প্রেমের কবিতা || পাতা ~ ১৭




পোস্ট বার দেখা হয়েছে

 

প্রেম

 নবপর্ণা


ললিতের মধুর সুরে প্রকাশিত হল রবি পূব দিগন্তে

যোগীয়া আর বৈরাগীর গভীর মনোরম সুরে মন নেচে ওঠে  যে ছন্দে । 

টোড়ী এলো স্বরের অলঙ্কার নিয়ে সঙ্গে গুনকেলী 

বিভাস, নট-ভৈরবের সুরে হৃদয়বীণার তারে উঠলো তানের কলি। 


আকাশ বাতাস হল মুখরিত, হল প্রকৃতির বিকাশ, 

সুরের আবহে ভেসে চলে যেতে চায় মন সুদূর নিলাকাশ। 

বাঁশির হৃদয় হরণ সুরে রাধারানীর মন হয় যে উত্তাল, 

গোপীগন বলে সখী চল কৃষ্ণ সনে বসে করি তার গুনগান। 


পশুপাখি হরিণ ময়ূর আনন্দেতে ওঠে যে মেতে, 

সুরের সাগরে ভেসে তারা অবগাহন করে যে চলে। 

কাঁখে কলশি কোমড়খানি দুলাইয়া,

রাধা চলে সখিসনে বেনী লুটাইয়া। 


সুর্য গেল অস্তাচলে,পূরবীর সুর তোলে মূরলীধারী, 

ক্ষুন্ন মনে রাধারানী সখিসনে গাগরি লয়ে ঘরের পানে চলি । 

নীলাম্বরীর শাড়ির , লুটায়ে আঁচল খানি 

ভারাক্রান্ত হৃদয়ে লয়ে, ফেরে কলশি খানি। 


রাধার রূপ দেখে বংশীধারী বাঁশিতে তোলে নট-ভৈরবীর সুর, 

সুরের মায়াজ্বালের আবেশে মোহিত রাধা ভুলি জগত সংসার সুদূর। 

দোলনায় দুলে ডুবে তারা গভীর হৃদয়ের বন্ধনে, 

সখি সব দেয় দোল,গভীর অতলে ডুবে কৃষ্ণগুনগান করে।। 

====

 শুধু তোমায় ভালবেসে

জয়ীতা চক্রবর্তী আচার্য


তোমার চোখের অবাধ্যতায় 

নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি

তোমার মনের গভীরে

গোপনে প্রেম এঁকেছি ..


রটিয়ে দিলাম আকাশে বাতাসে

তুমি রবে আমার প্রতিটি নিঃশ্বাসে..

আলসে দুপুরে, জোছনার স্পর্শে..

তুমি যে দিনযাপনের উৎস 

আমার অগণিত সুখের রহস্য ।।


আদর মাখা প্রেম, চড়ুক 

শেষ দুপুরের রুদ্র রাগে,

সবুজ ঘাসে মলিন স্রোতে

অকারণ ঝড়ের, উদাত্ত কণ্ঠে।

কলম হাতে , কাব্য রচনার 

ভাবনায়, শুধু তুমি, তুমি।


বিমূর্ত চিন্তাধারার মূর্ত অবয়ব তুমি,

আমার আদ্যোপান্ত জুড়ে শুধু তুমি।।

====

  স্পর্শ 

 সঞ্জিত মণ্ডল 


তোমাকে স্পর্শ করেছি যেদিন তুমি ছিলে আনমনা 

সহজে তোমাকে পাইনা বলেই স্পর্শও করা যায় না।

বিষণ্ণ ভোর, কুয়াশা সকাল, এলোমেলো করে দেয়

যতটা যা পাই চেটেপুটে খাই তোমাকে ভেবেই দিন যায়। 

এতো ডাকাডাকি এতো সাধাসাধি কিছুতেই কিছু হয় না 

এতো উদাসীন বাজে নাকো বীণ অনুভবে ছোঁয়া যায় না। 

ক্ষণিক দাঁড়াই দুবাহু বাড়াই প্রিয় উষ্ণতা চাই

বুকের গভীরে কতো কি যে করে সে কথা কারে বোঝাই।


আনমনা হয়ে চেতনা হারিয়ে দ্রুত নিঃশ্বাস পড়ে

আরও কাছে চাও কথাটি না কও লীলা কে বুঝিতে পারে।

শীতের চাদর বর্ষার ছাতা সবে উষ্ণতা চায়

সুন্দরী মেঘ লাজে রাঙা হয় সূর্য অস্ত যায়।

চায় অনুক্ষণ সারা প্রাণ মন উষ্ণতা পেতে চায়

আরও কাছে এসো পাশাপাশি বসো হৃদয় জুড়িয়ে যায়। 

কি যাদু যে আছে কি জানি তোমাতে সব যাদু করে দাও

ভাষাহীন আমি দেখেছি যখনি কি গভীর চোখে চাও।


ক্ষণিকের দেখা ক্ষণিকের ভুল বৃথা এ রোদন আসে

নিমেষের মেঘে বৃষ্টি অঝোরে দুটি চোখ জলে ভাসে।

মন কেমনের বাদল দিনের ময়ূরী কি প্রেম যাচে

প্রিয় পাশে এলে স্পর্শ করিলে মন ময়ূরীটা নাচে।

হে পরাণ সখা কবে হবে দেখা মন আনচান করে

বকুল শাখায় মৌমাছি গায় ফাল্গুন এসে পড়ে।

বসন্ত বায় চামর দোলায় প্রিয়কে পাশেতে চায়

হে জীবন স্বামী কারে কব আমি তোমা বিনা প্রাণ যায়।।

====

 লিমেরিক ছন্দে "ভালোবাসার কবিতা"

প্রণব কুমার বসু 


১)

এমনটা হবে কেন বারবার 

হেরে যাব আমি কেন প্রতিবার 


একটু হেসে

ভালোবেসে


বললাম - দেখি জিততে পারি কিনা একবার |


২)

ছিলাম আমি খুবই চাপে

উন্নতি হয় ক্রমশঃ ধাপে ধাপে


তবুও

আবারো


হারলাম রেজাল্টে অল্প মাপে 


৩)

ভালোবেসে কিনে দিলাম লাল ফুল

আশা করেছিলে কানের দুল


তবুও

আবারো


বুঝতে পারিনি আমার ভুল | 


৪)

তোমায় আমায় নিয়ে কত কথা

আমাদের প্রেমে নেই মাদকতা


শিক্ষা

দীক্ষা 


তবুও কঠিন বাস্তব এই নীরবতা |


৫)

এখন আর নেই একসঙ্গে হাসি 

কেউ কাউকে বলিনা ভালোবাসি


স্নেহ মমতা

সব জড়তা


জমে থাকে থাক রাশি রাশি |

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