প্রেমের কবিতা || পাতা ~ ১৬




পোস্ট বার দেখা হয়েছে

 

ভালোবাসা বিনা প্রয়োজনে

 উৎপলেন্দু দাস 


ভেবে দেখো প্রয়োজন অস্বীকার করতে পারো কি না  

যা চেয়েছো প্রাণপণে এতদিন,

গ্রীষ্মে মেঘের ছায়া 

বর্ষায় মেঘ হীন আকাশ 

মাঘের শীতে রোদের উষ্ণ আলিঙ্গন, চিরকালের অভ্যাসে।


তবুও সেই তো কাঁদবে বসন্ত এলে 

কোকিল উদাস দুপুরে ডাকলে কুহু কুহু 

তুমি ও বলবে তারপর, সইতে পারি না আর, কি গরম !


চেয়েছো ভালো বাসা শীততাপ নিয়ন্ত্রিত 

ধুম জ্বরে কপালে শীতল জলপটি 

কান্নায় রুমাল বাড়িয়ে দেওয়া হাত 

শেখনি দিতে কিছুই, প্রলোভিত হয়েছ বিজ্ঞাপনে

ভেবে দেখো, সঞ্চয়ে আছে কি কানাকড়ি 

পারবে কী বিলিয়ে দিতে ভালোবাসা, বিনা প্রয়োজনে ?

====

 তোমার প্রেমে পাগল

 রবীন্দ্রনাথ প্রধান


যতই তুমি আকাশ হও-

আমি মেঘ, তোমার আঙিনা ছাড়ব না,

তোমার প্রেমে পাগল হয়ে ঘুরে সেথায় বেড়াব, 

তবুও তোমার আমি নাগাল পাব না?


হতে পার তুমি শৃঙ্গধর 

হৃদয়ে থাক না কঠিন পাথর-

তোমার প্রেমে তুষার হব, 

চুড়োয় চুড়োয় প্রেমের গান শোনাব।

বোঝো নাকি আমি তোমার প্রেমে কাতর?


হতে পার তুমি স্রোতস্বিনী 

থাক হৃদয়ে খরস্রোতের অহংকার-

তোমার প্রেমে তবু পাগল হব,

বাইব সেথায় প্রেমের তরণী

তবুও ফেরাও কেন বারবার!

বোঝো নাকি আমি তোমার প্রেমে কাতর?


হতে পার তুমি সাগরের বেলাভূমি-

তোমার প্রেমে পাগল ঢেউ আমি প্রিয়,

আছড়ে পড়ি তোমার বুকে

ভেঙে ফেলি আপনাকে,

একটুখানি প্রেমের নজর দিয়ো।


তাইতো আমি তোমাকেই চাই এই জীবনে,

তোমাকেই চাই পরের জীবনে,

তোমাকেই চাই পরের পরের জীবনেও-

তোমাকেই চাই তারপরেও....

====

মোহহীন প্রেম

পূর্বালী দে 


রাত তো অনেক হল, ব্যালকনির বিষাদ হাওয়া

অবিরাম ঠোঁট বেয়ে, ঘাড়ের উপর নি:শ্বাস ফেলছে,

এই প্রেম,জন্ম-জন্মান্তরের।

এই প্রেম হাজারো স্মৃতিগাঁথায় অবাঞ্চিত।


যে জলমগ্ন শহর, তোমায় ডুবিয়ে,নিজেও ডুবেছে,

সেখানে ক্লান্তির সহবাস নেই-

বেআব্রু পথে শুধুই অপেক্ষা।


অপেক্ষার মানচিত্র ধরে হেঁটে গেলে-

যে সীমানা আসে,

সেই সীমানায় অজস্র নাগরিক পাপ...

এই পাপ কোনো মোহহীন প্রেম কিনা,

তা আমার জানা নেই।।

====

 হয়তো জানি না

শ্রীজা ব্যানার্জি


অঙ্গ শূন্য আশ্লেষে আপ্লুত আমার অন্তরাত্মা! 

 

তুমি আছো শ্রাবণের শুরুতে _

আবার শরতের শেষে,

হেমন্তের হেনস্থায়,

শীতের শিহরনে।


তুমি আছো চেনা অচেনার অচৈতন্যে,

তবুও যে চেনাই লাগে!


তুমি আছো নিশীথিনীর নৈঃশব্দ্যে_

নির্জনতার নীরবতার নৈঃসঙ্গে,

আঁধারের আভায়,

আবেশের আবরণে।


তুমি আছো তন্দ্রায় শয়নের অসমাপ্তে,

মনে মনে অতৃপ্ত অনুরাগে!


তুমি আছো স্বপনের নয়নে_

"অনন্ত অভিলাষের" আচ্ছাদনে,

অশেষ অপেক্ষায়,

অবান্তর অবস্থায়।


তুমি আছো অস্পষ্ট অনুভূতির অপ্রাপ্যে,

কত যে আকাঙ্ক্ষা জাগে!


তুমি আছো নির্দ্বিধায় নিভৃতে_

নির্বাক নিরাপত্তাহীনতার নিঃশেষে,

ব্যবধানের বাঁধনে,

বাসনার বর্ষণে।


তুমি আছো চোখের বিস্মৃতিতে_

একপলকের নির্নিমেষে,

দৃষ্টির ধাঁধায়,

ধারণার দর্শনে।


তুমি আছো তন্দ্রায় তলিয়ে যাওয়ায়,

স্বপ্ন ভাঙা-গড়ার কাটা দাগে! 


তুমি এসেছ সর্বহারা দিনগুলোয়,

সঙ্গে হারানোদের নিয়ে,

সময়ের সমীক্ষায়,

রয়ে গেলে কবিতার প্রতীক্ষায়।


থেকে যাক তারা_

তোমার উপস্থিতির লেশ উপলব্ধি করায়

যেই অনুভবের ওঠানামারা, যেই ধারণার ধাক্কাগুলো...

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

  1. অসংখ্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই দর্পণ পরিচালকমন্ডলীকে আমার কবিতা প্রকাশ করার জন্য।

    উত্তরমুছুন