মেঘের রাজ্যের অনুভূতি ~ মাধুরী সাহানা




পোস্ট বার দেখা হয়েছে

১লা সেপ্টেম্বর আমরা চলেছি দার্জিলিং পথে। ফ্যামিলি ট্যুর প্রোগ্রাম কিন্তু আমার ছোট কন্যা সানা এই ট্রিপে আমাদের সাথে আসেনি ওর ইউনিভার্সিটির কোনো প্রোজেক্ট শেষ করার জন্য ওকে থেকে যেতে হয়েছে। বড়মেয়ে মানু আছে আমাদের সাথে। চারজন নয় তিনজন চলেছি। মানু এই ট্যুর আয়োজন করেছে খরচ পত্র সব কিছু। সকাল ৯.৫০ মিনিটে ক্যাবে করে কলকাতা এয়ারপোর্ট পৌঁছে সিকিউরিটি চেকিং করে ১১.১৫ মিনিটে লাউঞ্জে বসে লেখা শুরু করেছি। আমার যাত্রা পথের বৃত্তান্ত যতটা সম্ভব লিখে রাখবো। ট্রেনের জার্নি একটা অন্য রকমের অভিজ্ঞতা। হাওড়া বা শিয়ালদহ স্টেশনে দুরদুরান্তের যাত্রী এবং তাদের তৎপরতা কোলাহল আমাদের মধ্যবিত্ত মানুষের বেশি আপন বলে মনে হয়। বেশ অগোছালো একটা কর্ম পরিবেশ। 

এয়ারবাসে ভ্রমণ করছি আমি এই নিয়ে চার বার। এয়ারপোর্টে ইন্ডিগো, স্পাইসজেট, এয়ার এশিয়ার বিমান গুলো যাত্রী নিয়ে ওঠা নামা করছে। যাত্রীরা বেশ নিয়মে চলা ফেরা করছে ধাক্কাধাক্কি হাকপাক একেবারে নেই। বিমানকর্মীরা তাদের ইউনিফর্ম পরে নিজেদের কাজ করছে। ডিজিটাল মেশিন গুলো ঠিকঠাক। এয়ার এশিয়ার বাগডোগরা ফ্লাইটের বোর্ডিং পাস টাইম ছিলো ১১.৩৫ মিনিটে। ডিপারচার টাইম ১২.১৫ মিনিট। আমার সিট নং ২৯বি। যথা সময়ে আমাদের নিয়ে উড়লো আমাদের প্লেন। সিটবেল্ট পরে পুতুলের মতো বসে আছি কানে তালা লেগেছে। মেঘের উপর দিয়ে চলেছে আমাদের বায়ুযান। রোদ ঝলমল পরিস্কার আকাশ যদি এই রকম পরিস্কার আকাশ পাই টাইগার হিলে তাহলে সানরাইজ দেখা সার্থক হবে। 

বাগডোগরা এয়ারপোর্ট পৌঁছে লাগেজের ট্রলি থেকে লাগেজ নিতে গিয়ে একটা বিভ্রাট। আমার কর্তার লাগেজ কলকাতা এয়ারপোর্টে রয়ে গেছে। সিকিউরিটি চেকিং এ পাওয়ার ব্যাঙ্ক আটক করেছে। আগামীকাল লাগেজ নিতে আবার বাগডোগরা যেতে হবে। লেপচাজগত বাগডোগরা থেকে আশি কিলোমিটার গাড়িতে। 

