দর্পণ পত্রিকা ~ দশে পা




পোস্ট বার দেখা হয়েছে

প্রিয় দর্পণের প্রতি

বন্যা গাঙ্গুলি

                         

 আমার কাছে ‘দর্পণ পত্রিকা’ অনেকটা খোলা জানলার মতো। সেই জানলার পর্দা সরালে সাহিত্য জগতের একটা সুবিস্তৃত বাতাবরণ মন কেমন করা ভুলিয়ে দেয়। বাংলা সাহিত্যের আঙিনায় বসবাসকারি মানুষ আমি,  এক রাশ মুক্ত চিন্তা বা মুক্ত ভাবনা প্রকাশ করার বিশ্বস্ত  আধার আমার প্রিয় ‘দর্পণ পত্রিকা’। খুব বেশিদিন না হলেও দর্পণ পত্রিকাকে অনেক দিনের চেনা জানা বলে মনে হয়। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, ‘দর্পণ পত্রিকা’ ( বঙ্গীয় সাহিত্য দর্পণ পত্রিকা) সমাজ সেবা মূলক পুজোর উপাসক। আন্তর্জাতিক আবহে এই পত্রিকার গুরুত্ব অপরিসীম। দুই বাংলার সাহিত্য সংস্কৃতির মেল বন্ধনের এক দীর্ঘ সময়ের সাক্ষ্য বহন করে ‘দর্পণ পত্রিকা’। 


 ধীরে ধীরে প্রাচীন হয়ে ওঠার অদম্য মনোরথ ঈপ্সা দেখতে পাই পত্রিকার প্রিয় সম্পাদক মন্ডলীদের মধ্যে।  পত্রিকার পরিচালনার কাজ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এঁদের সৃষ্টিশীল কাজের ধারাবাহিকতা পত্রিকার প্রতি আগ্রহ বাড়ায়। পরিচালকমন্ডলীর তথা সম্পাদকমন্ডলীর অভিজ্ঞতা, সংস্কৃতি মনস্কতা  এবং অগাধ পাণ্ডিত্য পত্রিকাকে সাফল্যের শীর্ষে নিয়ে যাবে আশা করা যায়। 


মনের গহনে ডুব দিয়ে যা মনে আসে লিখে যাই। জানিনা আমার লেখা আদৌ পাঠযোগ্য হয়ে ওঠে কিনা!  কিন্তু ‘দর্পণ পত্রিকা’ আমাকে কখনো নিরাশ করেনি। আমার লেখাকে তাঁদের পত্রিকায় স্থান দিয়ে আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমার সৃষ্টিকে সম্পাদকমন্ডলী তাঁদের বিচারে সন্মান দেন এ আমার পরম প্রাপ্তি। ‘দর্পণপত্রিকা’ আমার  লেখালেখির জগতের অন্ধের যস্টির মতো।  একরকম আমার হাত ধরে সঠিক পথের হদিশ দেখিয়েছেন শ্রদ্ধেয় সম্পাদকমন্ডলী। আজ দৃপ্তকণ্ঠে বলতে পারি ‘দর্পণ পত্রিকা’ লেখালেখি নিয়ে বাণিজ্য করেন না।  ‘দর্পণ পত্রিকা’র শ্রীবৃদ্ধি কামনা করি। দর্পণের ওপরে প্রতিবিম্বিত হোক সমাজকল্যাণ মূলক কাজের দীপ্তি রত্নছায়া। কত অসহায় মানুষ উপকৃত হয়ে থাকেন এই পত্রিকার সমাজ সেবামূলক কাজের জন্য। দর্পণ পত্রিকা সমৃদ্ধ হোক ভালো লেখার রত্নভান্ডারের দ্বারা। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি প্রিয় পরিবারের সকল গুণী সদস্যজনের মূল্যবান সৃষ্টিগুলো পৌঁছে যাক মানুষের কাছে।  ‘দর্পণ পত্রিকা’ জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসনে উপবেশন করুক। 

===

আলোর দর্পণ

আফ্রূজা খাতুন 


দর্পণ হোক সাহিত্যের দর্পণ ,

দর্পণ হোক সমাজের দর্পণ, 

দর্পণ হোক আঁধারের মাঝে 

নতুন আলোর দিশা দর্পণ। 

দর্পণ হোক মানবতাবাদী-

দূর্বল অবহেলিতের দর্পণ, 

দর্পণ হোক বিবেকহীনের 

চেতনা-চৈতন্য বিবেক দর্পণ। 

দর্পণ হোক পিছিয়ে থাকা লেখনীর 

আলোতে তুলে আনার দর্পণ।

=====

ভালবাসার দর্পণ

শর্মিষ্ঠা মিত্র পাল চৌধুরী


রূপালি তরল ধাতব পদার্থর

প্রতিফলিত আলোতে, সমাজের সাতকাহন......

সময় আঁকিবুকি কাটে,

সাদা কালো ক্যানভাসে.....

আগুনের আখরে ভেসে ওঠে

প্রেম,বেদনা,যন্ত্রণার যাপন।

কখনো অসহায়ের পাশে, কখনো সৎ উপদেশে.....

