দর্পণ || হোয়াটসএপ নির্বাচিত সাহিত্য




পোস্ট বার দেখা হয়েছে

ঠিক এইভাবেই

মনোজ কুমার রথ ( শ্রীমান অকুলীন )


এসো স্বপ্নকে ছুঁয়ে দেখি... ঠিক এইভাবেই,

এসো,শুভাকাঙ্খিদের মুখে হাসি ফোটাই...

ঠিক এইভাবেই,

এসো,সহ্যশক্তিকে বাড়াই, 

ধৈর্যকে টানতে টানতে নিয়ে যাই স্বপ্নের দোরগড়ায়...

পাড়ায় পাড়ায় জ্বলে উঠুক রঙমশাল,

নিন্দুকদের মুখের উপর মোক্ষম জবাব আছড়ে পড়ুক কয়েক হাজার মণ...

সকালে না হলেও... দিনের শেষবেলায়...

পণ থাকুক এই, 

একদিন হবোই হবো অমৃতের সন্তান... ঠিক এইভাবেই।


দেওয়ার থাকে শেষেও,

নেওয়ার থাকে শেষেও,

পাওয়ার থাকে শেষেও...... 

পরিশ্রমি প্রতীক্ষার পরে স্বপ্নকে ছোঁয়া যায় হেসে হেসে,

ঠিক এমনি করেই অবশেষে...... এইভাবেই।


পুরোপুরি শেষ বলে কোনো কিছু হয় না

একমাত্র এক একটা জীবন ছাড়া,

সবকিছুই সাড়া ফেলতে চায়.... কিন্তু!

সিন্ধু সিঞ্চনের ক্ষমতা ক'জনের থাকে....

ক'জনে পারে মুক্তো আনতে...... ঠিক এইভাবে!


এসো, যুক্ত থাকি তপস্যায়,

সব সমস্যায় হয়তো সমাধান মেলে না চটজলদি...

যেমন সব প্রশ্নের উত্তর;

মালপত্তর গুটিয়ে নিলে যেমন হয় না বিক্রি বাটা,

তেমনি হাত গুটিয়ে নিলে কাজ;

এসো লক্ষ্যে মনযোগী হই আরও বেশি বেশি,

আজ কাল পরশু...

পেশি ফোলানো বন্ধ হোক চিরকালীন;

কথা বলুক শিল্প...

সার্থক আর সুদক্ষ ম্যাজিসিয়ান হয়ে উঠি,

স্নায়ুর চাপ সহ্য করে দৌড়ে যাই... 

সে যত কঠিন হোক রেসই,

ঠিক যেমন মেসি...

স্বপ্নকে ছুঁয়ে দিই...... ঠিক এইভাবেই।

===

যতদূর হেঁটে গেলে সুর

অসীম দাস 


এখনও যে মন বোঝা বাকি 

পায়ে খিল , মনেও কি ধরে ?

অজান্তে ভুল উড়ে বসে 

রক্তের নীল চরাচরে ।


যতদূর হেঁটে গেলে সুর 

থিতু কথা গান হয়ে ঝরে ,

ততদূর ? তার ঠিক আগে 

ছুঁই ছুঁই সংশয় নড়ে ।


সম-মন মনে মনে হাসে

তাদের কি সব কথা জানি ?