আমাদের ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে পার্কিং এরিয়াতে দাঁড়িয়ে ছিল। এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে ওর গাড়িতে চড়লাম। বেশ হাসি খুশি ছোকরা ড্রাইভার। আমাদের সাইট সিন করাতে করাতে নিয়ে এলো। প্রথম দেখলাম মিরিক লেক। আকাশে বেশি মেঘ ছিল না সুন্দর প্রকৃতি ঘেরা একটি জলাশয়। বোটিং করার সুবিধা আছে এই লেকে। একটা ছোটখাটো শৈল শহর। পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে রিসর্ট, হোম স্টে। অনেক পাহাড়ি লোকের বসবাস। মিরিক লেকের আসেপাশে ট্যুরিস্টদের ভিড় এখন একটু কম দেখলাম। গাইডদের ভাষায় এখন ওফসিজিন। দার্জিলিং শৈল শহর ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পট। সারা বছরই লোকজনের ভীড় থাকে তবে এখন ভরা বর্ষায় একটু লোকজন কম। কয়েকটি ঘোড়া নিয়ে লেকের আসেপাশে ব্যবসায়ীরা ঘুরঘুর করছে। ঘোড়ার পিঠে চড়ে ট্যুরিস্টদের বিভিন্ন পোজে ছবি তোলার অনুরোধ করছে। ভুটিয়া বা লেপচা মহিলারা বিভিন্ন রঙের পোশাক পরিয়ে ট্যুরিস্টদের ছবি তুলে দিচ্ছে। ভাড়ার পোশাক গুলি ওদের ব্যবসার মূলধন। এই ধরনের ছবি অনেকেই তুলে বাড়িতে দেয়ালে টাঙ্গিয়ে রাখে স্মৃতি হিসেবে।

আমাদের গাড়ি পাহাড়ের পাকদন্ডী পথে উপরে উঠছে। পথের দুপাশে চা'গাছের চাষ। মাঝে মাঝে পাইন গাছের সারি। মেঘের পরত ক্রমশ গাঢ় হচ্ছে। ঘন কুয়াশার আস্তরণ যেন দৃষ্টিকে আড়াল করে দিচ্ছে। এখন ভাদ্র মাসের বর্ষার সময় আর দু একদিন পর জন্মাষ্টমী। বাদল মেঘের রমরমা আকাশ জুড়ে। হয়তো বৃষ্টি নামবে। পাহাড়ের বৃষ্টি যে কোনো সময় নামতে পারে।

আমরা পৌঁছলাম "গোপাল ধারা টি স্টেট"। "গোপাল ধারা টি স্টেট" এক ছবির মতো সুন্দর চা বাগান। সবুজে সবুজ এক কথায় অপূর্ব। দু' জন মহিলা চা' বিক্রি করছিল। আমরা তিন জন চা কিনলাম তিন রকম। চা'বাগান ছেড়ে আমরা চললাম নেপাল বর্ডারের দিকে। পশুপতি মার্কেট ভারতের সীমান্তে নেপালি মার্কেট। সীমান্তে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাথে পরিচয় হলো সুন্দর অমায়িক তরুণ তরুণীরা সীমা পাহারায়। একজন সেনা আমাদের নৈহাটির কাছাকাছি থেকে এসেছে। নেপাল সীমায় একটা সুন্দর মন্দির দর্শন করলাম। শিব রাধাকৃষ্ণ এবং হনুমানজীর মুর্তি ছিল। মার্কেট দেখলাম একটা লাল পুথির মালা কিনেছি। বাইরে অন্ধকার নামছে। আমাদের আজকের গন্তব্য লেপচাজগত। আমাদের গাড়ি আমাদের নিয়ে সেদিকে রওনা হলো।

সন্ধ্যা সাতটার কাছাকাছি সময়ে লেপচাজগত ফরেস্ট রিসর্ট পৌঁছে গেলাম। বেশ ভিজে ভিজে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা আবহাওয়া। খুব সুন্দর চা পেলাম গরম গরম। এই বাংলোটি বেশ পুরোনো। কাঠের আসবাবপত্র এবং ছাদে ফায়ারপ্লেসের চিমনি ঘরে ফায়ারপ্লেস দেখে বুঝলাম। এখানে ঝিঁঝিঁ পোকার গান শুনেছি সারারাত। আমাদের কলকাতার দিকে এখন ঝিঁঝিঁ পোকার গান শোনা যায় না। রাতে ডিনার খেলাম ডিমের তরকারি আর রুটি। 

