প্রেমের কবিতা || পাতা ~ ১০




পোস্ট বার দেখা হয়েছে

তোমাকে ছুঁয়ে 

চম্পা নাগ 


মেঘ ছুঁয়ে স্বপ্ন ভাসে চোখে ....

আজও দিনগুলি আছে সোনার ফ্রেমে বন্দী !

কতোবার তোমার প্রেমে হয়েছি সিক্ত !

ভালবাসায় ভিজতে ভিজতে কত 

ছুঁয়েছি তোমায় .....

কতো ভেসেছি প্রেমের জোয়ারে শুধু তোমার হৃদয়ে অবগাহন করতে করতে !

গোধূলির শেষ আলো মাখতে মাখতে, কৃষ্ণচূড়া ফুল গুঁজে দিয়েছ খোঁপায় ,

হাতে হাত রেখে হেঁটেছি কত পথ.....

আবেশে জড়ানো সেই স্পর্শ আজও হাতড়ে বেড়াই মনের চোরা গলিতে....!!

জানি না মনে কী পরে তোমার,,,,,,

সমুদ্র সৈকতে হাঁটতে হাঁটতে হারিয়ে যেতাম ঢেউয়ের সাথে দুজনে !!

আজ এতোকাল পরে সেই সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে আমি .......!!!!

সবই আগের মতো আছে শুধু নেই তুমি!

হাজার প্রশ্ন আজ কেমন যেন মেঘ হয়ে 

জমে আছ হৃদয় জুড়ে ......!!

আজও অনুভূতিতে শুধু তুমিই তুমি .....

তোমাকে ভালবাসতে হাজার বছর যদি পার হই সাঁতার কাটতে কাটতে ....তবুও হব নাগো আমি ক্লান্ত ।

তুমি যে আমার আজীবনের চির বসন্ত!!

=====

 ভালোবাসা 

প্রণতি চক্রবর্তী


যদি কখনো একান্তে চেয়েছো নিজেকে জানতে --

একাকী জানালা পাশে বসে কি ভাবছো -

পাওয়া না পাওয়ার ব্যথায় উদাসী মন যদি হয় চঞ্চলা -

এসো আমার কাছে 'দু হাত, বাড়িয়ে দেবো- দেবো সান্ত্বনা

যদি কখনো অন্ধকারের  অবরুদ্ধতায় মন যদি হয় অস্থির, নিজেকে লাগে যদি

'একা, বড় অসহায়-

চলে এসো আমার কাছে দুহাত বাড়িয়ে দেবো- দেবো ভরষা-

রাতের আকাশে আমি জ্বালিয় প্রদীপের আলোয়

দেখাবো পথ, 

দেবো ভরষা-

আমি যে তোমার ভালোবাসা---------

====

 ভালোবাসার অমোঘ টানে

শিবানী গুপ্ত


ভালোবাসার অমোঘ টানে বারবার ছুটে গেছি তোমার কাছে।

তুমি নির্বিকার চাহনি মেলে সরে গেছো দূরে,

অথচ, তোমার চোখে আমি মুগ্ধতার ছায়া ঝলকে উঠতে দেখেছি,তবুও কেন নিজেকে হঠাৎ আড়াল করে নিলে উপেক্ষা ভরে!

যেন,রক্তকরবীর রাজা সেই রঞ্জনের মত তুমিও পাষাণ কারার আড়ালে কঠিন বর্মে আবৃত করে নিলে নিজেকে।

কিন্তু ,আমি যে তোমার ওই  অতল রহস্যে হারাতে চাই,কেন মিছে ছল করছো বলোতো?

কখনো , একচিলতে বিদ্যুতের মত হঠাৎ করে তোমার ছায়া দেখি,আবার পলকে উধাও!

তোমার অতলে আমি যতবার খুঁজি তল, নিমেষে হারাই সেথা, এ কেমন ছল!

এ কেমন লুকোচুরি খেলা!

রঞ্জনের মত আচমকাই তোমার অস্তিত্ব আমার অনুভবে টের পাই,

পুলকের শিহরণে আমার দেহলতা বিবশ অনাস্বাদিত রোমাঞ্চে,

ব্যাকুল আগ্রহে আলিঙ্গনে জড়াতে চাই বাহুপাশে নিবিড় প্রণয়ে, কিন্তু হায়, কোথা তুমি!

