পোস্ট বার দেখা হয়েছে
দেবী স্বরস্বতী
শরণ্যা
কদিন পরেই বসন্তপঞ্চমী!বাগদেবীর আরাধনায় মাতবে বাঙালি।তবে দক্ষিণ ভারতেও ময়ূর বাহণা সরস্বতী এবং জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মে এই দেবী পুজিতা হন।
তবে অনেকেই জানেন না,মা সরস্বতীর জন্ম কী করে?
সরস্বতী যে ব্রম্হার মানস কন্যা,তা সকলেই জানেন।কিন্তু তার মাতা কে তা কি কেউ জানেন?
আসলে ব্রম্হা ও বিষ্ণুর মধ্যে যখন বিবাদ বাঁধে তখন শিব আলোক রশ্মির রূপ ধরে তাদের বোঝান যে শিবের চেয়ে বড়ো কেউ নয়।
কিন্তু ত্রিদেবের মনে প্রশ্ন আসে তাদের সৃষ্টি করে কে।তখন দেবী মহাকালি প্রকট হন।দেবীর কালো রূপ দেখে শিব মোহিত হয়ে পরেন,বিষ্ণু ভয় পান এবং ব্রম্হা বলে মুর্খের মতো ওঠেন,ইনি আমার মাতা হতেই পারেন না।
মহাকালি থেকে তিনটি রূপ সৃষ্টি হয়।বিষ্ণুকে মহাকালী দেন মায়ার ও সৌন্দর্য এর দেবী লক্ষ্মী,শিব পান প্রেমের দেবী সতীকে এবং ব্রম্হাকে দিলেন বিদ্যা ও বুদ্ধির দেবী সরস্বতী।মহাকালি বলেন,এরাই তোমাদের সহধর্মিনি,পরবর্তী কালে এদের সাথে তোমরা মিলিত হবে।
দেবীর সরস্বতীর দেহের সৃষ্টি হয় ব্রম্হার মুখ থেকে।ব্রম্হা নিজের জন্মের পরে ধ্যানে বসেন।ধ্যান দ্বারা তিনি নিজের সকল ভালো গুন একত্রিত করেন।সেই সমস্ত ভালো গুন এক হয়ে নারীর রূপ নেন,সৃষ্টি হয় বাগদেবীর।
ব্রম্হার সাথে সরস্বতী সর্বক্ষণ থাকলেও তার স্ত্রী নন।
একটি অনুষ্ঠানে ব্রম্হার পাশে সঠিক সময় উপস্থিত হতে পারেন নি।তাই ব্রম্হা গায়েত্রী নামের নিজের অন্য এক স্ত্রীর সৃষ্টি করেন।তাই সরস্বতী ব্রম্হাকে শাপ দেন,ত্রিদেবের অন্যতম হলেও তিনি পৃথিবীতে বেশি পূজিত
হবেন না।
এরপর তিনি চলে যান পাতালে।ব্রম্হা নিজেকে শাপ মুক্ত করতে চান এবং একটি শিলা পৃথিবিতে ফেললেন।সেটি পড়ল চমৎকারপুরে।
এরপর তিনি সরস্বতীকে আহ্বান করেন।সরস্বতী বলেন,আমি লোকস্পর্শে থাকতে ভয় পাই,তাই থাকি পাতালে।
তখন ব্রম্হা একটি নদী তৈরী করেন,সরস্বতী সেখানে বাস করতে থাকেন।
এভাবে পৃথিবীতে সরস্বতী দেবীর স্থাপন হয়।
0 মন্তব্যসমূহ