২/৯ শনিবার ভোর ভোর ঘুম থেকে উঠে সানরাইজ দেখার চেষ্টা করছি। এই বাংলো থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এবং অন্যান্য শৃঙ্গ গুলোর একটা ভিউ পাওয়া যায়। একটা হালকা ভিউ দেখলাম শৃঙ্গের তারপর মেঘ এসে গেল। সকাল সকাল পাহাড়ি পথে কর্তার সাথে বেরিয়ে চা' দোকান খোজ করে চা পেলাম। আজকে সারাদিন চেয়ে থাকবো যদি কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়।

আজকে হিমালয়ে মেঘের ঘন কুয়াশা দেখলাম। মেঘের খেলা বাতাসের স্রোতে ভেসে ভেসে কখন উঠে যাচ্ছে কখনো নীচে নেমে আসছে। সূর্যকে ঢেকে দিয়ে দিনের আলো কমিয়ে দিচ্ছে আবার খানিক পরে ঝলমল করে রোদ হেসে উঠছে। পাইন গাছের জঙ্গলে মেঘের এই খেলা যে কোনো চলচ্চিত্রের থেকে বেশি রোমাঞ্চকর। এসবের মধ্যে টুপ টাপ বৃষ্টি ফোঁটা খুব রোমান্টিক। আমরা যে ফরেস্ট বাংলোতে আছি তার ছাদটি থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা পরিস্কার দেখতে পাওয়া গেল দুপুর দুটোর সময়। দুধ সাদা মেঘের রাজ্যে শ্বেত শুভ্র হিমাদ্রী দুচোখ জুড়িয়ে দিল। ঝলমলে রোদে পাহাড়ের গায়ে গায়ে জনপদ গুলি রমনীয়। ভীষণ সুন্দরী পাহাড়ের রাণী দার্জিলিং। শেষ বিকেলের সোনা রোদে আবার দেখা দিল হিমালয়। সোনালী কাঞ্চনজঙ্ঘা বারবার ডেকে আনে উত্তর বঙ্গে।

৩/৯ রবিবার লেপচাজগত ছেড়ে চলেছি দার্জিলিং শহরের পথে। আমাদের ড্রাইভার শিলিগুড়ির ছেলে। ইনোভা গাড়িতে তিন জন আমরা বেশ রিল্যাক্স করেই বসে আছি। পাহাড়ের খাড়া রাস্তায় ড্রাইভারের হাতেই থাকে জীবনের ভার। ভোর ছয়টার সময় ফরেস্ট বাংলো ছেড়ে বেরিয়ে এসেছি তখন আর একবার গিরিরাজ দেখা দিয়েছেন লাল রঙা সূর্যের আলোয়। আজকের যাত্রায় আমরা ঘুম স্টেশনের পাসে মনাস্ট্রীতে প্রথম থামলাম। ভগবান তথাগত তার সৌম্য রূপে স্থির হয়ে আছেন। নতজানু হয়ে তার আশির্বাদ নিয়ে আমরা শান্তি পেলাম। মনাস্ট্রী ছেড়ে এলাম "বাতাসিয়া লুপ" । এক অনাস্বাদিত সুষমায় ছেয়ে আছে প্রকৃতি। ভোরের শীতল শিশির ছড়িয়ে সুর্যের নরম আলো ঘিরে রেখেছে স্থানটিকে। টয়ট্রেনের লাইন ঘিরে একটা নেচার পার্ক। স্থানীয় মহিলারা পসরা সাজিয়ে বসে আছে। আমি আমার পছন্দ মতো কিছু উলের পোশাক কিনেছি ব্যাগ ভর্তি করে। বাইনোকুলার দিয়ে দুরের দৃশ্য গুলো কাছে এনে দেখানোর ব্যাবস্থা আছে এই পার্কে। সূর্যের পরিস্কার আলোয় হিমালয়ের চূড়ায় বরফ গুলো ঝকঝক করছিল। খুব ভালো লাগলো ওখানে। এর পরের গন্তব্য চিড়িয়াখানা "দার্জিলিং জু"। 

