রোবট এবার যুদ্ধে যাবে ? ~ সুজিত চক্রবর্তী




পোস্ট বার দেখা হয়েছে

          দিনটা ছিল দুহাজার পনেরো সালের পয়লা জুলাই। অকুস্থল: জার্মানির উল্ফসবুর্গ (Wolfsburg)শহর। বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম মোটর গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি ফোক্সওয়াগেন (Volkswagen) তাদের সদর দফতর তৈরি করেছে এই শহরেই এবং তার মধ্যেই আছে বিশ্বের বৃহত্তম মোটর নির্মাণের কারখানা !  


         এদিনের ঘটনার বিবরণে যাওয়ার আগে আমরা এক নজর দেখে নেবো কেমন বড় এই কারখানা! এখানে মোটর নির্মাণের অঞ্চলটি লম্বায় আড়াই কিলোমিটার এবং চওড়ায় তিনশো মিটার। পঁয়ষট্টি হাজার মানুষের সাথে এখানে নিরন্তর কাজ করে চলেছে পাঁচ হাজার রোবট বা যন্ত্র মানব, যার ফলে এটি আটানব্বই শতাংশ স্বয়ংক্রিয় কারখানা হয়ে উঠতে পেরেছে। এখানে কর্মরত মানুষের কারখানার মধ্যে যাতায়াতের জন্য রাখা থাকে সাত হাজার সাইকেল। 


       এবার আসা যাক সেই ঘটনার কথায়, যাকে ঘটনা না বলে দুর্ঘটনা বলাই শ্রেয় । কারখানায় কর্মরত এই রোবট সেখানে কোনও কাজের জন্যে আসা এক বছর বাইশের যুবককে প্রথমে জড়িয়ে ধরে, তারপর সামনে রাখা ধাতব পাতের ওপর আছাড় মেরে তাকে হত্যা (?) করে ! 


          কতৃপক্ষ পড়লেন মহা ফ্যাসাদে। এ তো মার্ডার কেস, যার জবাবদিহি করার দায় তাদের ওপরই বর্তাবে। কিন্তু হত্যাকারি এক যন্ত্র মানব আর সেই কারণে এই খুন সে ঠান্ডা মাথায় করেছে না হঠাৎই কোনও কারণে মাথা গরম হয়ে যাওয়ার ফলে ঘটে গেছে সে ব্যাপারেও কিছু বলা যথেষ্ট মুশকিল। রোবটকে পুলিশে দেওয়া যাবে না, তার বিচার করে মৃত্যুদন্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া কোনও আদালতের পক্ষেই সম্ভব নয়। 


         এই  ঘটনায় তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কতৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছিল,  দোষ রোবটের নয় , মানুষের। অনেক খুঁজেও এর বেশি কিছু তথ্য আমি জোগাড় করতে পারি নি। খোঁজার কারণ এই যে, মানুষের দোষ বলতে তাঁরা ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছিলেন ? যে মানুষটির সেখানে রোবটের কাছাকাছি আসার জন্য মৃত্যু হয়েছে দোষ তার? হতে পারে যে অঞ্চলে এই রোবট কাজ করছিল সেখানে মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল এবং এইসব রোবটের কাজ হচ্ছে মোটর গাড়ির বিভিন্ন বডি পার্টস বা  যন্ত্রাংশ জুড়ে দিয়ে গাড়ি নির্মণ করা।সেক্ষেত্রে হতে পারে সামনে এসে দাঁড়ানো আগন্তুককে গাড়ির যন্ত্রাংশ হিসেবে ভুল করে  চিহ্নিত করে যুবকটিকে আছাড় দিয়ে ফেলেছে  যন্ত্র মানব ! দ্বিতীয় সম্ভাবনা হতে পারে যে মানুষ এই রোবট তৈরি করেছে বা তার প্রোগ্রামিং করেছে ভুলটা হয়তো তার ছিল!