অজানার ফুল ফোটে ভোরে 

বাকি রাত জীবনের ঘানি ।


ঢেকে রাখে বহু বহু মুখ 

কুয়াশার চাঁদোয়ার তল ,

আঁধারের দৃষ্টি সরালে

সেই সব স্বপ্ন সফল ।

====

 অধিক আলোর কুফল 

সরদার মুক্তার আলী 


তীব্র আলোয় ঝলোমলো

রাস্তার পাশে পোলে পোলে

লক্ষ্মী পেঁচা কিছু পাখি

খুলতে পারে নাকো আঁখি 

উড়ে বেড়ায় খাদ্যের খোঁজে। 


অন্ধকার ভালোবাসে

গাছের ডালে তার আড়ালে

বাসা বুনে সংগোপনে

ডিম পাড়ে ছানা উঠে 

মৃদু আলোয় চোখ ফুটে।


বসবাসে বিঘ্ন ঘটে 

তাই পালিয়ে যায় দূরে

এতো আলো ঝলোমলোয় 

দূর দেশের স্বপ্নে ছুটে।


আঁধার প্রিয় পাখিদের দল

হারায় তাদের শেষ সম্বল

পোকামাকড় আলোর ফাঁদে 

বাস্তুহারা, দিন রাত কাঁদে।


মানুষের আলোময় সখে

জীব বৈচিত্র সংকটে

তবু উদ্বেগ নেই একটুও

ভবিষ্যতে কি যে ঘটে!

====

পরিবর্তন বা বদল

অনিতা পাল চৌধুরী


পরিবর্তন বা সব বদল হলেই কি ভালো?? 

যত্রতত্র একই কথা বদলে যাওয়া দিনের সাথে পা মিলিয়ে চলো--

মা বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে ঠেলো, 

 কিন্তু ওঁদের সম্পত্তি নিতে কভু না ভুলো। 

আপনজনের মৃত্যু হলে RIP লেখো মোবাইলে

দায় সারা শোক প্রকাশ (!)দুনিয়াটা গেছে বদলে। 

ধর্মের নামে, ইংরেজি নববর্ষের আনন্দের জোয়ারে 

ভেসে যাও ভাসিয়ে নে যাও আবাল বৃদ্ধবনিতারে। 

পানশালা খোলা আছে পাঠশালায় তালা পড়েছে

ভাবনায় আচরণে বদল এসেছে। 

সর্ব অর্থে  ধনবান ক্ষমতাবানের আনন্দ অফুরান

সাথে ক্ষমতার আস্ফালন

কঠিন হউক লাখো মানুষের দিন গুজরান। 

রুচি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, কর্তব্য বোধ, শিষ্টাচার

ও সব বেশ পুরোনো  নেই কোন দরকার!! 

আসলে মূল্যবোধ হৃদয়ের অনুভব বদলেছে

চিত্ত হতে বিত্ত আর সাথে অহংকার বেড়েছে। 


বদল

বদল রূপান্তর পরিবর্তন সকলি যাবে না ফেলা

শুঁয়োপোকা থেকে প্রজাপতির পাখনা মেলা। 

আর যদি হয় মালা বদল প্রেমিক যুগল আনন্দে পাগল। 

বর্ষ ব্যাপী ঋতু বদল ফলায় যত ফুল ও ফসল

তবেই না জীবনধারা রয়েছে সচল । 

গুটিপোকা থেকে রেশম সুতি 

বিশ্ব জোড়া যার খ্যাতি

বরফ থেকে জল, জল থেকে বাষ্প

বীজ থেকে গাছ, কুঁড়ি থেকে পুষ্প। 

ভ্রূণ থেকে পূর্ণাঙ্গ শিশু, শৈশব কৈশোর

যৌবন পেরিয়ে পরিণত প্রাজ্ঞ মানুষ

এতো সবই  পরিবর্তনের বিবিধ প্রকার।।

===

চেতনা

বিপ্লব কংস বনিক


 রাজার রাজ্যে হাট বসেছে, 

জমেছে চেতনার বিকিকিনি


প্রজারা সব নিচ্ছি কিনে,

যে যেমন মগজ চিনি


ধর্মের পালকে সুরসুরি দেয়,

রাজ ধর্ম  মানা


শিক্ষা আনে চেতনা,

চেতনাই ধর্ম নিরপেক্ষতা

নয়তো অজানা,,,,

===

তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা

অজিত কুমার সিংহ


তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা।

গ্রীষ্মের দুপুরে,

আমরা সাড়ে সাত কোটি পরিবার

যুদ্ধ বিধ্বস্ত মাতৃভূমিতে 

রয়েছি দাঁড়িয়ে।

বিজয়ের বরমাল্য 

তোমার গলায় পরিয়ে দেব বলে।


তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা।

 আমরা অন্ধকারকে

 বারমুণ্ডা ট্রায়াঙ্গলে দিয়েছি পাঠিয়ে।

ও আর আসবে না ফিরে। 


তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা।

গ্রীষ্মের দুপুরে,

আমরা সাড়ে সাত কোটি পরিবার 

লাল সবুজের পতাকা 

হাতে নিয়ে;