"দার্জিলিং জু" পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে জঙ্গল ঘেরা পরিবেশে জন্তু জানোয়ারের বসবাসের উপযোগী করে অনেক ধরনের পশু পাখি রাখা হয়েছে। আমি এখানে রেড পান্ডা, ব্ল্যাক পান্থার, স্নো লেপার্ড, এই ধরনের কিছু নতুন প্রজাতির প্রাণী দেখলাম। বাঘকে খুব কাছ থেকে দেখলাম। এক লোমহর্ষক অভিজ্ঞতা হলো মিউজিয়ামে বিভিন্ন পাখির বাসা  তাদের ডিম এবং ফিটাস সংরক্ষণ করে রাখা আছে। এরপর দেখলাম হিমালয়ান মাউন্টেরিয়ান ইনস্টিটিউটের মিউজিয়াম। তেনজিং নোরগে এবং এডমন্ড হিলারির এভারেস্ট জয়ের স্মরণে তৈরি এই ইনস্টিটিউটে হিমালয় পর্বতের দুর্গম রহস্যময় পরিবেশের বিভিন্ন বর্ণনার ছবি  ম্যাপ এবং মডেলের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে। অভিযাত্রীদের পোশাক এবং ব্যবহারিক যন্ত্রপাতি মিউজিয়ামের ডিসপ্লে বক্সে সাজানো আছে। সাধারণ মানুষ যারা হিমালয় পর্বতের রহস্য কিছু জানতে চায় তাদের জন্য এই মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠিত। অবিস্মরণীয় সব অভিযান এই প্রতিষ্ঠানের দেওয়ালে বর্ণিত আছে।

আমাদের হোটেল দার্জিলিং সার্কিট হাউসের কাছে "নরলইং" । দার্জিলিং আসার অন্যতম মুখ্য উদ্দেশ্য হিমালয়ের শৃঙ্গ দর্শন। এই হোটেলে আমাদের রুম থেকে খালি চোখেই আকাশ পরিষ্কার থাকলে স্লিপিং বুদ্ধ চোখে পড়ছে। শৃঙ্গ গুলোর বরফের আস্তরণের  উপর সূর্যের আলোর খেলা ন্যাচারাল লাইট এন্ড সাউন্ড। মেঘ সরে গেলে চমৎকার গিরিরাজ স্বমহিমায় প্রকাশিত হচ্ছেন। দার্জিলিং শহরের জনঘনত্ব সমতলের যে কোনো শহরের সাথে তুলনীয়। এই শহর কোলাহল মুখর। হিমালয়ের স্তব্ধতার কোলে এক চঞ্চল জনপদ। 

চলে এসেছি "দার্জিলিং ম্যালে" । খুব ছোট বেলায় বাবা মায়ের সাথে একবার এসেছিলাম। সেই সময় তোলা কিছু সাদাকালো ছবি এ্যলবামে রাখা আছে। অনেকটা বদলেছে চিত্র তবু অনন্য। 

৪/৯ সোমবার আজকে সকালে শুধু দার্জিলিং। প্রথম ম্যালের রাস্তা ধরে মহাকাল মন্দির পৌঁছে সেখান পুজোর সামগ্রী কিনে বিগ্রহ দর্শন করে পুজো করে নিলাম। এই মন্দিরের একটা বৈশিষ্ট্য দেখলাম হিন্দু এবং বৌদ্ধ মতে অর্চনা হচ্ছে। বৌদ্ধ মঠে প্রদীপ দান করার একটা বিশেষ রীতি আছে। দশ টাকার বিনিময়ে একটি প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা যায় দেবতার উদ্দেশ্যে। আমরা হিন্দুরা প্রদীপ বিনা শুভ কাজ করি না। প্রদীপের আলোয় সকল অশুভ অন্ধকার দূরিভূত হয়। প্রদীপে দেবতার আরতি করে তার আশির্বাদ প্রার্থণা করি। এই মন্দিরে এসে মনটা শান্তি পেল। সারাদিন পায়ে হেটে ঘুরে ঘুরে দেখলাম আর সপিং করলাম। খুব সুন্দর রোদ ঝলমল দিন মনোরম আবহাওয়া।

