পোস্ট বার দেখা হয়েছে
মহাদেবের সংসার
শরণ্যা
ত্রিদেবের অন্যতম মহাদেব।মহাদেব পৃথিবীর সমস্ত অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটান বলে তিনি ধংসের দেবতা বলেও পরিচিত।তার স্ত্রী একজনই মহামায়া,যিনি পার্বতী ও সতী রূপে মহাদেবেকে বিয়ে করেন।মহাদেবের সন্তান বলতে আমরা জানি শুধু কার্তিক ,গনেশ,লক্ষ্মী ও সরস্বতী।
কিন্তু বেশ কিছু ঘটনার মাধ্যমে বোঝা যায়,যে ত্রিদেবীর অন্যতম লক্ষ্মী ও সরস্বতী পার্বতীর সখী(আমার পোস্ট করা দেবী স্বরস্বতীতে ব্যাখ্যা পাবেন)।
তবে আসুন জেনেই নিই যে মহাদেবের বাকি সন্তান কারা?
আয়াপ্পা
ভস্মাসুরকে বধ করতে শিবের সাথে পরিকল্পনা করে বিষ্ণু মোহিনী রূপ নেন।মোহিনী ও শিবেরই বরপুত্র আয়াপ্পা,ইনি দক্ষিণ ভারতে পূজিত।
অন্ধক বা অন্ধকাসুর
একবার মজার ছলে পার্বতী শিবের চোখ ঢেকে দেন।ফলে জগৎসংসার অন্ধকার হয়ে যায় ও দেহে বিশাল তেজ সৃষ্টি হওয়াতে মহাদেব ঘামতে শুরু করেন।এই ঘাম থেকে অন্ধক নামে এক অন্ধ শিশুর জন্ম হয়।হিরণাক্ষ পরে সাধনায় মহাদেবকে তুষ্ট করে অন্ধককে পুত্র হিসেবে পান।পরে মহাদেবের হাতেই সে বধ হয়।
অঙ্গারক
এনাকে মঙ্গল গ্রহ হিসেবে চেনা যায়।একবার সুকেশ নামক এক অনাথ বালককে দেখে পার্বতীর মায়া হয়,তাই মহাদেব তাঁকে পালিত পুত্র হিসেবে গ্রহণ করে।
অশোকসুন্দরী
পার্বতী নিজের একাকিত্ব দূর করতে চাইলে কামনাপূর্ণকারি কল্পতরুর থেকে এনার সৃষ্টি।অশোকসুন্দরী মানে শোক দুর করা এক সুন্দরী।ইনি বালাত্রীপুরাসুন্দরী নামে দক্ষিন ভারতে পুজিতা।
মনসা
ইনি শিবের মানস কন্যা।শিব সমুদ্র মন্থনের সময় শিব যে বিষ পান করেন,সেই বিষ থেকেই জন্ম হয় মনসাদেবীর।ইনি একজন স্বর্পদেবী।
এই হল মহাদেবের সংসার।এছাড়া সমগ্র বসুন্ধরাই তার সন্তান,তিনি সবার ভোলে বাবা।
*****************
মায়াবী স্বপ্নের দুনিয়া লাদাখ
Tg Roy
:::: অর্বাচীনের মূখবন্ধ ::::
বছরে একবার, এমন জায়গায় যান যেখানে আপনি আগে কখনো যাননি | পৃথিবী একটি বই এবং যারা ভ্রমণ করেন না তারা একটি মাত্র পৃষ্ঠা পড়েন |
বিশ্ব সাহিত্য জগতে সর্বশ্রেষ্ঠ বলে যদি কেউ থেকে থাকেন তাহলে সেটা অবশ্যই আমাদের সকলের প্রিয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | তাঁর লেখা অসাধারণ সব কবিতা ও গান, আজও প্রত্যেকটা বাঙালীর সমানভাবে মন কাঁড়ে | তিনি শুধু একজন শ্রেষ্ঠ গল্পকারই ছিলেন না, সেইসাথে ছিলেন একজন ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিকও |
||《পথিক মেঘের দল》||
|{{ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর }} ||
পথিক মেঘের দল জোটে ওই শ্রাবণগগন-অঙ্গনে।
শোন্ শোন্ রে, মন রে আমার, উধাও হয়ে নিরুদ্দেশের সঙ্গ নে॥
দিক্-হারানো দুঃসাহসে সকল বাঁধন পড়ুক খসে,
কিসের বাধা ঘরের কোণের শাসনসীমা-লঙ্ঘনে॥
বেদনা তোর বিজুলশিখা জ্বলুক অন্তরে।
সর্বনাশের করিস সাধন বজ্রমন্তরে।
অজানাতে করবি গাহন, ঝড় সে পথের হবে বাহন--