শহীদ মিনারের পাদদেশে রয়েছি দাঁড়িয়ে।

বিজয়ের বরমাল্য 

তোমার গলায় পড়িয়ে দেব বলে।

====

ছাড়তে হবে

কৌশিক গাঙ্গুলি


মৃত্যু মুচকি হাসে, জীবন বলে অনেক হলো এবার যাই ।

ভালোবাসা মাখামাখি এই জগত সংসারে তোমাকে কি প্রয়োজন আছে?

 ভাবো কবি, এবার ছাড়তে হবে হৃদকমল ,ছাড়তে হবে চির ঠাই ।

কেবা স্বজন , কেবা ভাই ...

কেউ নাই, কেউ নাই ।

চোখের জলের আশা করো নাকো

শুকনো কথায় জীবন চলে না ।

তবু শুনতে হয় ,বেঁচে থাকার লড়াই চালাতে হয়

ক্লান্ত মুখে বলতে হয় ভালো আছি ।

তারপরে নড়বড়ে  শরীরটা   নিয়ে পথ চলার চেষ্টা, কত ক্রিয়া আর কত প্রতিক্রিয়া ।

কেউ  নেই ,কেউ থাকেনা পাশে চিরকাল ।

তবু অভিনয় করি সমাজের হাটে ।

যে থাকে পাশে সেও তো চলে যাবে একদিন ক্লান্ত গলায় করবে প্রত্যাখ্যান ।

ভালোবাসা মাখামাখি এ সংসারে আছে কি তোমার প্রয়োজন ?

না হলে চলো সেই পথে ,অনন্তে ।

ছাড়তে হবে হৃদকমল, ছাড়তে হবে চির ঠাঁই ।

কেউ নাই, কেউ নাই ...

====

বিষ খোঁজেনা মন !!

শক্তি কুন্ডু 


আদরে যে ভেজাল থাকে

বুঝেও কিছু বললো না সে...

সে মুহূর্ত সুখ নষ্ট করতে চায়না

তার মন ডুবিয়ে বিষ খোঁজাতে 

আপত্তি...!


একেই সোহাগের অভাব চারপাশে,

তারপর তাতে সন্দেহ এঁকে 

বিবর্ণ ছবি করা ...বড্ড দুঃখের!


যদি ও তার জীবনের দুঃখরা

 বাসি হয়না কখনো,

সর্ব সময়ই টাটকা থাকে !


তবু যন্ত্রণা ছিড়ে চিন্তায় লাগাম দিয়ে 

মেকি আদরে মন ডোবায়

 কখনোসখনো ,


তার মায়ের মৃত্যুর পর আপনজন কথাটার 

অর্থ...

 তার কাছে বিলীন হয়ে গেছে...!


সে সারাদিন নানান মুহূর্তে শব্দ কুড়োয়

আর কবিতার দেহে কোলাজ করে,

শব্দরা ভিড় করে আসে তার পাশে!

ভালো মন্দ সব শব্দ ,

হাত বাড়ায় তারা ,


সে ইচ্ছে মতন ভালোবেসে তাদের পাশে বসায়!

তারপর যাদের মনের মতন মনে করে

তাদের সাথে মুহূর্ত কাটায়...

