পোস্ট বার দেখা হয়েছে
দৈনিক
অসমাপ্ত ইতিহাসের পান্ডুলিপি বেয়ে
নিকোটিনে বিষন্ন রাত
হাঁটু ভাজ করে ছায়া রা বসে আছে
গাছেদের প্রকাশ্য সমাবেশে—
একদল ক্ষিদে ঘুমিয়ে পড়েছে ছায়াদের মাঝে—
আমার কবিতা এখনো স্বাবলম্বী হতে পারে নি
ক্ষিদের পরের শব্দ খোঁজে দলাপাকা রাতে,
কেড়ে নিতে শেখে নি বলেই
নদীর গভীর চিবিয়ে খায় হাঙরের চোয়াল
উচ্ছিষ্ট ভাগ করে নেয় গলির আড্ডা !
বাদামের খোসার মতো উড়ছে টুকরো সংবাদ
পরন্ত বিকেল আজও কবিতা লিখতে পারে নি।
********************
আতশকাচে
ঘরের অন্ধকারে অগোছালো শব্দ,
দেওয়াল থেকে খসে পড়ছে
অনামিকা হাসি—
কৃষ্ণচূড়ার মতো লাল রং
নিঃশ্বাস বেয়ে নরম ঠোঁট,
আর দেওয়াল-ঘড়ি !
মৃত্যু রা জোনাকির সাথে এলোমেলো —
কাঁচা রোদের কবিতা গুলো পুড়ে যাচ্ছে
নক্ষত্রের গুঁড়োতে মৃত্যুহীন ক্ষিদে
গাছেদের সমাবেশে মুখ থুবড়ে ছায়া রা !
************************
কুয়াশা
যা বলা হয় নি তখনো —
নিছক শব্দের কোলাহল !
নিতান্ত অবহেলায় বাষ্প ঘর
মাকোড়সার জালে
বুনো অন্ধকার গন্ধ—
তবু বাঁচার নিঃশ্বাস।
নিষিদ্ধ আস্তরণে খসে গেছে
একান্তে পাখির রঙিন পালক।
তৃষ্ণার গভীরে না বলা —
রাত্রি কালোয় রইলো পরে
বর্ষা চোখের সত্য গোপন ।।
*****************
স্পন্দ
চোখের ভাষায় বৃষ্টি ছিল
বিন্দু গভীরে দেখেছি
আর্তনাদের মৌন তরঙ্গ !
গভীরে জ্বলুক ভিসুভিয়াস
দৃষ্টিতে বসন্তের প্রতিধ্বনি
আর সীমানা হীন সবুজ নিঃশ্বাস ।।
**********************
বেশ্যা ও সংবাদ প্রতিদিন
ক্যামেরার লেন্সে টুকরো নগ্নতা
গলি থেকে রাজপথ সজ্জিত সংবাদ
গোপন জবানবন্দি ধর্ষিত মুহূর্ত গুলো,
বদ্ধ আসরে ক্রেতা-বিক্রতার আপোস সময়—
সভ্যতার নাভিতে পুড়ছে নিহত লজ্জা !
চোখের দূরে মুক্ত আকাশ—
মুখোশের আড়ালে দালানের ঘড়িতে
প্রতিবাদ হীন নিভন্ত আলো ক্ষতবিক্ষত
লাঞ্ছিত সংবাদহীন নারী-দিবস !
নীরব শূণ্যে শুধু আবরণ হীন ইচ্ছে গুলো
পাখির ডানার মতো আকাশ বেয়ে—
দেয়ালের ফাটলে জমে আছে
তৃষ্ণার আর্তনাদ আর ব্যথার স্বাধীন চিৎকার !
শহীদ বেদি তে অরণ্য সংলাপ
মোমবাতির শিখা বেয়ে গলছে।
0 মন্তব্যসমূহ