পোস্ট বার দেখা হয়েছে
তুমিও ভাবো
অমিয় মল্লিক
আমরা যখন হাঁটছিলাম
তুমি সামনে আর আমি পেছনে
অথবা পাশে পাশে
আমাদের মধ্যে একটা সম্পর্কও হাঁটছিলো
যদিও তা' রক্তের নয় তবে আত্মার নিশ্চয়ই
হৃদয়ের তো বটেই
বারবার মনে হচ্ছিলো সেই সম্পর্কের ফাঁকে যেন
কোনো বিষন্নতা না আসে
এমনিভাবেই নন্দিত সুখে কেটে যাক আজীবন
ঠোঁট মুচড়ে তোমার হাসি
দীঘল চোখ তুলে তাকানো
আর অনবদ্য হাঁটার ভঙ্গি
সারারাত সরেনি মন থেকে
আরো একটু মিশে গেলে ক্ষতি কি
আরো একটু এগিয়ে এলে ক্ষতি কি
আমি তো ভেবেছি অনেককিছু
তুমিও ভাবো...
***********
অপমানিত হলে
শম্পা সামন্ত
অপমানিত হলে নত হই।
নতহই বিবেকের কাছে।
এই কি শুধু বিশ্বাস নির্ভরতা?
নত মস্তক ভেঙে পড়ে চোখের সমুদ্রে। ঢেউ উঠে পড়ে।
তুমুল দ্বন্দ্বের উৎস্রোতে ভিজে যায় কোমর, নিতম্ব।
আর সৃষ্টিরহস্য বিপুল সংঘাত নিয়ে আসে।
এখন কীই বা করতেপারো? প্রতিরোধে?
কতটুকু যোধনের তীরে বসে
শুধু ধ্বংসাত্মক চিন্তাগুলো সরে যায়। মাথার ভিতর, উন্মত্ত বোধের ভিতর।
পাগল হলে তুমি।
ভেঙে দাও আবিলতার প্রাচির।
নিতান্ত বালখিল্যপনা।
তুমি আবার অপমানিত হবে।
অন্ধের মতো স্রোতের উৎস্রোতে ফিরে আসবে।
আর চেয়ে দেখবে চোখের জলের কাছে পরম বন্ধুত্ব খুঁজেছ।
অনভিপ্রেত।
***********
তুমি আমিময়
প্রদীপ সেন
কলি থেকে যেমন ফুলের উত্তরণ
ভালোলাগা থেকে উন্মেষ ভালোবাসার।
খড়কুটো দিয়ে গড়ে তোলা নীড়ে
বাতাসের দৌরাত্ম্য, বৃষ্টির বাড়াবাড়ি
কখনো বা ঝড় এসেও এলোমেলো করে দিয়ে যায়,
তবুও ভালোবাসাবাসি চলতেই থাকে।
এই তো তোমার আমার কথাই ধরো না কেন
স্বর্গ সুখ হয়তো অধরাই রয়ে গেছে
আছে দুঃখ, আছে অনেক কিছুই না-পাওয়া,
তাতে কী? বন্ধন অটুট আছে ছায়া আর কায়ার।
প্রেমের ক্রমোত্তরণ দেহ থেকে মন, মন থেকে আত্মায়
এভাবেই তুমি আমি দুজনে অর্ধনারীশ্বর হয়ে গেছি।
এতটুকুই জানি, তুমি আজ আমিময় হয়ে গেছ,
না-জানি আমি তুমিময় হতে পেরেছি কতটা!
0 মন্তব্যসমূহ