৫/৯ মঙ্গলবার সকালে টয়ট্রেনে যাত্রা কার্শিয়াং এর উদ্দেশ্যে। কু ঝিক্ ঝি্ক রেলগাড়ি চলছে শহরের পথে। কলকাতার ট্রামগাড়ি আর দার্জিলিং টয়ট্রেন খুব মিলমিশ। চা'বাগানের নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অতুলনীয় দৃশ্য চোখে পড়ছে পাহাড়ের ঢালে। পাইন আর ওক্ গাছের দীর্ঘ ছায়ায় উপত্যকা আড়ালে চলে যাচ্ছে আবার বাঁক ঘুরতেই আলো ঝলমল। স্টেশনের নাম গুলোতে কাব্যের ছোঁয়া "ঘুম", "সোনাদা", "টুং"। রাতে কার্শিয়াং খুব সুন্দর। আকাশের তারাগুলি নীচে নেমে এসেছে। ঝিকমিক করছে গোটা শহরটা।

৬/৯ বুধবার আজকে জন্মাষ্টমী। আমার সকাল শুরু হয়েছে কার্শিয়াং এর লজে। যখন ঘুম ভাঙ্গলো তখন ভোর পাঁচটা। রুমের জানলা দিয়ে অপূর্ব নৈসর্গিক দৃশ্য। সবুজের বুকে নরম আলো এখনো সূর্য ওঠেনি হালকা কুয়াশার আস্তরণ রয়েছে। বৃষ্টি নেই আকাশ পরিষ্কার। রুমে জল গরম করে চা' করে নিলাম। আজকে সারাদিন কার্শিয়াং ভ্রমণ। সকালে ব্রেকফাস্ট করে বেরিয়ে পরেছি। পাহাড়ের ঢালে চা'বাগান ওক্ পাইনের সারি এর মাঝে মাঝে হোমস্টে এবং রিসর্ট অপূর্ব সুন্দর শহর কার্শিয়াং। আমাদের গাড়ির ড্রাইভার প্রবীর ব্রক্ষ্মা বেশ চটপটে গাইড। 

দার্জিলিং এর গ্লীনারিসের মতো কার্সিয়াং এ মার্গারেট ডেক একটা সাজানো গোছানো আধুনিক কাফে। গ্লীনারিসের কুকিজ খুব টেষ্টি এছাড়া ফ্রুট সালাদ উইথ আইসক্রিম দারুন। উত্তর বঙ্গে গেলে আমি মোমো খুব খাই। আলু পরোটা বেশ ভালো লাগলো।

আজকে এনজিপি থেকে ৮টা চল্লিশে পদাতিক এক্সপ্রেসে আমাদের ফেরার ট্রেন। পথে চা'খেতে থেমে ছিল আমাদের গাড়ি। দোকানে আমাদের একটা লাগেজ রয়ে গেছিল ওরা ফোন করে আমাদের লাগেজ ফিরিয়ে দিয়েছে। ওই দোকানের দম্পতি খুব সহৃদয় এবং সৎ মানুষ। আমাদের অনেকটা ক্ষতির হাত থেকে বাঁচিয়েছেন।

"শিব খোলা" নামের একটি ওফবিট জায়গায় একটা দারুন সুন্দর ঝর্ণা দেখতে পেলাম। একটা শিব মন্দির রয়েছে "শিব খোলায়"। বর্ষার সময় বলে ঝর্ণায় স্রোত বেশি ছিল। চা'বাগানের ভিতর দিয়ে কিছুটা নিচের দিকে নেমে যেতে হয়েছিল। রাস্তা বেশ ভালো। এরপর সোজা পৌঁছে গেলাম নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন এবার ফেরার পালা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