দর্পণ || মুক্ত গদ্য সংকলন || পর্ব -২




পোস্ট বার দেখা হয়েছে

প্রেমাঙ্গন

 শান্তি দাস


কল্পনায় আঁকি ভালোবাসার কত ছবি তোমার ,

তোমার সাথে হয়তো দেখা হয়নি কখনো। 

রাঙানো আলোয় মনে জেগেছিল ভালোবাসা, 

গোধূলি বেলায় মেঘের আনাগোনা প্রেমাঙ্গনে মিলন। 


মনে মনে বলছি শুধু ভালোবাসো একটি কথা, 

তোমার চোখে যেন নেমেছিল অশ্রু বারিধারা। 

পেতাম যদি এমন দিন তোমার দেখা সেই বাসনা, 

তোমায় রাঙিয়ে নিতাম কল্পনার রঙে এক অদ্ভুত অনুভূতি। 


মেঘ কেটে গোধূলির রক্তিম আলোয় তোমার মুখখানা, 

তোমার ভালোবাসার ছবিতে আলোয় আলোকিত। 

ভুল বুঝে যেওনা কাছে থেকে  সরে প্রেমের মধুর মিলনে, 

পারলে আনন্দে ভরে দিও আমায় মনটা জড়িয়ে।


ভালোবাসার এক হবার স্বপ্ন আজ দুটি মনে, 

মলিনতা কাটিয়ে দেবো যত মনের কালো। 

সফল কি হবে সব ভাবছি এত কথা আজি, 

ভুলটায় থাকুক না হয় রাখবো মনে ধরে। 


পেলাম যখন তোমার দেখা আজ প্রেমাঙ্গণ আলোয় ভরা, 

কল্পনাতে ভরিয়ে রাখি সুক্ষ একটা রেখা। 

আকাশ কুসুম মনের ভাবনাগুলো কেবলই জলছবি,

হোক বা না হোক সত্যি শুধুই কেবল ভাবি৷

*************

মহারাজ একি সাজে

শান্তা সরকার


সে আসে বিষন্নতার পাতলা কুয়াশা সরিয়ে-রঙিন আবেশের উতলা উচ্ছ্বাসে। যে চোখে ছলোছলো কান্না থমকে ছিল সে চোখে আনন্দ আলোর দ্যুতি চমকে ওঠে বারেবারে।

শিমুল-পলাশ-কৃষ্ণচূড়ার আবিরে রাঙিয়ে দিতে,জুঁই-মালতী-গন্ধরাজের আবেগে আবিষ্ট করতে,কোকিলের কুহুরবে হৃদয়ের আনন্দ চঞ্চলতায়  বেদনা মাধুরীর একটি তার জুড়ে দিতে,হঠাৎ দক্ষিণা বাতাসে মন এলোমেলো করে দিতে তার দুর্বার আবির্ভাব। 

চেনোনা তাকে? ---- সে যে নবীন কিশোর।  যার অমলতাসের ঘুঘুরবাঁধা পায়ের ছন্দে পুলকিত পৃথিবীর  ধূলিকণা,মাথার উষ্ণীষে যার আম্রমুকুলের নব মঞ্জরী,কনকচাঁপা অঙ্গে উদাসী হাওয়ার উত্তরীয়।--কাঞ্চন- কুরচি কুসুম -জুঁই-'পলাশ-মনিমালা-

মহুয়া মুচকুন্দ-শাল-শিমুল-ক্যামেলিয়া--এমন-কত ফুল যে রাঙিয়ে যায় তার উত্তরীয়।

ধীরে ধীরে তার 

চঞ্চলতা স্তিমিত  হয়ে আসে, ক্রমশঃ গভীর  গম্ভীর হয় তার উপস্থিতি।

আন্দোলিত বৃক্ষশাখা হয়

ফুলভারে অবনত, আম্রমুকুলের তীব্র সুবাস অমৃত ফলের রস সাগরে হয় অবলুপ্ত।সমস্ত বনভূমির কিশলয় গাঢ় সবুজ পর্ণে ঝলমল করে ওঠে।মহারাজের আবির্ভাব  পরিপূর্ণ  হয়।

চেনোনা তাকে?

পাখিরা কলকন্ঠে যার  বন্দনা গায়, ফুলরেনু চূর্ণ যাকে স্বাগত জানায় কৃষ্ণচূড়ার পাপড়ি বিছানা পথে।সারাটি বছর যার অপেক্ষায় থাকে সবার মন--বছরের শেষে সেই তো আসে রাজা ধীরাজের বেশে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