পোস্ট বার দেখা হয়েছে
My Balloon
Ms Gargi Saha (C)
I love my balloon
My big balloon
My blue balloon
My ball balloon
How playful it is
Without it something I miss
The joy, the gaiety
The buoyancy and elasticity
The spur of celebration
The moment of glorification
Of excitement and passion
Relieved me from the tensions
My burlesque balloon
My brisk balloon
My bright balloon
My brilliant balloon
The balloon flew up into the air
Songs of festivity in their full blare
It is in itself the joy, cheer and pleasure
Unmisted by the sorrows or materialist treasures.
**********
জানলাটা খোলা আছে বলেই
মনোজ কুমার রথ ( শ্রীমান অকুলীন)
এতো আঁধার,
সম্মুখীন এতো বাধার!
গোলকধাঁধার মতো পথে তবু হেঁটে চলেছি
তোমার জানলাটা খোলা আছে বলেই...
জানলে তুমি দেখবেই,
দেখলে তুমি ডাকবেই,
চেনা নামটি ধরে হাঁকলে তুমি আমি আসবোই...
সম্মুখে এলে দরজা খুলবেই তুমি,
জানি ওগো সুচন্দ্রিমা...
তরজা চলছে মঞ্চের পর মঞ্চে,
সভার পর সভায় কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি একে অন্যের দিকে!
ক্রমশ ফিকে হয়ে যাচ্ছে সামাজিক সম্পর্ক...
তবু এখনও কী সুন্দর টিকে আছে
আমাদের মধুপর্কের মতো আত্মীয়তা!!
তুমি আলো দাও,আমি হাঁটি,
তুমি মাটি দাও,আমি খাটি,
তুমি খুলে দাও সদর দরজা,
তোমার পরিপাটি উঠোনে
একটা কৃষ্ণচূড়া আর একটা রাধাচূড়া গাছ পুঁতে দিই এক্কেবারে পাশাপাশি...
অতঃপর সুনিশ্চিত হবে প্রগাঢ় ভালবাসাবাসি...
আমরা বানের জলে ভেসে আসিনি কেউই,
পরিচয়পত্র দাখিলের প্রয়োজন পড়বে না কখনও
তাও জানি...
তবু অপেক্ষা! বানভাসি হওয়ার পারস্পরিক প্রেমে...
নেমে গেলে পর্দা,
হাত দিয়ে ভালো করে সরিয়ে দিও একটু...
তোমার চাঁদমুখ থেকে আলো এসে পড়েছে
ধানসেদ্ধ করা হাঁড়ির পিছনের কালির মতো পথে!
মঠের সন্ন্যাসীরা বাৎসরিক অনুষ্ঠানের পর
চাঁদার অর্থ আর খরচের হিসেব করছে,
মরচে ধরা হাড়ে শেষের দিন গুনছে
প্রবাসী ছেলের চোখে স্বপ্ন দেখা দম্পতি...
অতিসম্প্রতি ছ'বছরের কন্যাশিশুর শ্লীলতাহানির পর পাওয়া গেল বস্তাবন্দি দেহ!!
এ'দিকে মধুমেহতায় ভুগছে চল্লিশ পেরুনো প্রায় সবাই!
তবু আমি হাঁটছি
তোমার জানলাটা খোলা আছে বলেই......
জানলা শুধু আলো বাতাস ঢোকার জন্যেই নয়,
বেরুনোর জন্যেও...
আর অতিথির আগমন দেখার জন্যও।
**********
জীবনের জিনযানে ক্লোরোফিল খনি
অসীম দাস
জীবনের জিনযানে ম্যারাথন মশালের মুঠি ধরে আছি
চেতনার ধ্রুবচোখে ফুটে আছে বসন্তের বিশুদ্ধ বনানী
সামরিক শাসনের হিরণ্য গর্জন
বারবার ভেসে যায় প্রহ্লাদ জলে
গণতন্ত্রের স্বৈরতান্ত্রিক গিলোটিন গিলে
আহত সভ্যতার মূলে
সত্য বিরুদ্ধ স্বর জোটবদ্ধ হয়
শোকের মিছিলে হাঁটে সারি সারি মেঘের মুকুল
সূর্যের বীজে আছে প্রত্যয়ের ক্লোরোফিল খনি
ফ্যাসিবাদী তর্জনী ফুঁড়ে লাল হলুদ ব্যারিকেড ভেঙে
এক হেমন্ত হেমলক সবুজের বৃষ্টি নামাবে
যাবতীয় নামতার কূট কোলাহল
পুড়ে পুড়ে ঝামা হবে সময়ের সভ্য ভাটায়
আপাতত কবিতায় সেইসব স্বপ্নের জন্ম প্রতীক্ষায়
****************
চাঁদের দেশে
কে দেব দাস
ওগো-
চাঁদের দেশের রাজকুমারী,
তোমার রূপের; জগৎজোড়া খ্যাতি।
পড়েছ কানে-
তারার দুল-গলায় চন্দ্রহার।
দিনে দিনে-
বাড়ছে তোমার রূপের ই বাহার।
মিলন পিয়াসী-মন যে তোমার,
চাঁদের পানে; ছুটছে দুর্নিবার!
••
ও চাঁদ -
এলে যখন মোর দুয়ারে,
ফিরে তুমি-
যেও নাকো-রুপ সাগরের পাড়ে;
ক্ষণিক না হয় রইলে মোর গেহে।
তোমায় পেয়ে;
আর জনমের-স্বপ্ন আমার হলো পূরণ।
অশ্রুশিক্ত নয়নজলে-
ধুয়ে দেবো তোমার ঐ, রাতুল চরণ।
********
দ্বার ও দ্বারিক
শৌভিক গাঙ্গুলী
বন্ধ করার ঠিক আগে, কিছুটা খোলা ছিল দ্বার।
একপাশে মাথার ঠিক ওপরে আঁধার টা পিঙ্গল না হলেও বেশ কিছুটা হরিদ্রাভ।
সোজা রাস্তার শেষে হলদেটে আলোর ধোঁয়াশা
দ্বার খুলে কোনদিন ভেতরে আসতে চায়নি!
দ্বার খুলে কি ঘরে যাওয়া গেছিল?
জনপদ জুড়ে আবছা জিজ্ঞাসা মাথা ঘুরিয়ে
আবার হেঁটে হেঁটে বেরিয়ে গেছে মনে মনে অসুস্থ বিশ্বাস নিয়ে,
"কাঠের বাড়িতে নেমে এসেছে গর্ভবতী রাত।"
অধীর আগ্রহে অপেক্ষার প্রহর গোনে অমাবস্যা কাটানো চাঁদ, "স্পর্শ চাই, দ্বার খোলা না পাই"।
বসতির বাতি ঘোমটা ঢেকেছে, নিভৃতে ছোট গলিগুলো। মন খারাপের সন্ধ্যায় রাত অবধি চলে বৃষ্টির টহল ।
তবু, পিছুটান আছে বলে,
তল্লাশি চালিয়ে যায় খুনের আগের অ্যনালগ মন।
স্যাঁতসেঁতে জনহীন প্রেমের হলদে পাতায়
বিশ্বাস-অবিশ্বাসে আজো দ্বিধা বিভক্ত
দ্বার ও দ্বারিক।।
0 মন্তব্যসমূহ