              এই দ্বিতীয় সম্ভাবনার ব্যাপারে একটু বিশদে আলোচনা করার প্রয়োজন আছে এখানে।

তবে সেকথায় যাবার আগে জেনে রাখা দরকার রোবট কীভাবে কাজ করে সেটা। বিজ্ঞানের যে শাখা রোবট নিয়ে কাজ করে তার নাম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence)। কৃত্রিম কেন? কারণ কম্পিউটারের নিজস্ব বুদ্ধি নেই। এই পদ্ধতিতে তাকে কৃত্রিম উপায়ে বুদ্ধিমান করে তোলা হয়। কীভাবে? স্রেফ মানুষের মস্তিষ্কের কার্যপ্রণালী নকল ক'রে। অর্থাৎ সহজ করে বললে বলা যায় এ হচ্ছে মেশিনের বুদ্ধি।  


          এবার দেখা যাক মানুষ কীভাবে তার মস্তিষ্ক ব্যবহার করে!  আপনি  যখন কোনও ব্যস্ত রাস্তা পার হচ্ছেন তখন ঠিক কী করছেন? রাস্তায় তাকিয়ে প্রথমে দেখে নিচ্ছেন সবচাইতে কাছের গাড়িটা আপনার থেকে কত দূরে আছে। তারপর মনে মনে হিসেব করে নিচ্ছেন যে আমি যতক্ষণে রাস্তা পার হয়ে অন্য পাশে যাব ততক্ষণে গাড়িটা কত দূর চলে আসবে। এরপর একটা সিদ্ধান্ত নিয়েই হয় আপনি রাস্তা পার হয়ে যাবেন অথবা অপেক্ষা করবেন  গাড়ি চলে গিয়ে রাস্তা ফাঁকা হওয়া পর্যন্ত। এ পর্যন্ত সবারই জানা আছে। কিন্তু জানেন তো এই সিদ্ধান্তে আসার জন্যে তোমার মস্তিষ্ক ইতিমধ্যে একটা অংক কষে তার উত্তর জানিয়ে দেয় আপনাকে ! আবার এই অংকই পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্রদের কাগজে-কলমে করতে হয়, যেখানে গাড়ির গতিবেগ আর গাড়ি থেকে আমি কতটা দূরে আছি সেটা বলে দেওয়া থাকে। এবার ভেবে দেখুন কম্পিউটারকে এই অংকটা যদি শিখিয়ে দেওয়া হয়, তবে সেও তো অংক কষে এর উত্তর সহজেই বার করে নিতে পারবে। যখন তা পারবে তখনই বলা হবে তার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা জাগ্রত হয়েছে । 


      বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার মতো এই 'কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা' শাখাতেও চলছে নিরন্তর গবেষণা। তারই ফল স্বরূপ বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদেরা জন্ম দিয়ে চলেছেন উন্নত থেকে উন্নততর মানের যন্ত্র মানব। ঘর পরিস্কার করার কাজ থেকে শুরু করে মোটর কারখানায় শ্রমিকদের কাজ তারা অত্যন্ত সুষ্ঠু ভাবে করে চলেছে।  কিন্তু, রোবটের কর্মজগৎ কি কেবল শ্রমিকের কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ? অনেকেই হয়তো জানেন যে তেমন কিছু সীমাবদ্ধতা মোটেই নেই আজকের রোবটদের। বরং এটা বলা ভালো যে মানুষ যা পারে রোবট তার সবই করতে সক্ষম। তাদের কর্মকাণ্ড আজ বিস্তৃত হয়েছে রোগের চিকিৎসা থেকে অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি, সাহিত্য রচনা পর্যন্ত! 


       চিকিৎসায় রোবটের ভূমিকা যে কত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে সেটা বোঝা গেল বেশ কয়েক বছর আগে যখন 'ইবোলা'র সংক্রমণ বিশ্বব্যাপী মানুষের কাছে আতঙ্কের অন্য নাম হয়ে দেখা দিলো। আসলে অসুখটা ছিল এতটাই ছোঁয়াচে যে আক্রান্ত রোগীকে স্পর্শ করলেই ইবোলা আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। অগত্যা ডাক পড়ল রোবটের। কারণ, রোগীর ছোঁয়ায় মেশিন সংক্রমিত হবে না। একই ভাবে দুহাজার কুড়ি সালে ভয়ংকর সংক্রমণের আতঙ্ক নিয়ে হাজির হলো করোনা ভাইরাস।  সেখানেও যন্ত্র মানবরা কাজে এলো। এখানে পাঠকের মনে একটা প্রশ্ন হয়তো উঁকি দিতে পারে, তা হলো তাহলে কি এরা মানুষের চিকিৎসাও করতে পারবে ? এ প্রশ্নের উত্তরে জানাই --- হ্যাঁ, অবশ্যই পারবে এবং অনেক জায়গায় ইতিমধ্যে  সাফল্যের সঙ্গে এ কাজ তারা করছে বলেও জানা গেছে। হয়তো ডাক্তারবাবু ব্যস্ত আছেন। হতেই পারে তিনি রোবটের সাহায্য নিয়ে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। অথবা রাত্রিবেলায় ডাক্তারবাবুরা ক্লান্ত হয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন, রোবট যাচ্ছে হাসপাতালের আই সি ইউ ওয়ার্ডে খিটখুট শব্দ তুলে! পশ্চিমের উন্নত দেশে প্রশ্ন উঠেছে এই রোবটের দাপটে মেডিক্যাল কলেজের ডিগ্রি পাওয়া ডাক্তারবাবুদের প্রয়োজন কমে যাবে না তো? আর আমাদের মতো দেশে, যেখানে আঠারোশো মানুষের জন্য একজন চিকিৎসক সেখানে এই রোবট কি আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিতে পারে! 


        বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ? স্কুলে পড়ার সময় আমরা সবাই এই বিষয়ে রচনা লিখেছি। এই রচনার উপসংহারে লেখা থাকে,  বিজ্ঞান অবশ্যই আআশীর্বাদ। কিন্তু আমরা যদি এর অপপ্রয়োগ করি তাহলে বিজ্ঞান অভিশাপ হয়ে উঠতে পারে বৈকি! যেমনটা হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে।উনিশশো পঁয়তাল্লিশ সালের আগস্ট মাস। ছয় তারিখে জাপানের হিরোশিমা শহরের ওপর পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করল একটা B-29 মার্কিন যুদ্ধ বিমান। তার রেশ কাটতে না কাটতেই দুদিন পরে নয় তারিখে দ্বিতীয় পরমাণু বোমাটি নেমে এলো জাপানের নাগাসাকিতে। সারা পৃথিবীর মানুষ স্তব্ধ। মারা গেছেন বহু মানুষ, তেজস্ক্রিয় বিকিরণ পঙ্গু করে দিয়েছে আরও অনেককেই । সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলেন ধংসলীলা দেখে স্তম্ভিত বিখ্যাত বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইনকে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে আরও কতো ভয়ংকর অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে সে ব্যাপারে জানতে চাইলেন তাঁর কাছে।  বিজ্ঞানী জানালেন যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে কেমন অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে সে ব্যাপারে তিনি বলতে পারবেন না, কিন্তু চতুর্থ বিশ্ব যুদ্ধ হবে লাঠি আর পাথর নিয়ে। বোঝা গেল এক ভয়ংকর ভবিষ্যতের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে এই কথাগুলোতে, যার অর্থ হচ্ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধই আধুনিক সভ্যতার শেষ যুদ্ধ। তারপর আবার নতুন করে প্রস্তর যুগ থেকে শুরু হবে মানুষের জয়যাত্রা! 


      এর পরই শেষ হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ আজও হয়নি। তবে উত্তেজনা আছে, ধংসের আশংকা তো আছেই। যতদূর জানা যায়,  এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর মধ্যে ন'টি দেশের কাছে পরমাণু অস্ত্র আছে। এই দেশগুলো হচ্ছে রাশিয়া, আমেরিকা, চিন, ফ্রান্স, ব্রিটেন, পাকিস্তান, ভারত, ইসরাইল ও উত্তর কোরিয়া। পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিপক্ষের ওপর এই অস্ত্র প্রয়োগ করার পরিণাম ভয়াবহ হতে পারে এই ভাবনা হয়তো যে কোনও দেশকে পুণরায় পরমাণু আক্রমণ করার থেকে দূরে রাখবে। 

