দর্পণ || কবিতায় ~ বেবী সাউ




পোস্ট বার দেখা হয়েছে

হরপ্পার মেয়ে 


১. 

পুরনো দেওয়াল জানে শূন্য ঘরে ফেরে না তো কেউ 

জানলার ওদিকে পথ আছে 
যাতায়াত আছে 

গান গেয়ে চলে যায় পূবালী হাওয়ার পাখি

পাবে না জীবন তাকে,  
তাও মিছেমিছি সখ্যতা পাতাই 
বাহানায় বলি, থেকে যাও...

তাও

কীভাবে কখন ছোবলের দাগ গাঢ় হয়
জেনে গেছ তুমি 


২. 

নীলাভ চাদর গায়ে বসে আছি  

বরফের দেশ; জনসমাগম কমে গেছে 
পরিযায়ী পথে; বেড়াতে এসেছে কিছু রোমাঞ্চ জীবন 

বরফের ছোঁড়াছুড়ি চলে
ছোলা আর শশাকুচি দিয়ে গড়ে তোলে বনভোজনের গান 

নীলাভ দেশটি জানে 
প্রগাঢ় অপেক্ষা এঁকে চেয়ে থাকা মেয়ে 
কীভাবে জীবাশ্ম হয়ে ওঠে! 


৩. 

প্রতিটি মুহূর্ত বোঝে 
খোঁড়া শেষ হলে শুধু ধ্বংসের দেশ
পোড়ামাটি, ভাঙা আসবাব 

মাঝে মাঝে খুঁজে পাওয়া যায় 
লাল চুড়ি, ছেঁড়া সালোয়ার সুতো 
কিংবা বহুদূর থেকে ভেসে আসা 
লাস্যময়ী গান

অদ্ভুত অচেনা এক জনপদ জেগে ওঠে
কখনো সখনো 

ঘুমন্ত মেয়েটি জাগে
পৃথিবী রচনা ছলে নিজেকেই বলি দেয়... 


৪. 

ব্যথার শরীরে হাত রাখি 

কতকাল পরে কথা বলি নিজেই নিজের সাথে
রাগ দিই
সেবাচ্ছলে দিই তাকে শুশ্রূষার পানি 

কাঁদে আর কাঁদে আর কাঁদে

মৃত জনপদটিও বোঝে কৃষিকাজ প্রয়োজন হলে কুবো ডেকে ওঠে 


৫. 

মৃত জনপদ এই 
পথিকের কোলাহল সামান্যই বাজে 
প্রতিধ্বনিটিও অদ্ভুত, ভুতুড়ে 

বাস্তভিটে ছেড়ে তাও যাওয়া যায় বলো? 
যদি আসো
যদি ফিরে যাও না-পাওয়ার ছলে

রোপণের গন্ধ 
ফসলের লোভ দিয়ে হেঁটে যায় জংলি জন্তু

ভাবি আর ভাবি 

বিপদ আসন্ন 
উঠোনেই গড়ে ওঠে কবরের ঘর...

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