জয়যাত্রার রথ অব্যাহত হোক দেশে দেশে ।।

====

দর্পণ পত্রিকা

কাকলী দাশগুপ্ত


*দর্পণ পত্রিকার প্রতিষ্ঠা দিবসের শুভেচ্ছা অভিনন্দন শুভ কামনা ও অনেক অনেক ভালোবাসা জানাই*।


     দর্পণে এসে আমি আপ্লুত। দেবাশীষের মতোন ছোটো ভাইকে পেয়ে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি। ঘুম ভাঙে  সুপ্রভাতীর পোষ্টে আর নানান কবিদের গল্প, কবিতা লেখায়। নানান লেখা পড়ে আমার সারাদিনের একাকীত্ব দূর হয়ে আনন্দে ভরে গেছে। তাই - 

*কী উপহার সাজিয়ে দেবো*

*ভালবাসা আছে তাই দিয়ে যাবো*

*অনন্ত আমারই লেখা* ,

*দুরন্ত আমারই প্রাণ*

*এই তো উপহার*।।।


*দর্পণ আমার প্রাণ*

*দর্পণ আমার ভালোবাসা*

*দর্পণ আমার পরিবার* 

*দর্পণ আমার সময়*

*দর্পণ আমার অভিমান*

*দর্পণ আমার গর্ব*।।। 

*দর্পণে এসে আমি গর্বিত*।।।

*দর্পণ আমার পরিবার*।।।


আমি আপ্লুত ও ধন্য এতো ভালো একটা গুণিজনের পারিবারিক গ্রুপ —তুলনাহীন এক পরিবারের মেলবন্ধন ।  দর্পণের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক ভালোবাসা জানাই যাঁদের ছাড়া এই পরিবারের অন্ধ... 


দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হোক দর্পণের চলার পথ। 

এই কামনা করি সর্বক্ষণ। অভিনন্দন ও শুভ কামনা, ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা জানাই।

=====

ভালো থাকো 'দর্পণ'

বিজুরিকা চক্রবর্তী (দমদম)


শব্দে বোনা স্বপ্ন নিয়ে '৯' য় বসন্ত করলে পার, 

সমাদৃত শিল্প জগৎ লেখনীর পথে চলে তোমার, 

শুভকামনা উজার করে করলাম আজ সমর্পণ-

আলোক ছটার প্রতিবিম্বে ভালো থাকো হে 'দর্পণ'!

=====

চির অমর

মেখলা ঘোষ দস্তিদার 


নিঃশব্দে দর্পণ উদ্ভাসিত শব্দের আঁতুড় ঘরে-

মনে হয় দর্পণ আদিগন্ত বিস্তৃত সমুদ্র

সকলের হৃদয়ে দখিনা খোলা হাওয়া-

প্রতিনিয়ত আলো ছড়ায়

ছুঁয়ে থাকা মনে

রাত্রির বুকে

জীবনের মুখে

সাহিত্য সুখে-


হাতের উপর রাখি

খুঁজে পাই সৃজনশীল ধারা

পেরিয়ে যেতে যেতে দেখি

অন্য ছবি প্রতিচ্ছবি 

আর্ত মানুষের - শিশুর প্রাণবন্ত হাসি-


নিরলস কর্তব্য আলপনা আঁকে

প্রচ্ছদে

সামাজিক দায়ভার পালনে-

দৃঢ়তায়-চেতনায়-অঙ্গীকারে

সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে পথ দেখায়

সত্য- শিব- সুন্দর- এর আদর্শে,


ইতিহাসের পাতায় 

দর্পণ মৃত্যুঞ্জয় চির অমর।

=====

আমার প্রিয় দর্পণ

নীলাঞ্জনা ভৌমিক


সাহিত্য জগতের সঙ্গে পরিচয় আমার ছেলেবেলা থেকেই। খুব বই পড়তে ভালবাসতাম যেমন আজো বাসি। কিন্তু লেখালেখির জগতে প্রবেশ করেছি ২০১৮ সাল থেকে। বঙ্গীয় সাহিত্য দর্পণের সাথে আমি যুক্ত হই ২০২০ সাল থেকে। এবং এই প্রবেশ সম্ভব হয়েছিল একজন মহান মানুষের হাত ধরে। আমার সাহিত্য জগতের পথপ্রদর্শক পরম শ্রদ্ধেয় আমাদের দাদা -- দেবাশিষ ভট্টাচার্য। এর আগে আরেকটি প্রত্রিকার সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয় -- "  খেয়া পত্রিকা ।"  খেয়া পত্রিকা সম্পর্কে আমার যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। আমার লেখা কবিতা " ঝড় " , " মাধবেরে করি আহ্বান " , " সখ্যতা ", " কেন " --  প্রায় চারটে কবিতা প্রথমে সম্পাদক মহাশয় খেয়া পত্রিকার জন্যে নিয়েছিলেন। তারপর আরো বেশ কয়েকটা কবিতা দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি কখনই একবারও আমাকে একটা পত্রিকাও দেননি। আমি মূল্যসহকারেই নিতে চাই তাও পাইনি। আমাকে বলা হয় - একটাও পত্রিকা নেই,ক্যালিফোর্নিয়ায় সব কপি বিক্রি হয়ে গেছে। 

