পোস্ট বার দেখা হয়েছে
।।১।।
মুখেভাত
বিকলাঙ্গ হয়ে জন্মানোর অপরাধেই হয়তো ফেলে গেছে গর্ভধারিনী...বা ফেলে যেতে বাধ্য হয়েছে...
মাতাল হলেও অমানুষ হতে পারেনি সেদিন বীরজু...বাচ্চা টাকে দেখে পাশ কাটিয়ে না গিয়ে, কুড়িয়ে এনে হাসপাতালে জমা দিয়েছিল...
তাইতো নিঃসন্তান ডক্টর তিয়াসা পালের চিকিৎসাধীন ছেলে আনন্দর আজ মুখে ভাত...বীরজু মামার হাতে..
====
।। ২ ।।
কোন সে গোপাল
আজ গোপালের পুজো। খুব মনোযোগ দিয়ে পুজো করছেন নন্দাদেবী।পাড়াতে তার খুব নাম।এত নিষ্ঠা ভরে গোপালকে পুজো দিতে ক'জন ই বা পারে। গোপালকে সকালে ঘুম থেকে তোলা, চান করানো, খাওয়ানো, শীতের জামা কাপড় পরানো, মশারী টাঙ্গানো... সবেতেই তার জুড়ি মেলা ভার।
সেদিনও একমনে গোপালের সেবা করছিলেন নন্দাদেবী। হঠাৎ করে দরজার সামনে কে যে এসে পড়ল...গা ভর্তি ধুলোবালি, পায়ে চটি নেই,গায়েও নোংরা ছেঁড়া জামাকাপড়।
এসেই হাত পেতে দিল…"সকাল থেকে খাইনি,কিছু দেবে মা....? যা হোক,একটু কিছু।"
"দিলি তো পুজোর সময় আমার মনযোগ টা নষ্ট করে! সকাল থেকে কিছু খাই নি--যতসব বাহানা.."
রাগে গজ গজ করতে করতে আবার গোপাল সেবায় মন দিলেন নন্দাদেবী।
এসব বাহানায় মোটেও ভোলেন না তিনি।আবার তিনি একমনে গোপালের সেবায় মন দিলেন…..
====
।। ৩ ।।
উষ্ণতা
বিভাসের দুই বাহুর আলিঙ্গন,তার শরীরের ওম না পেলে ঘুমাতেই পারে না জিনিয়া...আজ এত বছর হয়ে গেল তবু তার অভ্যাসের কোনো হেরফের হলো না...বিভাস ও দারুন উপভোগ করে ব্যাপার টা.... মাঝে মাঝে জিনিয়াকে রাগায় ও এটা নিয়ে... বলে,ধরো আমি আর থাকলাম না,তখন কি করবে জিনিয়া...? কাজে কাজেই স্বাবলম্বী হও... বিভাসের একথা হেসেই উড়িয়ে দেয় জিনিয়া...এমনটা কখনো হতেই পারেনা....
আজ কিন্তু এমনটাই হয়েছে...বিভাস আর ইহজগতে নেই...
টেবিলে ফুলদানীটার দুদিকে দুটো মোমবাতি দিয়ে সাজিয়েছে জিনিয়া...মোমবাতি টা উষ্ণতা দিয়ে ভরিয়ে দিয়েছে ফুলকে,যেন বিভাসের বাহুডোরে পরম নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে তার জিনিয়া...
0 মন্তব্যসমূহ