       সম্ভাবনার কথা থাক, আমরা বরং ঘটনার দিকে তাকিয়ে দেখি। গত বেশ কিছু বছর ধরে সারা পৃথিবীর কিছু বিজ্ঞানী প্রতিবাদ করছেন মিলিটারি রোবটের ওপর কাজ বন্ধ করার জন্য। সেটা কী? সোজা কথায় বলতে গেলে এর মানে হলো রোবটকে যুদ্ধ শেখানো হবে। বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংও মৃত্যুর আগে এর প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন। হকিং সাহেবের মতে, মিলিটারি রোবট মানবজাতির অস্তিত্বকেই সংকটে ফেলে দেবে ভবিষ্যতে। অর্থাৎ আমরা যে বুদ্ধির এতো তারিফ করি, যে বুদ্ধির জন্যে গর্ববোধ করি সেই বুদ্ধি শেষ পর্যন্ত ফ্রাঙ্কেস্টাইন হয়ে আমাদের মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠবে! এখানে প্রশ্ন উঠতে পারে যে এ কী এমন বস্তু যা পৃথিবী থেকে মানুষের অস্তিত্ব মুছে দিতে সক্ষম? তাহলে আমরা এখন বিজ্ঞানীদের দুশ্চিন্তার মূল কারণটা বোঝার চেষ্টা করি।



      এ পর্যন্ত যে সব রোবটের কথা বলা হয়েছে তারা সবাই প্রভুর আজ্ঞাবহ , মানে তারা নিজে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। প্রভু কে? যে বা যারা তার নির্মাণ করেছে বা প্রোগ্রামিং করেছে। এবার এমন রোবটকে যদি কেউ যদি চিন্তা করার ক্ষমতা দেয়? যদি তেমন কোনও যন্ত্রমানুষকে যুদ্ধের কাজে ব্যবহার করা হয়? এর ফল যে কতটা ভয়ংকর হতে পারে তা তো আর কারো বুঝতে অসুবিধা হবার কথা নয়। কারণ এই যন্ত্রমানবদের কাণ্ডজ্ঞান থাকবে না। তার চেয়েও বড় কথা হলো এদের তো মনুষ্যত্বই নেই।


           তার মানে আমাদের আশংকার ক্ষেত্রটা এই যে কোনওভাবে রোবট যেন নিজস্ব চিন্তা ভাবনার দ্বারা চালিত হয়ে অপকর্ম করতে না পারে, তা সে মোটর নির্মাণ কারখানার শ্রমিক রোবটই হোক কিম্বা যুদ্ধ বিশারদ যন্ত্র মানব হোক! তার চেয়েও দরকারি যেটা, সেটা হলো রোবট স্বেচ্ছাচারী অথবা স্বৈরাচারী হয়ে গেলে আমাদের কী করণীয়! 


সায়েন্স ফিকশন বা কল্পবিজ্ঞানের গল্পকথায় রোবট বিদ্রোহের ঘটনা কিন্তু অনেক পুরনো। সেখানে গল্পের ছলে সাসপেন্স তৈরি করা হয় যখন রোবটরা বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে এবং পণ করেছে যে তারা আর মানুষের পদানত হয়ে থাকবে না। এখানেই শেষ নয়, রোবটের আদর্শ আচরণ বিধি কেমন হবে তা নিয়ে আস্ত একখানা সংবিধানও লিখে ফেলেছিলেন বিংশ শতকের এক বিখ্যাত কল্পবিজ্ঞান লেখক! কল্পবিজ্ঞান যে নেহাতই কল্পনা এবং সেটা বিজ্ঞান নয় একথা সবার জানা। আবার, অতীতের কল্পবিজ্ঞানের কাহিনীকে পরবর্তীতে  বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদেরা বাস্তব রূপ দিয়েছেন এমন উদাহরণও আছে বৈকি! পাশাপাশি এটাও মাথায় রাখতে হবে যে প্রতিরক্ষা বিভাগের কাজ সর্বদা গোপনেই করা হয়ে থাকে। তাই সব মিলিয়ে একটা কথা বলা যায় আর সেটা হলো এ মহাবিশ্বে মানুষের শুভবুদ্ধির কখনও অভাব হবে না এই বিশ্বাস নিয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলুক আমাদের সাধনা ও অগ্রগতি। আমরা প্রার্থনা করি যে মানুষের অস্তিত্ব বিপন্ন করে দিতে পারে এমন কোনও কাজ কোনও দেশ, কোনও মানুষ যেন কোনও দিন না করে অথবা অন্য কাউকে করতে না দেয়। তবেই অনির্বাণ হবে এই পৃথিবীতে মানুষের জয়যাত্রার দীপশিখা। না, আর কোনও হিরোশিমা নয়, আর কোনও বিশ্বযুদ্ধ নয়। আমরা না হয় এবার বিশ্ব শান্তির জন্য সব মানুষ একজোট হয়ে লড়াই শুরু করব এক উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