হৃদয়ের গভীরে আমার মনের আয়নায় শুধু তোমাকেই তো দেখতে পাই --

ঘুম ঘোরে স্বপ্নে তুমি চুপিসারে এসে অপলকে আমাকেই দেখো প্রেমের অঞ্জনমাখা চোখে গভীর ভালোবাসা মেখে।

তবে কেন এ ছলনার জালসাজ! কেন এমন করে খেলছো নিঠুর দরদী প্রেমিক!

তবেকি সবটাই আমার ভ্রম!

ওইযে,ঘুমের মাঝে তোমার নিবিড় উষ্ণ স্পর্শ আমার ঠোঁটে!

কপোলের চূর্ণকুন্তল আলগোছে সরিয়ে একটু মৃদু পরশ!

না,না,এ কিছুতেই ভ্রম হতে পারে না।

তোমার ওই স্পর্শ আমাকে যেন যুগাতীতের পথে নিয়ে যায়,

সেখানেও তুমি আর আমি ছিলাম প্রেম পূজারী,

ভালোবাসার যমুনাতে কত না জলকেলি রঙ্গরসে,

আচ্ছা,কোন ভুলের শাস্তি দিচ্ছো বলো?

আমার মনের ভেতর মনটা হা-পিত্যেশে হাহাকার করে গো।

তুমিই আমার জীবনের সব,

যৌবনের কুঁড়ি ফোটার ক্ষণে যেদিন তোমার সাথে মুখোমুখি, সেদিন বুঝেছিলাম তুমিই আমার ইহকাল,  পরকাল, আমার সুখের ঠিকানা।

যখনি জোছনা রাতে মুগ্ধ হয়ে চাঁদকে দেখি,

অনুভবে টের পাই তুমি চুপিচুপি এসে দুচোখ টিপে ধরলে,

আবেশে চোখ বন্ধ করে ফেলি, আবার চমকিত বিস্ময়ে চেয়ে দেখি, নাহ্ নেই, তুমি কোথাও নেই,

কিন্তু আমার যে তোমাকেই চাই-- চাইইই--

কিছুতেই হার মানতে চাইনে,

হার মানা হার পরাবো তোমার গলে,এসো হে প্রিয়,মোর হৃদ মাঝারে এসো---

আমার প্রেম পাগল মনটা আকুল হয়ে মগ্ন অনুভবে তোমার মনের তল পেতে আবারো ডুবুরী হয়, গহন অতলে খুঁজে বেড়াই - খুঁজতেই থাকি সময়ের স্রোতে ভেসে ভেসে--

=====

পটচিত্র 

আফ্রূজা খাতুন 


তখন শান্ত বিকেল-গোধূলি বেলা ,

সপ্তপর্ণী পাতার ফাঁক দিয়ে-

সূর্যটা উঁকি দিয়ে দেখছিলো বারবার। 

সামনের নদী জলে সুরেলা ঢেউয়ের 

অপরূপ বিস্তার,পাড়ের বুক 

ছুঁয়ে যাচ্ছিলো বারংবার। 


আলো হাতে এক আলোময়--

এসেছিলো আলোর দিশা হতে, 

মনের আঁধার ঠিকানায়!


অচলায়তনের পাল্লাটা গেলো খুলে, 

জং ধরা আঁধারের কোণে কোনে-

চোখ ধাঁধানো আলোর ঝলকানি।


শুকনো ফুলের ডালে জেগে উঠলো 

নবীন পাতা,প্রজাপতিদের গানে--

ফুলের বুকে বসন্ত বাহার। 


মায়াবী আলো বেঁধে নিলো আস্তে পৃষ্ঠে, 

আলোতে ভরে গেলো চরাচর, 

বাতাসে ভাসলো প্রেমের অগুরু চন্দন। 

ভালোবাসা আলো ভালোবেসে 

যখন কিনারে বসে আলো হাতে বিভোর, 

হঠাৎই তখন ঈশান কোণেতে মেঘ!

কেন এসে মুছে দিতে চায় 

নবীন আশা--আলো ভালোবাসা, 

ফিরতি আঁধার পথে কি ফের নিঃসঙ্গ-যাপন!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