পোস্ট বার দেখা হয়েছে
দুর্গার গল্প
বাড়ির পাশেই দুর্গাদের বাড়ি
উৎসব এলেই দেখা হয়
দুর্গার মাকে আমি কাকিমা বলি
এবার বসন্তে প্রথম ওর বুকে চাঁদ উঠল
চোখে তারা ফুটল
ওর মনের ঝোপঝাড়ে জোনাক উড়ল
আমি ছাদে উঠে অনেক শব্দ খুঁজলাম
অনেক বাক্য খুঁজলাম
একটা নাকছাবি,চন্দ্রহার বানিয়ে দেবো বলে
মেঘলা আকাশে কোনও জ্যোতি ছিল না
ম্লান সপ্তর্ষিরা আড়ালে চলে গেলে
আমি দুর্গার ধ্যানে বসেছিলাম সারারাত
এখন তার সঙ্গেই সংসার,ছাদটিও কৈলাশের চূড়া
আমিও জটাজুট বিজ্ঞ ডমরুধর
উদাসীন সুতো দিয়ে গাঁথি চন্দ্রহার
===
নতুন ফাগুন
এবার নতুন ফাগুন এলো আমাদের ঘরে
যে কোকিল ডাকেনি এতদিন
সেও ডাকবে—ডেকে ডেকে করবে ঘোষণা
আমিও কদম গাছে উঠে শিস দেবো
ঘাটে ওর কলসি ভেসে যাবে
অথবা দুলবে কলসির জল সরু মাজা পেয়ে
এপাশে ওপাশে বাঁশবনে ধূপছায়া পথে
রাঙা পা হেঁটে যাবে খালি পায়ে
শুকনো পাতার আওয়াজে বাজবে বাঁশি
আমার লাজুক কামনাগুলি দুলবে ডালে ডালে
এবার হাওয়া অন্যরকম বয়ে যাবে
কেউ আর চেঁচাবে না প্রাচীন কলরবে
শিহরনগুলি ছড়িয়ে দেবো সব ফুটন্ত ফুলে
বাক্য ও শব্দের ভ্রমরে গুঞ্জন করবে শুধু
কোলন আর সেমিকোলনে দাঁড়াবো পথ ঘিরে!
0 মন্তব্যসমূহ