সেই সুখে সে কখনো

ভেজাল দেখেনি ৷৷

=====

 সামাজিক রীতি 

 সুজিত চক্রবর্তী 


      যে ছেলেটি ছাত্রাবাসের অন্ধকার ঘরে বসে মনে মনে স্বপ্ন দেখত একদিন সে ঠিক ' আরব বেদুইন ' হবে , সে আজ ঘোরতর সংসারী এবং নিজের সংসারের বাইরে আর কারো কথা ভাবার মতো সময় তার নেই । আরব বেদুইন তো অনেক দূরের কথা , উইক-এন্ড ট্রিপে শহর ছেড়ে কাছেপিঠে কোথাও যেতে হলেও আজ পঞ্চাশবার ভাবতে হয় তাকে। 


          যে মেয়েটি প্রথম যৌবনে তার প্রেমিকা ছিল আর মনে মনে ভবিষ্যতে নিজের সংসার হ'লে সেখানে অনেক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে বলে মনে মনে তৈরি হচ্ছিল সেই সময়ে , সে আজ ভীষণ ভয় পায় যে কোনও রকম পরিবর্তনকেই ! এখন সে মনে করে এসব অল্পবয়সী ছেলেমানুষি চিন্তা ছাড়া আর কিছু নয়। অতএব, " চলো নিয়মমাফিক ... ! "  তার নিজের অন্তরে সে এখন নিজেকে ক্রমাগত শাসন করে চলেছে , প্রতিনিয়ত ইচ্ছাকে দমিয়ে রাখছে এই বলে : মেয়ে বড় হ'চ্ছে যে !  


            ভালো মন্দ যাই বলুন না কেন , এ সমাজে প্রচলিত জীবনযাপনের এটাই তো রীতি । কইমাছ একসময় তার ঝাঁকে মিশে যাবে এটাই তো স্বাভাবিক! কারণ , অরণ্যে একলা বনস্পতি বাঁচে না । সেই কারণেই নিয়মিত নিয়ম মেনে চলতে হয় আমাদের , তাতে মানুষ সুখী হয় সেকথা আমরা সবাই জানি এবং মানি । তাই ' সব্বাই করে বলে সব্বাই করে তাই ' । 


                 এইসঙ্গে আর একটা প্রশ্ন এসে পড়ে : 

কেন এমন হয় ? এর উত্তরে আবার সেই কথাটাই ঘুরে ফিরে আসে : এটাই দস্তুর ! শুরুতে হয়তো একটা দুশ্চিন্তা ঘোরে আমাদের মাথায়, যা হয়তো  আমাদের যেমন অনেক কিছু করতে বাধ্য করে আবার ঠিক তেমনি ভাবেই অনেক কিছু করতে বাধা দেয়। সেটা হলো "পাছে লোকে কিছু বলে ! " মেয়েদের  মধ্যে এই বাধা অনেক বেশি হলেও  এ সমাজের পুরুষরাও যে এর দ্বারা প্রভাবিত হয় এমন  উদাহরণ আমি  অনেক দেখেছি।


                 তবে , একটা কিছু লিখে ফেলা বা মুখে বলে দেওয়া যতটা সহজ , জীবনে সেটা করে দেওয়া তো ততটা সহজ নয়।  সুতরাং , সাধু সাবধান ! তাই মনে পড়ে সেই পুরনো কথা, ছাত্ররা সূর্য গ্রহণের কারণ সম্বন্ধে বইয়ে পড়ে এবং তা লিখে পরীক্ষায় পাস করে । কিন্তু , সূর্য গ্রহণের  সময় শাঁখ বাজিয়ে সূর্যকে রাহুর গ্রাসমুক্ত করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এর অর্থ এই যে , আমরা স্কুল কলেজে যা শিখি , তা কেবলমাত্র পরীক্ষা পাস করার জন্যে এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে তার তেমন একটা যোগসূত্র নেই ! আর এটাও আমদের সমাজের প্রচলিত নিয়ম , যাকে লঙ্ঘন করে বাঁচা সম্ভব নয় বলেই আমরা স্বীকার করে নিয়েছি ।

====

 কবিতারা বেঁচে থাক

ইকাবুল সেখ


তোমার কন্ঠে কবিতারা প্রাণ পাক.....

আমি ধূলিসাৎ হয়ে যায়।

তোমার হৃদয়ে কবিতা গুলো বেঁচে থাক,

আমি অমরত্ব চাই না...