 এত কথা এই জন্যই বলা যে সব পত্রিকার সম্পাদকদের উদ্দেশ্য দেবাশিষদার মতো এতো সৎ হয় না।সাহিত্য অনুরাগী এবং সাহিত্যে নিবেদিত প্রাণ এবং সমাজসেবী এই অসাধারন মানুষটির সাথে আমার পরিচয় ২০২০ সালে। তখন খেয়া পত্রিকার অভিজ্ঞতার কথা তাঁকে আমি জানালাম। তিনি সেদিন আমাকে একটা কথাই বলেছিলেন --  " আপনি আমাদের পত্রিকায় আসুন। এই ধরনের অভিজ্ঞতা আপনার দ্বিতীয়বার হবে না আমি আপনাকে কথা দিচ্ছি "। আজো তিনি এই কথা রেখে চলেছেন। এই পত্রিকার সাথে যুক্ত হতে পেরে আমি সত্যি ধন্য ততোধিক নিশ্চিন্ত। দেবাশিষদা এবং দর্পণ পত্রিকার সাথে দ্বিচারিতার কোনো সম্পর্ক নেই। এই দেবাশিষদার কাছে আমি অনেক কিছু শিখেছি। দর্পণ আমাকে অনেক শক্তি যুগিয়েছে। তাই আজো আমি মনের আনন্দে লিখে যাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ দর্পণ এবং অসীম শ্রদ্ধা জানাই আমার প্রিয় সম্পাদক দেবাশিষ ভট্টাচার্য মহাশয়কে।

=====

চিঠি

                  দর্পন তোমাকে

                 জয়তী মজুমদার

প্রিয় দর্পণ,

আগামী 1লা জানুয়ারি তোমার জন্মদিন। রইল জন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা। এই দিনে তুমি তো দশে পা দেবে। অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা তোমার জন্য। যদিও তোমার সাথে আমার সামাজিকভাবে আলাপ খুব বেশিদিন হয়নি। কিন্তু তুমি আমার সাথে আমার হৃদয় জুড়ে আছো আমার জন্ম লগ্ন থেকে। তোমাকে দেখেই আমার জীবনের প্রতিটা দিন শুরু করি। জানি দর্পণ, তুমি কখনো মিথ্যে বলো নি, আর বলবেও না। তোমার মধ্যে আমার  প্রতিদিন যে প্রতিবিম্ব তৈরি হয় সেটা একেবারে নিখুঁত। আমার অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের দর্পণ তুমি। আমার অর্ধেক জীবনের অংশীদার তো তুমিই। আমার রাগ, দুঃখ, অভিমান, লজ্জা ,ভালবাসা সব........, সব কিছুরই একটা নিখুঁত প্রতিবিম্ব তৈরি করো তুমি। আমার দোষ ,গুণ, স্পর্ধা সবকিছু আমি তোমার মধ্যে প্রতিফলিত হতে দেখেছি, যেখানে আমার প্রতিটা রোমকূপ সত্যি কথা বলে। ক্ষোভে হতাশায়,নিরাশায়, ভরষায় আমার দেহের রেখাগুলো স্পষ্ট হয়ে ওঠে তোমার মধ্যে। আমি যখন তোমার সামনে দাঁড়াই তোমার গা বেয়ে গড়িয়ে পড়ে আমার প্রেম,দুঃখ,যন্ত্রণা, ব্যথা, কামনা, অভিমান, আমার সমস্ত আবেগ। আমি একমাত্র জানি এগুলো কতটা সঠিক, কতটা মূল্যবান। তাই আমার ক্ষোভ তোমাকেই বলি। আমার ভালোবাসা সেও তুমিই জানো। আমার প্রতিবাদের ভাষা ধারালো ও জোরালো করে তুলেছ তুমি তোমার মধ্য  দিয়ে। তাইতো আমি আমার  মনের সমস্ত কথা তোমাকেই বলি। তুমি তার প্রতিফলন ঘটাও। ছড়িয়ে দাও হাজার হাজার মনের দর্পণে। যেখানে চলে সমালোচনার ঝড়, যা আমাকে প্রতি মুহূর্তে ভাবায় আমি কতটা সঠিক। যদি বেঠিক হই, নিজেকে শুধরে নেওয়ার প্রয়াস করি। আর একটা মানুষ হয়ে ওঠার চেষ্টা করি। শুধু তুমি পাশে থেকো। আমি যদি দিশেহারা হই, তুমি আমায় পথ দেখিও।পথভ্রষ্ট যেন না  হই। 

          আবার একবার হইল তোমার জন্মদিনের জন্য অজস্র শুভকামনা ও ভালোবাসা। খুব, খুব ভালো থেকো।

             শুভ রাত দর্পণ।

                           ইতি  ———

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