। তাতে লোকের সন্দেহ হওয়ায় থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দুই যুবতী ও যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেয় তারা।
এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এলাকাবাসী। অভিযোগকারী যুবতীর দাবি তাকে ওই যুবক-যুবতী দুজনে সারারাত একটি নির্মীয়মান আবাসনে আটকে রেখে অত্যাচার করে। তাঁর কাছে টাকা দাবি করে। এদিন সাতসকালে তাঁকে জোর করে বাইকে তুলে দিল্লি রোডের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ওই যুবতী বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করেন। ধৃত তিনজনকেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে ওই যুবক-যুবতী দু’জনে ছদ্মবেশে স্বামী-স্ত্রী। আর ওই যুবতী কলগার্লের কাজ করেন। দক্ষিণেশ্বর থেকে ওই যুবতীকে ওরা নিয়ে আসে।
দম্পতি-যুবতী মুনমুন বড়ুয়া ডিভোর্সি।
তাই তিনি কলকাতা, হায়দরাবাদ ও বেঙ্গালুরুতে
অর্কেস্ট্রা সিঙ্গারের কাজ পেশা হিসেবে প্রথমে বেছে নেন।
কলকাতার বাসিন্দা হলেও বৈবাহিক সূত্রে মুনমুন থাকতেন বেঙ্গালুরুতে, কেবল সেখানেই তখন অর্কেস্ট্রা বারে গান গাইতেন।
তখনই ওই যুবক হুসেন মন্ডলের সঙ্গে তার আলাপ। আর তার পাতা ফাঁদে পা দেন মুনমুন।
সকালে উঠে মুনমুন আর হুসেন দুজনেই কোনও না কোনও শহরে চলে যেতেন, অভিজাত বাজার আর মলগুলোয় ঘোরাফেরা করতেন, খুঁজে বার করতেন শিকার হওয়ার উপযুক্ত কোনও পয়সাওয়ালাকে, তারপর সুযোগ বুঝে উঠিয়ে নিতেন হাতব্যাগটা। আবার সন্ধ্যায় ফিরে আসতেন বেঙ্গালুরুর ওই বারে।নিয়মিত বারে
সময় দিতে না পারায় সিঙ্গারের কাজ চলে যায়
তার।
গত কয়েক বছর এই মহিলার খোঁজ করেও খুঁজে পায়নি পুলিশ । এক মহিলা অভিযোগ করেন, মুম্বইয়ের লোয়ার প্যারেলের হাই স্ট্রিট ফিনিক্স মলের জারা শোরুমের বিল কাউন্টার থেকে তাঁর ব্যাগ চুরি যায়। তাতে ফোন, সোনার গয়না ও কয়েক লক্ষ নগদ টাকা ছিল। সিসিটিভি ফুটেজে পুলিশ দেখে, অভিযোগকারিণী বিল দেওয়ার জন্য ব্যাগটি মাটিতে নামিয়ে রেখেছিলেন, সেটি তুলে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন হুসেন মন্ডল।
তদন্তে নেমে তারা দেখে, লোয়ার প্যানেলের আর একটি জারা আউটলেট এবং শিবাজি পার্কের এক ল্যাকমে বিউটি পার্লারে এমনই অপরাধ ঘটিয়েছেন মহিলা মুনমুন বড়ুয়া।
মুনমুন জানিয়েছেন বিভিন্ন জায়গায় একই ধাঁচে চুরি করেছেন তিনি।
পুলিশ তাকে খুঁজছে জানতে পেরে আবার চুরির পেশা বদলে নারী পাচার শুরু করেন। এ-ব্যাপারে
হুসেন আগে থেকেই দক্ষ।সিঙ্গার হওয়ায় কর্লগার্লদের সন্ধান পেতে অসুবিধা হয় না মুনমুনের। প্রথমে
কিছু টাকা তাদের অগ্রিম দিয়ে দিত।
তারপর ক্লাবে নিয়ে যাওয়ার নাম করে খুব ভোরে বাইকে চাপিয়ে নির্দেশিত জায়গায় পাচার করত।এইভাবে তারা এই মেয়েটিকে পাচার করার জন্য
এনেছিল, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি,জনতার হাতে
ধরা পড়ে যায়।তুরুপের তাস ফেলা হল না শেষ
পর্যন্ত।
0 মন্তব্যসমূহ