আমি ভয়ংকর ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে

মৃত্যু সাথে দলিল সাক্ষর করতে চাই।

আমি ছোঁয়াচে দোষী হতে,

মানুষ যাতে আমার কাছে না আসুক।

আমার জন্য মানুষের অপেক্ষায় না থাকুক

কোন মাথাব্যথা না থাকুক।

মানুষ মাঝে থেকে নিরবে

মাটির ঘরের বাসিন্দা হতে চাই।

=====

বল্কল দাও বৃত্তে বনবাসী

অসীম দাস 


বয়সে অভ্যস্ত নই , বৃত্তে বনবাসী 

সময় , বল্কল দাও , অস্থি ছেড়ে আসি ।


অভিন্ন গল্পে অল্প জ্বেলেছি অরণি 

শীতল শৈবাল শোকে প্রস্তর করোনি ।


গতানুগতিক দৃশ্যে পোড়ে পরমায়ু 

আমার মাচান- মন্ত্রে মৌসুমী বায়ু ।


যদিও সংসারী শ্বাসে পৌরাণিক ভীড়

অন্ত্যমিলে মনে মুক্ত বনলতা নীড় ।


পেয়েছি অক্ষর প্রেম প্রকৃতি প্রসাদে 

আভূমি প্রেমিক প্রস্থে , মধু পরমাদে ।

=====

অধরা

অনিরুদ্ধ দত্ত


কে তুমি আর্যা? তোমার জ্যোতি ছটায়

আমার অস্তিত্ব হারিয়ে যায়!আমার অস্তিত্বে,

আমার হৃদয়ের অন্তঃস্থলে তোমাকে 

আবদ্ধ করার চেষ্টা করেছি, পারি নি,

জল-স্থল,অন্তঃরীক্ষে সর্বত্র তোমায় খুঁজেছি,

পাই নি ,গভীর রাত্রে নিঝুম নিস্তব্ধতায় তোমাকে 

ভাবার চেষ্টা করেছি,আমার চেতনার জালে 

তোমাকে আবদ্ধ করার চেষ্টা করেছি;

 ছটফট করতে করতে আমি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন 

হয়ে গেছি;তুমি তো সর্বরূপে সর্বত্র বিরাজমান!

তাহলে কেন পারি না আমি তোমায় ধরতে?

হে মহামায়া,জানি তোমার ওই অসম্ভব 

তেজস্বিনী নারীশক্তি স্বর্গীয় প্রেমে ধরা দেয় !

কিন্তু আমি তো এক সামান্য মানুষ;যেখানে 

ক্ষুধার জ্বালা আছে,তৃষ্ণা আছে,লোভ-কাম, হিংসা-বিদ্বেষ আছে, বলো তুমি আমায়- তুমি 

কি শুধুই মহামানবী ?সাধারণ মানবীর মধ্যে  কি 

তোমার কোনো অস্তিত্ব নেই?আমার বয়ঃসন্ধিক্ষণের

প্রেমে,আঠারো বছরের দুঃসাহসী প্রেমে তুমি তো 

ধরা দাও নি;আজ যখন জীবন যুদ্ধের মধ্য গগনে,

তখন তুমিই বলো- হে মহামানবী,আমার প্রেমের

 কোন্ সাধনায় তুমি আমায় ধরা দেবে?আমি তো 

মহাপুরুষ নই,আমার পূজার ফুলকে তুমি‌ই 

পারবে স্বর্গীয় প্রেমে রাঙিয়ে আমায় দিতে,সেই 

ফুল দিয়ে আমি,তোমায় অঞ্জলি দেবো, তুমি‌ই

আমার হাতধরে নিয়ে চলো সেই অনন্ত মহাশূন্যে! 

যেখানে প্রেমের গভীরতায় তলিয়ে যাবো, নিশ্চিহ্ন 

হয়ে যাবো মহাকালের অনন্ত মহাসমুদ্রে!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

  1. সুন্দর পরিবেশন।
    মন ভরে গেল।
    প্রত্যেকটি লেখা সুন্দর।
    সম্পাদক মহাশয়ের নির্বাচন অতি দক্ষতার পরিচয় বহন করে।

    উত্তরমুছুন