প্রেমের কবিতা || পাতা ~ ৫




পোস্ট বার দেখা হয়েছে

 

সেই ভালো সেই ভালো 

 অজয় কুমার দত্ত

                   

তুমি যখন আসবে বলেও আসোনা

     তোমার কথাই ভাবতে থাকি বসে~

কোন কাজই হয়না সেদিন করা

     দিনটা বৃথাই চলে যায় নিরুদ্দেশে!

                       

আবার যখন হঠাৎ করেই আসো

     কি আনন্দে যে আমার মনটা ভাসে~


সারাটিদিন গল্প করি তোমার মুখে চেয়ে

     সে দিনটাও এমনি বহে বৃথাই কর্মনাশে!

                         

ভেবে দেখ এমনিধারা কর্মবিমুখতা 

     মানতে তুমি পারবে কিনা মোটে~

সাগরবুকে ঝাঁপটি দেবার আগেই

     ঢেউ যেন না ছুঁয়ে যায় নদীতটে। 

                        

ধরো আমাদের সংসার হয়ে গেল

     ভোর হয়েছে, জাগলো তোমার মন

আমি বলি~আর একটু ঘুমোতে দাওনা,

     দেখছি আমি তোমারই সুখ স্বপন!

                         

তখন হয়তো তুমিও নাছোড়বান্দা~

     বাজার আনো, অফিস যেতে হবে তো!

আমি বলবো~অফিসেই যদি যাই,

     তোমার কথা ভাববো কখন বলোতো?

                                                      

তার চেয়ে ভালো সংসারে কাজ নেই

     তুমি বরং হয়ে যাও শ্বেত গোলাপ

পাপড়ি মেলো একটি দু’টি করে

     প্রজাপতি হয়ে চুমো খাই নিষ্পাপ!

                       

**********

আমার কল্প কাহিনী

কেতকী বসু


খাম সরালে যে কাগজের গন্ধ আসে

সেখানে তোমার অনুভবের স্পর্শ পাই,

প্রতিটি রাতের নেশা ধরা ঝিম ঘুমে আচ্ছন্ন আমি,

কবিতার কথা লেখো না আর,যত কথা আছে 

সে আমার কবিতায়, কণ্ঠে নিই সারা দিনের 

 ভালোবাসার যাপনে,


সমস্ত গ্যালারির ফিচার বিউটি পার্লারে গিয়ে

উজ্জ্বল হয়,সাজানো ত্বকে প্রলেপ পড়ে, আলাদা করে নজর  দেওয়ার আগেই বৃষ্টি ভেজা রাতে মুছে যায় সমস্ত জৌলুস।

ফিকে রঙে তোমার সে চিঠি পড়ি,আজও অপেক্ষায় থাকি শুধু একটা চিঠির।

***********

 অপেক্ষায় থাকবো

  সুমা গোস্বামী 


কথা দিয়েছিলে ভিক্টোরিয়ার সবুজ ঘাসে

 আমরা আরও একবার বসবো ,

রোদে পিঠ লাগিয়ে বেশ কিছুটা গল্প করবো ।

আর যদি গরম কাল হয় 

              তাহলেও অসুবিধা নেই ,

গাছের ছায়ায় বসে

               দুজন দুজনের ঘাম মুছিয়ে দেবো ।

গল্পের টপিক কি হবে সেটা তখন ভেবে নেবো ,

এখন নাইবা ভাবলাম ।


আমি জানি এখন তুমি খুব ব্যস্ত

            তোমার প্রচুর প্রচুর প্রচুর কাজ ।

কিন্তু আমি এটাও জানি 

কোনো একদিন তুমি তোমার এই কথাটা রাখবেই ।


 কথা দিয়েছিলে কোন এক জ্যোৎস্না রাতে

তোমার সাইকেলের রডে বসিয়ে

আমাকে আবার সেই অলিগলি ঘুরিয়ে আনবে ।


মনে পড়ে সেই গলি গুলো ,

যেখানে গাছের পাতার ফাঁকে ফাঁকে 

জ্যোৎস্নার আলো ফুটে ওঠে ?

আমরা দুজন অনেক গল্প করবো সেদিন ,

জ্যোৎস্না ভেজা সন্ধ্যে 

সেদিন আমাদের গল্পেই ভেসে যাবে ।

কখনোবা আমার হাতের উপর তোমার হাতটা রাখবে ,

আমার গালে তোমার গাল ছোঁয়াবে ।


তোমার হয়তো এখন অনেক ব্যস্ততা ,

অনেক দায়িত্ব কর্তব্য ,

ঠিক আছে , আমারও তো কোন তাড়া নেই ।

তোমার দায়িত্ব ব্যস্ততা সামলে 

যখন সময় পাবে আমার কাছে ফিরে এসো ।

আমি জানি কোনো এক সন্ধ্যা রাতে 

 আমরা সেই জোৎস্নায় সাইকেলে বসবো ।


কথা দিয়েছিলে পুরীর সমুদ্রে 

আমি তোমার হাত ধরে হাঁটবো ,

 সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের সময় তোমার পাশটিতে বসে একসাথে দুজনে সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত দেখবো ।


জেলে নৌকা যখন মাছ নিয়ে ফিরবে 

আমরা সেই নৌকা থেকে কিছু মাছ কিনে নেবো ।

হোটেলে ফিরে সেই মাছ ভাজতে দেবো ওদের ।

তারপর সেই মাছ ভাজা নিয়ে

 আমরা হোটেলের বারান্দায় বসে 

আবার সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত দেখবো ,

সমুদ্রের ঢেউয়ের হিল্লোল দেখবো ,

সামনের রাস্তা দিয়ে 

হেটে যাওয়া মানুষের ব্যস্ততা দেখবো ।

শুধু দুজনে আর কেউ নয় কিন্তু ।


তুমি এখন প্রচুর কাজের মালিক ,

অনেক কাজের জায়গীরদার হয়ে আছো ।

তোমার এই মালিকানা যেদিন শেষ হয়ে যাবে

সেদিন তোমার হাতটি ধরে আমি 

পুরির সমুদ্রে হেঁটে যাবো ।

আমি জানি 

তুমি একদিন তোমার এই কথাটা ঠিকই রাখবে ।

আমাকে নিয়ে সূর্যোদয় সূর্যাস্তের রং দেখবে ।

হয়তো তখন আমাদের চুলে পাক ধরবে ।

তাতে কি হয়েছে ?

আমি অপেক্ষায় থাকবো সেই দিনটার জন্য ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