শেষ করে দিস আপনারে তুই প্রলয় রাতের ক্রন্দনে॥
ভারতের মানচিত্রের একেবারে উত্তরপ্রান্তে অবস্থিত প্রকৃতির অপরূপ সৃষ্টি লাদাখ যেন এক স্বপ্নের দুনিয়া। জম্মু-কাশ্মীর বা হিমাচলপ্রদেশ যে দিক দিয়েই যান না কেন, গ্রেট হিমালয় বিভাজিকা পেরিয়ে লাদাখে প্রবেশ করতে হবে।
লাদাখের চারপাশ ঘিরে রয়েছে জাঁসকার, লাদাখ ও কারাকোরাম— এই তিন গিরিশ্রেণি। দিল্লি থেকে নিয়মিত বিমান যাচ্ছে লাদাখের প্রধান শহর লেহ্-তে। সড়কপথেও লেহ্ যাওয়া যায় শ্রীনগর (৪৩৪ কিলোমিটার) ও মানালি (৪৭৩ কিলোমিটার) থেকে। এই দুই সড়কপথই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। পাহাড়ি রুক্ষ সৌন্দর্য লাদাখের প্রকৃতির প্রধান বৈশিষ্ট্য। একাধিক সরোবর, দুর্গম গিরিবর্ত্ম, বিস্তৃত উপত্যকা এখানকার প্রকৃতিকে আরও সুন্দর করে তুলেছে।
লাদাখের মায়াবতী প্রকৃতির কোলে রাত কাটানোর জন্যে রয়েছে নানা মানের বিলাসবহুল সুইস ক্যাম্প। ক্যাম্পে রাত কাটানোর মজাই আলাদা। সমস্ত সুবিধাই মিলবে সেখানে। অ্যাটাচড টয়লেট, ডাইনিং ক্যাম্প, অক্সিজেনের ব্যবস্থাও রয়েছে।
মানালি, শ্রীনগর থেকে লেহ্ যাওয়ার পথেও ক্যাম্প রয়েছে কয়েকটি জায়গায়। যার মধ্যে মানালি-লেহ্ রুটের সারচুতে ক্যাম্পগুলোর অবস্থান অনবদ্য। লেহ্ শহরের বাইরে সিন্ধু নদের তীরে পালাম গ্রাম লাগোয়া ক্যাম্পগুলো দেখলেই মনে হয় একরাত এখানে কাটাই। ক্যাম্প থেকে হাঁটাপথের দূরত্বে সিন্ধু নদ। তার দু’পাশে সবুজ গাছগাছালি ছায়া মেলেছে।
লেহ্ শহর থেকে দৃশ্যমান স্তোককাংড়ি হিমশৃঙ্গ। লেহ্-তে দেখবেন মেমো ফোর্ট, শান্তি স্তূপ, জামিয়া মসজিদ, শঙ্কর গুম্ফা, হল অব ফেম মিউজিয়াম। স্পিতুক গুম্ফা, শেহ্ প্রাসাদ, স্টাকনা গুম্ফা, থিকসে গুম্ফা, হেমিস গুম্ফা, সিন্ধু দর্শন ঘাট, স্তোক প্রাসাদ, নদী সঙ্গম প্রভৃতি দ্রষ্টব্যগুলো এই শহরের বাইরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
লেহ্ থেকে ১৫৪ কিলোমিটার দূরে বিখ্যাত প্যাংগং হ্রদ। চাংলা গিরিবর্ত্ম হয়ে পৌঁছবেন বিশালাকার সেই হ্রদের সামনে। হ্রদের তীরে স্পাংমিক গ্রামে হ্রদমুখী একাধিক সুইস টেন্ট পাতা রয়েছে রাত কাটানোর জন্যে। কয়েকটি তাঁবুতে এলাহি ব্যবস্থা।
তাঁবুর বারান্দায় বসে হ্রদের জলে রংবদলের খেলা দেখতে দেখতে সময় গড়িয়ে যায়। লেহ্ থেকে ২৪০ কিলোমটার দূরের সো মোরিরি হ্রদ লাগোয়া কোরজোক গ্রামেও তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।
লাদাখের আর এক মায়াবী রূপ দেখতে চলুন ১২০ কিলোমিটার দূরে নুব্রা উপত্যকায়। লেহ্ থেকে খারদুংলা গিরিবর্ত্ম পেরিয়ে সেখানে পৌঁছবেন।
এখানে সাদা বালির উপর থাকার জন্যে নানা মানের সুইস ক্যাম্প রয়েছে। উপত্যকার গা ছুঁয়ে ঢেউ খেলানো কারাকোরাম পর্বতমালা। লাদাখের সব ক্যাম্পেই ভাড়ার সঙ্গে খাওয়া খরচ ধরা থাকে।
■ A bohemian Traveler's Experience Of:
■Tushar Kanti Guha Roy (TG Roy)
0 মন্তব্যসমূহ